আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাশ্বতের জন্য ব্লগারদের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হেয়েছে, যাকে শুধু একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলা হলে কমই বলা হবে। প্রকৃতই ঘরের খেয়ে মোষ তাড়ানোর এই উদ্যোগে যারা শ্রম দিচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করার দুঃসাহস আমার নেই। তারপরও অনেকেরই প্রাণান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। অনেকগুলো নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবীর ভিড়ে দুয়েকটি সুযোগসন্ধানীর মুখও নিজেদের অস্তিত্বের কথা জানান দিয়ে যাচ্ছে। কঠিন স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে আসা একজন এফ আই দীপু কোন্ পর্যায়ে এসে এমন একটি পোস্ট দিতে বাধ্য হন, তা বুঝতে আমাদের কষ্ট হয় না।
কিংবা ধরা যাক যীশুর পোস্টে তার আকুতিভরা আহ্বানটুক্ই! আবার এমনকি অনলাইন ডোনেশনে এ পর্যন্ত সর্বাধিক অর্থ সংগ্রহের পরও একটি নিউজে দেখলাম, আমারব্লগের উদ্যোগটার কথা স্বীকার হয়নি যথাযথভাবে। এমন আছে আরো অনেককিছুই।
আমার মনে হয়েছে, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বা ক্যামেরাম্যানের নেতৃত্বে উদ্যোগটি এগিয়ে যাক আরো সামনে। তারা পরীক্ষিত হয়ে উঠেছেন। তবে ইতিমধ্যে যে দুয়েকজনকে নিয়ে নানা বিতর্ক উঠেছে, তাদের
আপাতত অব্যাহতি দিন।
যদিও কৌশিক বা মিলটনের অবদানকে আমি কোনোক্রমেই অস্বীকার করছি না। তবু ভালো যে কোনো উদ্যোগে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতেই হয় সবাইকে। আশা করি, বিষয়টা আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন।
আবারও বলি, শাশ্বত সুস্থ হয়ে উঠুক, আবার তিনি ফিরে যান তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আসুন সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই শাশ্বতের জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।