পত্রিকার পাতায় গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাস্যজ্জোল মুখ যখন দেখি তখন আমাদের ভাল লাগে। ভাবি আমাদের নতুন প্রজন্ম এত ভাল করছে তাদের নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখা যেন আর শেষ হতে চায় না। ভাবি আমার এই সন্তানটাকে কোন ভাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করাব ভাল একটি বিষয়ে। সে ভাবনায় অনেক সময় আমাদের ঘুম আসে না। আমি কি পারব ছেলে অথবা মেয়েটিকে কাংখিত বিষয়ে ভর্তি করাতে? ছেলেটি অবশেষে ভর্তি যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েও গেল।
থাকে পাঠানো হল দেশের সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানে সে ছাত্ররাজনীতির রাহু থেকে কি মুক্ত থাকতে পারবে? সেই ভাবনায় যেন খুরে খুরে খায় সারাণ। একটা দুঃস্বপ্ন সবসময় তারিয়ে বেড়ায়। ভাল কি থাকবে আমার সন্তান? ভাল ভাবে কি শেষ করতে পারবে তার শিক্ষা জীবনে? নাকি রাজনীতি নামকন অসুস্থ্য নীতির গ্যারাকলে পরে আমাদের স্বপ্ন গুলোকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করবে এই চিন্তায় আমাদের ঘুম আসে না। আমার মেয়ে যে হলে থাকে হঠাৎ করে সরকার যদি বলে সে হলের মেয়েরা সন্ধ্যার মধ্যে যার যার বাড়িতে ফিরে যেথে হবে কারণ হল বন্ধ করে দেওয়া হবে যে কোন একটি কারণে। আবার তখন যদি মোবইল ফোনের নেটওর্য়াক বন্ধ থাকে তখন আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারবে না।
তবে কি করে আমার মেয়েটা আমার খোলে ফিরে আসবে? সারাণ ভাবি আমার ছেলে বা মেয়েটিকি সঠিক সময়ে তার ডিগ্রী শেষ করে আমার খোলে ফিরে আসবেতো নাকি সেশন জটের খপ্পরে পরে তার বয়স ত্রিশের কোটা পেরিয়ে যাবে। তাহলে সে আর কোন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবে না। সে তার জীবনটাকে কি ভাবে চালাবে? এই প্রশ্ন গুলো বার বার ঘুরে ফিরে আসে আমাদের মনে।
আমাদের দেশে যারা দেশ চালান, যারা দেশ নিয়ে ভাবেন তাদের প্রায় সবার ভাবনা চিন্তা কেবল কি করে নিজের পকেট ভারি করবেন। আর তা করতে হলে তো চাত্রদের ব্যবহার করতে হবে।
তাই যে কোন সময় কোন ইস্যু নিয়ে ঝামেলা বাধিয়ে মাসের পর মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখলে কলেজ বন্ধ না রাখলে যে তাদের সমস্যার সমাধান হবে না। তাই কৌশলে নিজেদের সার্থ রার জন্য তারা সব করতে পারেন। না হোক অন্যদের ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট। তাদের নিজেদের ছেলে মেয়ে তো আর এই সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে না। তাদের দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ল ল টাকা ব্যায় করে।
আর যারা বিদেশে যায়নি তারও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এয়ারকন্ডিশনের নিচে বসে কাস করছে। তাই তাদের কোন সমস্যা হয় না। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা সেশন জট থাকলেও তারা তাদের শিা ঠিক সময় মতই শেষ করে বের হয়ে হয়তো ভাল কোন সরকারী চাকরি বা রাজনীতির শীর্ষ আসনে বসে যান। আর যারা এই সবের মধ্যে নেই তাদের কয়জনার কি হয় তা সবার জানা। যে মুখ গুলো জিপিএ ৫ পেয়ে হাস্যউজ্জল ভাবে ক্যামেরার সামনে ধরা পড়েছিল আমাদের সে সন্তানদের শিক্ষা জীবন শেষে যখন বেকার থেকে মুখ মলিন করে হেটে হেটে জুতার তলা য় করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
তখন অবশ্য তাদের এই বিমর্ষ মুখের ছবি কোন প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ধরা পড়ে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।