যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
আদতে মেন্সট্রুয়াল রেগুলেশনের সংক্ষিপ্ত রূপ হল এম.আর.। তবে পাবলিক জবানে অর্থ দাঁড়ায় বাচ্চা খালাশ। একদিকে নারীদের যেমন অহেতুক বোঝা থেকে মুক্তি দিয়েছে তেমনি অনেককে দ্বায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাবার রাস্তাও দেখিয়েছে।
অনাকাঙ্খিত জন্মের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকাই উচিৎ। কিন্তু পুরুষের ছু সংগমের এবং প্রতিরোধক ব্যবহার না করার হাউসের মাশুল দিতে হয় নারীকে। কিন্তু এখন সে বিতর্কে না যেয়ে মূল প্রসঙ্গে আসি। দিনাজপুর থেকে ঘুরে এলাম মাত্র। প্রিয় নদীগুলো শুকিয়ে হাড্ডিসার।
রেল বাজার হাটে যেখানে হেঁটে ঢোকা যেত না সেখানে গড়গড় করে রিকশা চলে যায়। শহরের পুকুরগুলো ভরিয়ে দিয়ে দালানগুলো মাথা উঁচূ করে দাঁড়ানো। বড় মাঠ দখল করে বানিজ্য মেলা হচ্ছে। সবই ঠিকঠাক উন্নত উন্নত চকমক চকমক। কিন্তু রিকশাওয়ালাদের মুখে হাসি নেই।
ভারা ২টাকা থেকে ন্যুনতম ৪ টাকায় বেড়েছে। কিন্তু মুখের হাসিগুলো বিবর্ণতর হচ্ছে। চালের জন্য খ্যাতিমান এই শহরে অন্তত মোটাচালে ভরপেট খাওয়াটা, দরিদ্র শ্রেণীর দৈনন্দিন অভ্যাস ছিল। কিন্তু এই অভ্যাসেও জোরালো টান পড়েছে। ধানের শহরে চালের দাম আকাশ ছোঁয়া।
রিকশার পেছনের পুরোনো দিনের সিনেমার হাতে আঁকা ছবির নায়ক নায়িকার মতই গভীর বিষণ্ন একেক জোড়া চোখ। ভাড়ায় ভিক্ষায় আর ভাতের ক্ষুধা মেটে না। গতরে খেটে একবেলার ভাতের যোগান অসম্ভব হয়ে গেছে।
এভাবে শহর দেখতে দেখতে হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এল এই সাইনবোর্ডটা দেখে। আমরা বরং আমাদের উন্নয়নবাদী ঈশ্বরদের বলি, জন্ম নিয়ন্ত্রণের মত ক্ষুধার এম.আর. করা বা স্থায়ী ক্ষুধা বিরতিকরণ পিল বা পদ্ধতি চালু করতে।
যৎসামাণ্য আয় দিয়ে আমরা সেটাই না হয় কিনে নেব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।