আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরে বাজার চড়াঃ আমরা করবো কি??



জ্যৈষ্ঠের ফল আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। জাত আমগুলোর মধ্যে কেবল গোপালভোগই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সাইজে ছোট হলেও গোপালভোগ এবার স্বাদে খুব মিষ্টি হয়েছে বলে ভোক্তাদের অভিমত। গোপালভোগের পর খিরসাপাত, তারপর ল্যাংড়া ও জ্যৈষ্ঠের শেষ নাগাদ বাজারে উঠবে ফজলি। রাজশাহী অঞ্চলে এবারের আমের ফলন নিয়ে কথা হয় স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের ট্রেনিং অফিসার ড. ইত্তেফাকুল আজাদের সঙ্গে।

তার মতে, এ বছর আমের অফ ইয়ার হলেও ফলন ভালো হয়েছে। রাজশাহীর বাজারে হরেক রকমের আম দেখা যাচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে বাজারে আমের দাম আকাশচুম্বী। অফ ইয়ারে আম উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। রাজশাহীর বাজারে এখন আঁটি জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে।

আর জাত আমের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে গোপালভোগ। এছাড়া ভারত থেকে আসা চুসনি জাতের আমও বাজারে এসেছে। ফলে দামের দিকে না তাকিয়ে অনেকে চড়া মূল্যে স্বাদ নিচ্ছেন মৌসুমি এ ফলের। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে সাইজভেদে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, গোপালভোগ আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন পাওয়া যাবে।

খিরসাপাত বাজারে আসতে শুরু করবে দিন পনেরো পর। বাজারে গোপালভোগের চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম অনেক চড়া। রাজশাহীর চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর প্রভৃতি এলাকায় এবার প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৭৮ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ফলন ভালো হয়েছে এবার।

হেক্টরপ্রতি উৎপাদন গড়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোরসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আম ব্যবসায়ীরা রাজশাহীতে তাদের ঘাঁটি গেড়েছেন। বিভিন্ন স্থানে খুলে বসেছেন আমের আড়ত। এসব আড়তে এখন ক্রেতাদের ভিড়। তবে সে তুলনায় বেচা-বিক্রি কম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।