আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র‌্যাগীং নয়, বিষয়টা হওয়া উচিত ছিলো “নবীন বরণ”

তন্ময়-অন-রান.ব্লগস্পট.কম র‌্যাগীং এর ইতিহাস ঘাটবার মতো যথেষ্ট প্রশ্ন মনে তৈরী করতে পারলাম না তাই ঘাটলামও না। ক্যাম্পাসে র‌্যাগীং মানেই নির্যাতন এবং এটা ছাড়া আর অন্য কিছুই নয়। এ বিষয়ে অবশ্য এক বা একাধিকবার র‌্যাগীং এর স্বীকার হয়ে এবং এক বা একাধিকবার র‌্যাগীং এর মাধ্যমে নির্যাতন করে আনন্দ পেয়ে যাওয়া ব্যাক্তিরা ভিন্নমত পোষণ করবে। সে যাই হোক, “র‌্যাগীং” করা হয় তাদেরকে যারা ক্যাম্পাসে নতুন আসে। আমাকে এর শিকার হতে হয় নাই, তাই যন্ত্রণাটাও টের পেতে হয় নাই।

তবে সবসময় যে মাথায় বেল ফেলেই ব্যাপারখানা বুঝতে হবে তাও তো নয়। র‌্যাগীং এর সাথে আমার প্রথম পরিচয় কিছু হলিউডি মুভিতে। হয়তোবা অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে তা প্রচলিত ছিলো। আবার আমার সবচাইতে প্রিয় মুভি “৩ ইডিয়টস” এও র‌্যাগীং এর দেখা পাই। আবার “মুন্না ভাই এমবিবিএস” এও র‌্যাগীং দেখি।

তবে সেখানে যা দেখি তার চাইতে বাস্তবে যেসব ঘটনার বর্ণনা শুনেছি সেগুলি আরো অনেক বেশি ভয়ানক, আরো অনেক বেশি আতঙ্কজনক। যদি সিনেমার কথা বাদ দেন তাহলেও আপনি চাইলে কিছু রিয়েল ক্লিপস দেখতে পারেন। গুগল করে লিংক গুলো এখানে দিয়ে পোস্ট সাজাইতে ইচ্ছা করে নাই, তাই জাস্ট সাজেস্ট করতেছি যে গুগলে “suicide due to campus ragging” লিখে সার্চ দিন, বেশ কিছু কেস স্টাডি আর ভিডিও পেয়ে যাবেন। ভয়ানক ব্যাপার। আমার মূলবক্তব্য খুব ছোট।

র‌্যাগীং কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। ক্যাম্পাসে আসা নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের বরণ করে নেওয়া ক্যাম্পাসের পূর্বেকার সকলের দায়িত্ব অথবা বলতে পারেন এটাই তাদের করণীয়। সেটা কোন আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হতে পারে, যেটাকে আমি জেনে এসেছি “নবীন বরণ” অনুষ্ঠান নামে। ক্যাম্পাসে আসা নতুনদের মধ্যকার জড়তা ভেঙ্গে তাদেরকে ক্যাম্পাসের সাথে মিশে যেতে সাহায্য করে এমন অনুষ্ঠান। টিচারসদের সাথে পরিচত হওয়া যায়, ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের সাথে পরিচিত হওয়া যায়।

এটা খুবই সহজ হিসাব যে, হাসি-আনন্দ-হৈ হুল্লোড় খুব সহজেই জড়তা ভেঙ্গে ফেলতে পারে। চলমান করতে পারে জীবনকে। আবার রিমোট গ্রামগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ভয়ও কেটে যায়। তারা আর নিজেদেরকে একলা, নিঃসঙ্গ ভাবে না। বাড়ির জন্য কষ্টটাও তারা কিছুটা ভুলে থাকতে পারে।

সেই নবীন বরণ অনুষ্ঠানটার জায়গা এখনো এই র‌্যাগীং নিয়ে নেয় নাই এটা ঠিক, কিন্তু এই অর্থহীন, যন্ত্রণাদায়ক, ক্ষেত্রবিশেষে আত্মহত্যা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারার মতো মানসিক যন্ত্রণা তৈরীকারক প্রোগ্রামটি কেনো চালু থাকবে সেটাই জিজ্ঞাসা। র‌্যাগীং নিয়ে বেশ কিছু ছবিও পেলাম নেটে সেগুলোও এখানে এ্যাটাচ করবার ইচ্ছে হলো না। র‌্যাগীং তারাই মূলত করে যারা এর শিকার হয়। ঠিক যেনো জম্বি মুভিগুলোর মতো। যখন কামড় খায় তখন চিল্লাফাল্লা করতে করতে শেষ, একটু পরে নিজেরাই জম্বি হয়ে হাউ-মাউ-খাউ করতে শুরু করে।

ভাইরাস টাইপ। ১ম বর্ষে র‌্যাগীং এর শিকার হওয়া স্টুডেন্টরা যদি পরের বর্ষে যেয়ে নবীনদের পক্ষ নেয়, প্রতিবাদ করে তাহলেও পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। যদিও নেট ঘেটে যা দেখলাম তা হলো বিষয়টা এতো সহজ না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কড়া আইন করা উচিত এবং তা প্রয়োগ করে র‌্যাগীং-কে প্রতিহত করা উচিত বলে মনে করি। আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে “Raggin is a Crime” ______________ ব্যাক লিংক :: ডোন্ট ক্লিক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.