আমি মানুষ ! অতি সধারণ একজন মানুষ। সবসময় নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেই, যখন যা ইচ্ছে হয় তাই নিয়েই ব্যস্ত রাখি নিজেকে। নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে দেখার ইচ্ছে, এখনো নিজেকে ব্লগার বলে দাবি করার মতো কিছুই করতে পারিনি। ভূমিকাঃ
জাভা কি?-সেটা বিস্তারিত বলার আগে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলতে কি বোঝায় তা সংক্ষেপে বলে নেই। মানুষের এযুগের বন্ধু কম্পিউটার কিন্তু আমাদের কথিত ভাষা বোঝে না।
বোঝে শুধু একটি ভাষা যার নাম, মেশিন ল্যাংগুয়েজ অথবা বাইনারি ভাষা। তো বাইনারি ভাষা অথবা মেশিন ল্যাংগুয়েজ কিন্তু শুধুই ০ আর ১ এর সমন্নয়। তার মানে, আমি যদি কম্পিউটারকে কোন কমান্ড দেই, সেই কমান্ডের শুধু মেশিন ল্যাংগুয়েজ টুকু বুঝবে। আরো ভালভাবে বলতে হলে, কম্পিউটার বোঝে ০০১০১০০১১০১১০০১১………এই ধারার কোন স্ট্রিং।
এবার উপায় কি কম্পিউটার এর সাথে যোগাযোগ করার? আমরা কি কম্পিউটার এর লাখ-কোটি কমান্ড এর জন্য বাইনারি ইন্সট্রাকশন মুখস্থ করব? এই সমস্যাকে অতিক্রম করার জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর আবিষ্কার।
এই বিশেষ ভাষা মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করে যা মানুষের কোন কমান্ড নেবে এবং তা কম্পিউটারকে তার ভাষায় বুঝিয়ে দেবে। বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলতে সম্ভবত এডা (Ada) কে বোঝানো হয়। তবে প্রোগ্রামিং লাঙ্গুয়েজের ক্রমানুসারে বিবর্তনের কারনে একে প্রধানত তিন স্তরে ভাগ করা হয়। যার মধ্যে জাভাকে হাই-লেভেল ল্যাংগুয়েজ বলা হয় কারন এটা মানুষের ভাষার মত সহজে বোধগম্য।
জাভা সৃষ্টির ইতিহাসঃ
যখন মাইক্রোপ্রসেসর এর বিবর্তন মানুষের কম্পিউটার যগতে
যুগান্তকারি পরিবর্তন এনে দিল, তখন এ লক্ষ্যে সান মাইক্রোসিস্টেম ১৯৯১ সালে একটি গবেষনা প্রজেক্ট হাতে নেয় যার কোড নেম ছিল- “গ্রিন (Green)”, টিম এর প্রধান জেমস গসলিং একটি C++ নির্ভর ল্যাংগুয়েজ আবিষ্কার করেন যার নাম দিয়েছিলেন ওক(Oak)- ওক নামটি দিয়েছিলেন, তার রুমের বাইরে একটি ওক গাছকে দেখে।
পরবর্তিতে এটা দেখা যায় যে ওক নামে ইতোমধ্যে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে।
পরবর্তিতে, জাভার দলের সদস্যারা একটি কফি শপে যাওয়ার সময় তাদের জাভা নামটি প্রস্তাবিত হয় এবং সেটি তারা গ্রহন করে। এভাবে একটি নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা আবিষ্কার হল যার নাম জাভা।
যদিও নব্বই দশকের প্রথম দিকে ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের উন্নতি সেভাবে হয়নি, যেভাবে সান চিন্তা করেছিল। এই কারনেই, সেই সময় জাভার অপ্রয়োজনীয়তার কারনেই এই প্রোজেক্ট বাতিল হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
কিন্তু অবশেষে ১৯৯৩ সালে World Wide Web এর আবিষ্কার জাভা কে নতুন জীবন দান করে কারন, দেখা গেল যে ওয়েবসাইট গুলোর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট নিয়ে ব্যাপক কাজে জ়াভা অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। আজ আধুনিক যুগে, জাভা দিয়ে বড় ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সফটওয়্যার বানানো হয়।
“A cup of coffee - real coffee - home-browned, home ground, homemade, that comes to you dark as a hazel-eye, but changes to a golden bronze as you temper it with cream that never cheated, but was real cream from its birth, thick, tenderly yellow, perfectly sweet, neither lumpy nor frothing on the Java: such a cup of coffee is a match for twenty blue devils and will exorcise them all.”
Henry Ward Beecher (Liberal US Congregational minister, 1813-1887)
তথ্য সুত্রঃ How To Program Java by Deitel এবং
http://java.about.com ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।