অজানাকে জানতে ছুটছি অবিরাম...!
পর্যবেক্ষক
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকাচৌ) সরকারের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, কেরানীদের সঙ্গে ‘প্রলাপ’ করে কোনো লাভ নেই। চলমান সঙ্কটের উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এ জন্য দুই নেত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে সংলাপ করতে হবে। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্থাপিত স্পেশাল জজ কোর্টে তার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি অনেক মজার কথা বলেন।
কোর্ট থেকে বের হবার সময় সাকাচৌ সাংবাদিকদের বলেন, লেটেস্ট প্রলাপ কেমন চলছে? কেরানীদের সঙ্গে সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না। সংলাপ হতে হবে দুই নেত্রীর মাঝে, তাহলে সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে।
সংলাপে সব দলই জরুরি অবস্থা প্রতাহারের দাবি জানিয়েছে। সরকারের বুদ্ধিদাতা ড. কামালও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। মোচ ইব্রাহীমও {কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদও ইব্রাহীম} জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার চাচ্ছেন। শুধুমাত্র কিংস পার্টির ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী নিজের নিরাপত্তার জন্য জরুরি অবস্থার প্রত্যাহার চাননি।
সাকাচৌ বলেন, এনজিও নেতা হোসেন জিল্লুর রহমান নব্য রাজনীতিবিদ হয়েছেন।
তিনি কি তার শপথ রাখতে পারছেন?
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদেশ গিয়ে জেনারেল মইন উ আহমেদ বলেছেন, যদি কেউ মনে করে সে চালাক, তবে মনে রাখতে হবে তার চেয়েও চালাক লোক আছে। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এ কোর্টকে অস্বীকার করলে বুঝা যাবে কে বেশি চালাক।
সাকাচৌ আরো বলেন, এ সরকারের প্রথম দিকে রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে কোনো সহানুভূতি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে সহানুভূতি বাড়ছে।
নির্বাচনের ব্যাপারে সাকাচৌ বলেন, বর্তমানের নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।
তারা ইতিমধ্যেই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
গতকাল বেলা ১২টায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে এসেই তিনি বলেন, আমার দুটি গাড়ি অকারণে থানায় আটকে রেখেছে। এমনিতেই টাকা-পয়সার টানাটানি, মামলার খরচ চালাতে পারছি না।
পরে বিচারক বেগম শামসুন্নাহার আদালতে এলে তার আইনজীবী বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তিন গাড়ি গত বছরের ৩ মার্চ আটক করে ধানমন্ডি থানা।
এর মধ্যে একটি গাড়ির ব্যাপারে অভিযোগ থাকলেও অন্য দুটি গাড়ি অকারণে আটকে রাখা হয়। অকারণে আটকে রাখা গাড়ি দুটির একটি হলো টয়োটার লেক্সাস, যার দাম ৯২ লাখ টাকা এবং অপরটি নিশান, দাম ২২ লাখ টাকা। গাড়ি দুটি থানায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে। গাড়ি দুটি ছেড়ে দেবার জন্য তিনি আদালতের কাছে আবেদন জানান।
তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও এ ব্যাপারে আদালতের কাছে আবেদন জানান।
তিনি বলেন, দায়িত্ব এড়িয়ে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারক যেখানে আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করতে বলেন, তখন আমরা ঘাবড়ে যাই। এখন আমারা কোথায় যাব?
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালত বলেন, গাড়িগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আগামী ৩ জুন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।