আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
খুব ব্যস্ত থাকি। তাই লেখা হয়ে উঠে না তেমন। বিশেষ করে মনের গভীর থেকে কিছুই টেনে বের করা সম্ভব হয় না। খুব সম্ভবত, ব্যস্ত জীবনে, জীবনটাকে নিয়ে ভাববার ফুরসত হয় না। যেটুকু সময় পাই, তাকে সিগারেটের ধূয়ায় উড়াই, আর ঘরে ফিরে ক্লান্ত শরীরে হয়ত টিভির রিমোট টিপতে টিপতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে চালাই একই সেই জীবন চক্র।
লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কেন যেন লিখতে পারি না, তেমন। আসলে লিখতে হলে জীবনের ঘটনাগুলোকে উপলব্ধি করতে হয়। তার জন্য চাই ফুরসত।
আজকের পৃথিবীতে আমাদের শিক্ষিত সমাজে, মাথাটাই সম্বল। প্রতিদিন মাথায় জ্ঞান বিজ্ঞান সঞ্চয় করি, সেটাকেই আবার বিক্রি করে জীবনটাকে টেনে নিচ্ছি। চিন্তাই পয়সা! তাই, টাকা আসে না এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করবার ফুরসত নেই। তবুও মনটাকে অর্থহীন অথৈসাগরে ভাসিয়ে দিলে ভাল লাগে। আসলে জীবনে সব কিছুর পেছনে একটা অর্থ থাকা হয়ত অপ্রয়োজনীয়।
আবার হয়ত জীবনে সব কিছুই অর্থহীন বা জীবনটাই অর্থহীন। আমি এ জীবন নিয়ে বড়ই কনফিউজড। কোথাও কোন ঠাঁই নেই।
যতদিন কাটাচ্ছি, একটা ব্যাপার ধীরে ধীরে বুঝে উঠতে পারছি, তাহল এ পৃথিবীতে কেউ আসলে কারো নয়। আশে পাশের মানুষগুলোর আচরণে একটু গভীর দৃষ্টি দিলেই ব্যাপারটা গাঁঢ় হয়ে উঠে।
একটা সময় শিখলাম, সবাই বন্ধু নয়। এটা মেনেও নিলাম। বিশ্বাস করতাম, এই বিশাল পৃথিবীতে হয়ত গুটি কয়েক মানুষ আমার হবে। সে বিশ্বাসও ভাঙ্গল, ঠেকল একজনে এসে। তারপর শিখলাম, পৃথিবীতে একজন মানুষও আমার নয়।
এ বিশ্বাসটা যেদিন থেকে আমায় আঁকড়ে ধরল, সেদিন হতে জীবনটা দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মন আমার পাগল হয়ে বন্ধু খোঁজে, কিন্তু বার বার একই উত্তর পায়। কোথাও কেউ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।