আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলিয়টের কবিতায় আস্তিকতা



ইংরেজি সাহিত্যের সর্বস্বীকৃত আধুনিক কবি এলিয়ট কিভাবে আস্তিকতাকে আবেদনময় করে তুলেছেন তাঁর বিখ্যাত 'ওয়েইস্ট ল্যান্ড'' কবিতায়! কবিতাটির ২৮ থেকে ৩০ লাইনে এভাবে লেখা আছে। Your shadow at mornign striding behind you Or your shadow at evening rising to meet you; I will show you fear in a handful of dust. 'প্রাতের সময়ে যে ছায়া তোমাকে ছাপিয়ে ওঠে তোমার পশ্চাতে অথবা যখন তোমারই নিজের ছায়া তোমাকে গ্রাস করতে উঠে আসে সন্ধ্যার কালে- (সেই সব ছায়াদের দোহাই) তোমাকে আমি ভয় দেখাতে পারি এক মুষ্ঠি ধূলার ভেতরে। " নাস্তিক্যবাদের মতে, মৃত্যুতেই মানুষের পরিসমাপ্তি। নাস্তিক্যবাদ বলে, মানুষের চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে ধুলি। অতএব, নাস্তিক্যবাদের জ্ঞান এই ধূলি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

আধুনিক ইংরেজ কবি টি, এস, এলিয়ট তাই বলেন 'তোমাকে আমি ভয় দেখাতে পারি একমুঠ ধুলার ভেতর। ' তুমি যদি সত্যিই মনেপ্রাণে নাস্তিক হয়ে থাক তবে এই দেখ তোমার চূড়ান্ত রূপ, ধুলি। তুমি কি ভয় পাচ্ছনা? যদি তুমি ভয় না পাও তবে বুঝতে হবে তুমি মনেপ্রাণে নাস্তিক নও। তুমি কোবল ফ্যাশনে-ভূষণে নাস্তিক। সত্যিকারের নাস্তিক হয়ে থাকলে তুমি অবশ্যই ভীত হবে ধূলি দেখে।

কারণ এই ধুলি তোমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় কত তুচ্ছ তুমি। কত মিথ্যা তোমার এই পৃথিবীর জীবন যাপন। এমন এক জীবন তোমার যার নেই কোনো প্রতিশ্রুতি। নেই কোনো ভবিষ্যত। যে জীবনের নেই কোনো পরমার্থিক সম্ভাবনা সে জীবনের কোনো শৃংখলা থাকার কথা নয়।

যার জীবনের নেই কোনো সূদুরের আবাহন তার কিসে বয়ে চলা এ জীবন। তার কি প্রয়োজন সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষার। আল্লাহর কসম কেউ যদি সত্যিকারের নাস্তিক হয়ে থাকে তবে সে নীতিগতভাবে একথাই মেনে নেয় যে মায়ের সাথে, বোনের সাথে ব্যাভিচার করায় দোষ নেই। কারণ যে জীবনের কোোন পরমার্থিক সম্ভাবনা নেই। যে জীবনের চূড়ান্ত রূপ ধূলি সে জীবনে ওসব নিয়ন্ত্রিত আচরণের কি অর্থ থাকতে পারে? তছাড়া সব পশুই কি ওসব করে না? তাহলে মানুষ যদি জীবনের পরমার্থিক সম্ভাবনার বিষয়ে ইতিবাচক ভাবনা না পোষণ করত তাহলে সে যাকিছু নিয়ন্ত্রিত আচরণ মেনে চলে তা কি শুধূই সভ্যতার খাতিরে? অবশ্যই তা নয়।

কারণ জীবনের চূড়ান্ত যদি ধূলি খেলাই হতো তবে সেখানে ভোগ উপভোগই বড় হয়ে দাঁড়াত। জীবন যেখানে ধূলি খেলা সেখানে কিসের সভ্যতা, কিসের ভব্যতা, আর কিসের নৈতিকতা?? তাই বলি শুধু কিছু ফ্যাশনবাজ নাস্তিকের দলে না থেকে একটু নিজের বোধ বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করে দেখুন কেন মানুষকে আস্তিক হতে হয়। বরং আরও সঠিক ভাবে বলতে হয়, কেন মানুষ স্বভাবগত ভাবেই আস্তিক । পাশাপাশি এটাও চিণ্তা করে দেখতে পারেন কেন কিছু কিছু মানুষ চিন্তাগতভাবে ফ্যাশনবাজ হওয়ার জন্য নাস্তিকতার বুলি আওড়ায়। আল্লাহ হাফেজ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।