এক নজরে সত্যজিৎ
পুরো নাম : সত্যজিৎ রায়
ডাক নাম : মানিক
জন্ম : ২ মে, ১৯২১
মৃত্যু : ২৩ এপ্রিল, ১৯৯২
প্রথম ছবি : পথের পাঁচালি (১৯৫৫)
সর্বশেষ ছবি : আগুন্তক (১৯৯১)
কাছের মানুষরা তাকে ডাকতেন মানিক নামে। বড়দের কাছে তিনি বেশি পরিচিত বোদ্ধা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে কিন্তু ছোটরা তার লেখার দারুণ ভক্ত। তার সৃষ্ট চরিত্র ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু কিম্বা তারিণী খুড়োরা কেবল ছোটদের কাছেই প্রিয় নয়, বড়রাও এদের সঙ্গী হয় আগ্রহ নিয়ে। এতোক্ষণে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছো কার কথা বলছি। হ্যাঁ, তোমাদের প্রিয় সত্যজিৎ রায়।
কেবল সিনেমা বা লেখালেখিতেই নয় ছবি আঁকাতেও সত্যজিৎ ছিলেন দারুণ পটু। এসো জেনে নিই এই গুণী মানুষটির ছেলেবেলা থেকে বড় হবার গল্প। সেই সঙ্গে থাকছে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু ও তারিণী খুড়োদের জানা-অজানা কথা।
সত্যজিৎ রায়ের জন্ম কলকাতায় উনিশশো একুশ সালের দুই মে। বাবা সুকুমার রায় আর মা সুপ্রভা রায়।
বাবা সুকুমার রায় ছিলেন নামকরা ছড়াকার। ছবি আঁকাতেও ছিল সুকুমারের দারুণ হাত। মা সুপ্রভা রায় গান গাইতেন। এদিকে দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীও ছিলেন নামকরা শিশুসাহিত্যিক।
কিন্তু সত্যজিৎ এর বয়স যখন মাত্র তিন বছর তখন তার বাবা মারা গেলেন।
এর কিছুদিন পর তার মা তাকে নিয়ে চলে আসেন মামার বাড়িতে। সত্যজিৎ বড় হয়েছেন এই মামা বাড়িতেই। বাবা না থাকায় মাকে তাই বেশ নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যেই বড় করতে হয়েছে তাকে। তার এই সময়ের স্মৃতি নিয়ে পরে তিনি একটি বই লিখেছেন। যার নাম ‘যখন ছোট ছিলাম’।
তার বড় হওয়ার সে গল্প জানতে চাইলে সেটা তোমরা পড়ে দেখতে পারো।
বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে সত্যজিৎ অর্থনীতির মতো খটমটে বিষয় নিয়ে পড়তে যান। কিন্তু তার মন পড়ে থাকতো শিল্পকলার দিকে। সেটা উনিশশো চল্লিশ সালের কথা, বিএ পাশের পর মা তাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। শান্তিনিকেতনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কলকাতার জীবন ভালবাসলেও সত্যজিৎ কিন্তু শেষ অবধি মায়ের কথা রাখতে শান্তিনিকেতনেই চলে গেলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।