খুজে বেরাচ্ছি কিন্তু পাচ্ছিনা
১.
খদ্দের (কলা বিক্রেতাকে ) : ওহে কলা কত করে হালি !
বিক্রেতা : আট টাকা হালি , স্যার ।
খদ্দের : বলো কি !
বিক্রেতা : ক্যান স্যার , বেশী হইল ?
খদ্দের : বেশী হল না ! তুমি তো চার টাকা হালি আট টাকায় বিক্রি করছো ? তোমাকে পুলিশে দেয়া উচিত।
বিক্রেতা : চিল্লাইবেন না , স্যার । তার থেইক্যা আপনে চাইর ট্যাকাই দ্যান । মালিকরে না হয় কমু ...
খদ্দের : কি বলবে ?
বিক্রেতা ( ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে ) : কমু , বান্দরে খাইয়া গ্যাছে
২.
আগন্তুক ( রিক্সাওয়ালাকে ) : রমনা ভবন যেতে কত নেবে ?
রিক্সাওয়ালা : আপনে কোন কেলাসে যাইবেন ?
আগন্তুক : রিক্সায় আবার ক্লাস কিহে ! ক্লাস তো হয় ট্রেনের মধ্যে ।
বিভিন্ন ডাব্বা থাকে বলে বিভিন্ন ক্লাস ।
রিক্সাওয়ালা : আমার কাছে , স্যার , ডাব্বা এক , কিন্তুক , কেলাস ভিন্ন ।
আগন্তুক : তা তোমার ক্লাস কি রকম শুনি , আর , কোন ক্লাসের কি রকম পয়সা ?
রিক্সাওয়ালা : আপনে যদি ফাস কেলাসে যান , বিশ টেকা দিতে হইব । ভালা রাস্তা দিয়া লইয়া যামু , আপনের প্যাটের পানিও লড়বনা ।
আগন্তুক : আর সেকেন্ড ক্লাস ?
রিক্সাওয়ালা : সেকেন কেলাসে পনরো টেকা দিবেন ।
খারাপ রাস্তা দিয়া লইয়া যামু , আর অনেক দেরি করমু ।
আগন্তুক : আরে ধুর ! এ ক্লাসে যাবো না । আর থার্ডক্লাসে ?
রিক্সাওয়ালা : সেইটা অনেক ভালা । পাচ টেকা দিবেন , সিটে বসমু আমি , আর চালাইবেন আপনে
৩.
এক রাজা তার মন্ত্রীকে নিয়ে রাজ্য পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন । কিছুদুর যাওয়ার পর তিনি দেখলেন খেতে এক চাষী হাল চষছে ।
তার কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলার পর এক সময় তিনি জিজ্ঞেস করলেন , ' হাল চাষ করে তোমার কত রোজগার হয় ? '
' চার পয়সা , হুজুর ' , জবাব দিল চাষী ।
' পয়সাগুলো তুমি কিভাবে খরচ কর ? ' , জানতে চাইলেন রাজা ।
' হুজুর , এক পয়সা নিজে খাই , এক পয়সা দিয়ে ধার শোধ করি , এক পয়সা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করি , আর এক পয়সা পানিতে ফেলি । '
রাজা মাথা-মুন্ডু কিছুই বুঝতে পারলেন না । তিনি চাষীকে সব কিছু খুলে বলতে বললেন ।
চাষী বলল , ' হুজুর , আগেই তো বলেছি এক পয়সা আমি নিজে খাই । বাকি তিন পয়সার মধ্যে এক পয়সা খরচ করি বাবার জন্য । অর্থাৎ ঋ্ণ শোধ করি । এক পয়সা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করি মানে ছেলেকে খাওয়াই । আর বাকি পয়সাটা , হুজুর , পানিতে ফেলি , মানে , বৌয়ের জন্য খরচ করি ।
'
৪.
ডাক্তারী পাস করেছে দুই বন্ধু । সরকারী চাকরি নিয়ে তারা গেছে পাশাপাশি দুটি এলাকায় । একদিন এক বন্ধু হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো অপর বন্ধুর কাছে ।
' দোস্ত , কলেরার চিকিৎসাটা কিরে ? '
' সে কি ? জানিস না ! ' আশ্চর্য হয়ে জানতে চাইলো অপর জন ।
' না , কলেরা তো তোদের পরীক্ষায় ইম্পর্টেন্ট ছিল , আমাদের বেলায় ছিল টাইফয়েড ' , বলল প্রথম বন্ধু ।
৫.
ফয়সল সাহেবের তৃ্তীয় বারের মত মেয়ে হয়েছে । তাই তিনি অনেকক্ষণ মনমরা হয়ে বসে রইলেন , তারপর এক বুদ্ধি এটে সবাইকে জানালেন , ছেলে হয়েছে । সবাই প্রচুর উপহার নিয়ে এলো বাচ্চা দেখতে । সবাই বাচ্চা দেখে মুগ্ধ । প্রত্যেকেই বিশ্লেষণ করতে লাগলেন বাচ্চার কোনটা বাবার মতন ।
সবাই এক বাক্যে রায় দিলেন যে বাচ্চা একেবারে বাবারই কপি । এমন সময় বাচ্চা হিসি করে দিলো , এক প্রতিবেশিনী কাপড় বদল করতে গিয়ে অবাক হয়ে বললেন , ' একি , ফয়সল সাহেব , আপনি না বলেছিলেন যে ... '
বাধা দিয়ে ফয়সল সাহেব বলে উঠলেন , ' তা ঠিক , কিন্তু মার কাছ থেকেও তো কিছু পাবে , সবই কি বাবার মত হবে নাকি ? '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।