মশারাও এখন প্রযুক্তি হাতে পেয়ে গেছে মনে হয়! ঘরে কয়েল-ই জ্বালাই আর এরাসোল-ই দেই, তাতে মশাদের কিচ্ছু যায় আসে না। তারা দিব্যি কয়েল/এরাসোলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানুষকে কামড়ায়। ঘরে কয়েল জ্বালাইলে মানুষের-ই খবর হয়ে যায়, কিন্তু মশার কিছু হয়না দেখে অবাক না হয়ে পারি না। মনে হয় মশারা বিশেষ ধরণের মাস্ক ব্যবহার করে, যেটা কয়েলের ধোঁয়া রিফাইন করে। ফলে তাদের কিছু হয় না।
অনেক আগে টিভিতে মর্টিন কয়েলের একটা বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো (এখনও করে কি না জানি না), যেখানে মশারা কয়েল কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গান গাইতো, “আমার নাম লুই, রোগ যখন ছড়াই গোল গোল খেলনা নিয়ে খেলতে আমি চাই! যেমন বল বা গোল কয়েল!” তো গোল কয়েল বাদ দিয়ে মর্টিনের কোনা-কুনি কয়েল ব্যবহার করেও কোন লাভ পাই নাই। যে লাউ, সেই কদু!
এবার আসি এরাসোলের কথায়। ঘরে এরাসোল দেওয়ার পর নিঃশ্বাস নিলে মানুষের মাথা ঘুরায়। আর মশারা জাস্ট একটু অজ্ঞান হয় (মড়ে না কিন্তু!)! মানে উড়া-উড়ি না করে ফ্লোরে পড়ে থাকে। যেই শরীরে কোন কিছুর স্পর্শ লাগে ওমনি উঠে উড়াল দেয়! মশার প্রযুক্তির কাছে এরাসোলও পানি-ভাত!
তবে হ্যাঁ মশা মারার দুইটা উপায় এখনও আছে।
এক নাম্বার নিজের দুই হাত, আর দুই নাম্বার ইলেক্ট্রিক ব্যাট। নিজের দুই হাত ব্যবহার করে সুন্দর ভাবে থাপ্পড় দিতে পারলে মশা মড়ার সম্ভাবনা (!) আছে। আর ইলেক্ট্রিক ব্যাট ব্যবহার করতে পারলে সম্ভাবনা অনেক বেশি, কারণ মশারা এখনও “ইলেক্ট্রিক শক” প্রতিরোধের প্রযুক্তি এখনও পায় নি মনে হয়। তবে সেই দিনও আর বেশি দূরে নেই!!!
আরো ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু লিখা পড়তে আমার ফেসবুক ID তে ঢুঁ মারতে পারেন ফজলে রাব্বি (ইফরান) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।