গভীর কিছু শেখার আছে ....
গতকাল ছিলো আমার ডে-অফ। উপরন্তু বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে অপরাপর খুচরা কাজের মধ্যে সিম রেজিস্ট্রেশন করাটাও মনে হয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে! তাই দু'মাস আগেই নিজেরটা সহ বাসার অন্যদের ব্যবহৃত একটেল ও গ্রামীণ ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম, কিন্তু বাংলালিংকের সিম রেজিস্ট্রেশন করাটা কেন যেন আর হয়ে ওঠেনি। তাই সকালে অলস সময় কাটানোর এক ফাঁকে মনে হলো, যাই, অবশিষ্ট দুটো বাংলালিংকের সিম রেজিস্ট্রেশন করে আসি।
আমার নিকটস্থ বাংলালিংক রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট আমার জানা মতে শ্যামলীতে। অথচ শ্যামলী যেতে গেলে বেশ সময় লাগবে! তাই ভাবলাম আশে পাশে একটু দেখি. যদি কোন স্থানে সিম রেজিস্ট্রেশনের জায়গা নিজের অজান্তেই থেকে থাকে।
যা হোক, মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লার কাদেরিয়া মাদ্রাসার আশে পাশে বেশ কিছু ফোনের দোকান রয়েছে। ভাবলাম, সেখানেই না হয় ঢুঁ মেরে দেখে আসা যাক। কাদেরিয়া মাদ্রাসার ঠিক সামনে অবস্থিত মিলন এন্টারপ্রাইজে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বাংলালিংকের সিম রেজিস্ট্রেশন তারা করে কিনা?
উত্তরে যা শুনলাম তাতে করে অবাক হওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিলো না!
কারণ, দোকানে তারা সব কম্পানির সিমই রেজিস্ট্রেশন করে, কিন্তু বিনিময়ে তাদেরকে আলাদা করে ফি দিতে হবে! আইডি কার্ড থাকলে সিম প্রতি ২৫ টাকা ও আইডি কার্ড না থাকলে ৪০ টাকা।
যেখানে সব মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদেরকে ফ্রি সিম রেজিস্ট্রেশস করায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকাতে প্রচার করছে এবং সিম রেজিস্ট্রেশন করলে বোনাস টক টাইম দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে, সেখানে কিছু কিছু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করছে।
অথচ এরা কিন্তু মোবাইল কম্পানিগুলো থেকে গ্রাহকদের সিম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেবার জন্য নির্দিষ্ট টাকা পেয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে যেসব গ্রাহক জানেন না যে সিম রেজিস্ট্রেশনে টাকা লাগে না, তারাই মূলত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপরন্তু যারা দূরে গিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন না, তারাও আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি মোবাইল কম্পানিগুলোর প্রতিও তারা বিরূপ ধারণা করতে পারেন এই ভেবে যে, সিম রেজিস্ট্রেশন করতে বোধহয় ফি দেয়াই নিয়ম!!
এছাড়া আরেকটি যে বিষয় এক্ষেত্রে বড় হিসেবে ধরা যেতে পারে তা হলো, সিম রেজিস্ট্রেশন করার অন্যতম একটি মূল লক্ষ্য হলো সন্ত্রাসীরা যেন আননোন সিম ব্যবহার করে কাউকে হুমকী দিতে না পারে বা অপকর্ম করতে না পারে। কারণ, সিম রেজিস্ট্রেশনের সময় বাধ্যতামূলক ভাবে সিমের মালিকদের ফটো ও যে কোন ধরনের পরিচিতি মূলক আইডি কার্ড জমা দিতে হয়, যাতে সিমের মালিককে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয়।
অথচ ৪০ টাকার বিনিময়ে একজন ব্যক্তি সে সন্ত্রাসীই হোক বা ভালো মানুষই হোক না কেন, আইডি কার্ড ছাড়াই তার সিম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেয়াটা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত তা কিন্তু ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।