বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতা অন্যতম। জঙ্গিবাদ নিয়ে অনেক পুস্তক রচিত হয়েছে, ইন্টারনেট, ব্লগ-সবজায়গাতেই খোঁজা হয়েছে জঙ্গিবাদের উৎস সন্ধান। কীভাবে এর উৎপতিত হলো ? এরা কী কারণে বোমা মেরে নিরীহ সতেজ প্রাণ উড়িয়ে দিতে চায় ? এরা কারা ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কিছুটা হলেও পেয়ে যাবেন যদি পূজা ভাট পরিচালিত বলিউডের 'ধোঁকা' (২০০৭) ছবিটা দেখেন। নিরপত্তাজনিত কারণে ইন্টারনেটে এই সিনেমার কোনো ওয়েবসাইট না থাকলেও অনেক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে এ ছবিটি।
ধোঁকা ছবির কাহিনী এরকম : জায়েদ আহমেদ খান (মুজামিল ইবরাহিম) মুম্বাই পুলিশ এর নিবেদিতপ্রাণ, সুদর্শন এসিপি।
ছবি শুরু হয় বহুল জনপ্রিয় গান 'আনজানা দিল কেয়া জানে' গানটি দিয়ে। এলফিনস্টোন কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জায়েদ তার কলেজ জীবনের প্রেমিকা (যাকে বিয়ে করার কথা ছিলো) নন্দিনীর সাথে কথা বলার একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে জানতে পারে হায়দ্রাবাদ ক্লাবে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। জায়েদ সেখানে পৌঁছে দেখতে পায় রক্ত আর লাশের আর্তচিৎকার। সে ক্লান্ত হয়ে ডিউটি শেষ করে বাড়ী ফেরে। জায়েদ বিবাহিত, তবে তার স্ত্রী সারাহ্ (টিউলিপ জোশি)সেদিন বাসায় ছিলো না।
পুনে গিয়েছিলো বান্ধবীর বাসায়। হঠাৎ রাতে জায়েদ তার সহকর্মীর ফোন পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয় এবং জানতে পারে- একটি লাশ পাওয়া গেছে যার চেহারার সাথে সারাহ্'র সাদৃশ্য রয়েছে। জায়েদকে সেই লাশষ সনাক্ত করতে হবে। জায়েদ বিস্ফোরিত নেত্রে দেখে-এটা তারই স্ত্রী সারাহ্ !
পরদিন পুলিশ এসে জায়েদকে তার বাড়ীতে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা বলে যে, সারাহ্'র শরীরে যে স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে তাতে তারা নিশ্চিত- সে একজন Suicide bomber এবং বিস্ফোরণ তার শরীরে বাঁধা RD-X থেকে হয়েছে ! জায়েদ কিচ্ছু বিশ্বাস না করে তার বন্ধূ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে মতামত পেশ করে।
জায়েদ নির্দোষ প্রমাণিত হয় কিন্তু সারাহ্-কে নির্দোষ প্রমাণ করবার যুদ্ধে নামে। কিন্তু হায়! একদিন তাকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাড়ীতে ফিরে সে একটি ডিভিডি পায় যেটা নাসিক থেকে পাঠানো হয়েছিলো। জায়েদ ডিভিডি চালু করে দেখতে পায়- সারাহ্ মাথায় সবুজ পট্টি বেঁধে আরবি লিখা পতাকার সামনে স্টেনগান হাতে দাঁড়িয়ে তার এই 'শহীদ' হবার ঘটনায় সবাইকে আমোদ-ফূর্তি করতে বলছে। হতভম্ব হয়ে যায় জায়েদ। যেই মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি, মদ্যপান করে না; সে পাড়ি জমায় বারে...
ঘটনাক্রমে জায়েদ পরিচিত হয় সারাহ্'র জীবনের ভীষণ মর্মান্তিক ঘটনা অনুসন্ধানে... যেটা সে নিজে কখনোই শোনেনি।
জঙ্গিদের মুখোমুখি হতে মৃত্যুরও পরোয়া করে না সে। তার প্রিয়তমা স্ত্রীর ব্রেইন ওয়াস করে যারা তাকে হত্যা করে সেই 'মাওলানা ফরীদি' কে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ায় সে...
ছবির গানগুলো খুবই সুন্দর ও চিত্তবিনোদনপূর্ণ যা আপনাদের আকৃষ্ট করবে। তাই দেরি না করে দেখতে বসে যান শ্বাসরুদ্ধকর 'ধোঁকা' ছবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।