আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই  ঢাকা ও চট্টগ্রামে থ্রিজি মোবাইল ফোন সেবা চালু করতে যাচ্ছে গ্রামীনফোন। প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের পর নভেম্বরের মধ্যে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে, ডিসেম্বরের মধ্যে ৭টি বিভাগীয় শহরে এবং আগামী বছরের মার্চে দেশের ৬৪টি জেলাতেই থ্রিজি সেবা চালু করা হবে।   বিবেক সুদ বলেন, থ্রিজি সেবা গ্রামীণফোন এবং বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এদেশ তথ্যকেন্দ্রিক যুগের জন্য তৈরি হচ্ছে এবং সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করাই গ্রামীণফোনের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, গ্রামীনফোন গ্রাহকদের একটি বড় অংশই থ্রিজি সেবা গ্রহণ করবে। থ্রিজিতে যেতে গ্রাহকদের যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য তারা সিমলেস ট্রান্সফার চালু করবেন।

গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভির মোহাম্মদ বলেন, যেকোনো অপারেটরের আগেই তারা থ্রিজি সেবা চালু করছেন। এজন্য তারা অনেক আগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এখন থ্রিজি যন্ত্রাংশ আনতে বিটিআরসি'র অনাপত্তি ও অন্যান্য অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কাজ শুরু করবেন।

  তিনি বলেন, বিশ্বের থ্রিজি বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের অনেক দেশে থ্রিজি সেবা পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম হবো।

উল্লেখ্য, রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত নিলামে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) লাভ করে। এই তরঙ্গ নিলামে অংশ নেওয়া অন্য অপারেটরদের প্রায় দ্বিগুণ।

গ্রামীণফোন ছাড়া রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক থ্রিজি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক এরইমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি সেবা চালু করেছে।

।