আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাগারণ নামক ব্লগার এর জামাত বিরোধীতার আড়ালে সাহাবাদের চরিত্র হননের চক্রান্ত।

অতি সাধারণ একজন, স্বপ্ন দেখি সোনালী দিনের।

জাগারণ নামে এক ব্লগার মিথ্যা তথ্যের বেশাতি দিয়ে ক্রমাগত সাহাবাদের চরিত্র হনন করে যাচ্ছে। তার ইমেইল এড্রেস : । তার লেখা ও ইমেইল এড্রেস থেকে ষ্পস্ট যে সে একজন শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী লোক। এটা আমার চিন্তার কোন বিষয় নয়, বিষয় হলো এই শয়তানের অনুসারী রাসুল (সঃ) এর মহান সাহাবীদের নিয়ে মিথ্যা গল্পের বেসাতী সাজিয়ে প্রকৃত মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।

কিন্তু কতৃপক্ষ উদার, কোন ব্যবস্থা নিতে দেখলাম না। খুলাফায়ে রাশেদীনদের মধ্যে শুধু আলী (রাঃ) কে আপনারা মানেন। পারলে তাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাসুল (সঃ) এর চেয়েও উপরে উঠিয়ে দেন। আপনি যে গ্রন্থের উদ্বৃতি দিয়ে মহান সাহাবীদের চরিত্র হনন করছেন, সেটি কি কোরাআনের চেয়েও বড় রেফারেন্ষ। আপনাদের শিয়া মতবাদ কি রাসুলের সময় ছিলো? এই মতবাদ সৃষ্টি করা হয়েছিলো মুনাফিকদের সহযোগিতায় মুসলমানদের বিজয় রথ থামানোর জন্য।

রাসুল (সঃ) এর জীবদ্দশায় তিনি নিজেই হাদিস লিপিবদ্ধ করতে সাহাবায়েকরাম্‌দের নিষেধ করেছিলেন, ক্কোরআনের বাণীর সাথে মিশে যেতে পারে এই আশংকায়। এর ধারাবাহিকতা রাসুলের ওফাতের পরেও অনেকদিন বজায় ছিলো। ভন্ড নবীর বিরুদ্ধে জিহাদের অনেক হাফিজে ক্কোরআন শহিদ হয়ে যাওয়াতে ক্কোরআনের বাণীকে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে লিখিত কপির প্রয়োজনী্য়তা অনুভব করেন খলীফা। তিনি তৎকালীন বিখ্যাত সাহাবী সাবিত (রাঃ) সহ অন্যান্যদের সহযোগীতায় চামড়া ও পাথরে লিখিত আয়াত সংগ্রহ করেন। এসব বাণী একত্রিত করে হাফেজদের মোকাবিলায় ক্কোরআনের একটি কপি সংকলন করা হয়।

তখনও প্রচুর সংখ্যক সাহাবা জীবিত ছিলেন যাদের প্রচুর সংখ্যক হাদিস মুখস্থ ছিলো। যারা হাদিস শিখতে আসতেন, তাদেরকে এসব মাশায়খগণ হাদিস শিক্ষা দিতেন, কিন্তু কোন লিখিত কপি রাখতেন না, যেহেতু রাসুল (সঃ) জীবদ্দশায় এটা নিষেধ করেছেন। পরবর্তীতে ইসলাম বিশ্বের বিভিন্ন রাজ্যে বিজয় লাভ করাতে ইসলামী আকিদা নওমুসলিমদের শিক্ষা দেয়ার জন্য লিখিত হাদিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন সাহাবাগণ হাদিস সংকলনের দিকে মনযোগ দেন। এক্ষেত্রে হাদিসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের ব্যাপারে মুহাদ্দিসগন অনেক বেশি সতর্ক ছিলেন, যে কারণে কোন হাদিসের সনদ ও মতন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তা বাতিল করেছেন।

বুখারী (রঃ) পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রম ও প্রখর স্মৃতি শক্তি কাজে লাগিয়ে বুখারী শরীফ সংকলন করেন, যা সকল আলেমগনের কাছে সন্দেহাতীত ভাবে স্বীকৃত, শুধু আপনার মত স্বস্বীকৃত শিয়া/ কাদেয়ানী/মুশরিক/মুনাফিক ব্যতিত। আপনি অনেকগুলো মিথ্যা কথা লিখেছেন, সাহাবাদের চরিত্র হনন করার অপচেষ্টা করছেন, যা ইহুদী ও মুশরিকরা সেই হাজার বছর আগে থেকে চেষ্টা করে আসছে। যদি আপনি হেদায়তের যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ দেখান, আমাদেরকেও সঠিক পথ দেখান। আর, যদি পাপের কারণে তার যোগ্য না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সেই হাত-জিহ্বা আল্লাহ ধ্বংস করে দিন, যা আপনি আল্লাহর রাসুল (সঃ) ও তার সাহাবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন- আমীন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।