একটু আগে বাড়ি ফিরলাম। সব ঝামেলা চুকে। দরোজায় দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে দ্যাখি, এ-কী! আমার সমস্ত শরীর যেনো পুড়ে যাচ্ছে শারদীয় জোছনায়, তীব্র আলোয়।
ঠিক অর্থে কবে কবিতা লেখা হয়ে ওঠেছে জানি না। কবিতা লেখা কিঙবা কবি হয়ে ওঠায় ছোটবেলা থেকে আমার আকাঙ্খা ছিলো না তেমন।
বাঙলাদেশে কাকের চেয়ে কবি বেশি - এ প্রবাদে গা ভাসানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিলো না। প্রথাগতভাবে আমারও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার অ্যাম্বিশন ছিলো। ছাত্র হিসেবে তেমন খারাপ ছিলাম না, সঙ্গত অঙ্কুরে তাই এ অ্যাম্বিশন। স্কুলে যখন, পরীক্ষার খাতায় মাই অ্যাইম ইন লাইফ রচনায় পরম সাচ্ছন্দে আমার এ অ্যাম্বিশনের কথা লিখতাম অনায়াসে। কোনো সন্দেহ ছিলো না।
ক্লাস নাইনে উঠার পর র্ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ নেয়ার সাথে সাথে আমার অ্যাম্বিশন চিরদিনের জন্য ভেস্তে যায়।
মনে পড়ে, স্মরণীয় হয় এই মুহূর্তে, প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন সময়ে ঐ দেখা যায় তালগাছ/ঐ আমাদের গা ..., ছোটন ছোটন পায়রাগুলো ... আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে..., আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, কাঠবিড়ালী, আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা, হাকডুম বাকডুম . . . এসব কবিতা, ছড়া পড়তাম পাঠ্যবইয়ে আর মনের গভীরে দৃশ্যগুলো এঁকে চলতাম। আলোড়িত করে যেতো, হৃদয় ছুঁয়ে যেতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন, বন্দে আলী মিয়া, গোলাম মোস্তফা, সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, রোকনুজ্জামান দাদাভাই_এঁদের কবিতা, ছড়া পড়তাম, আর তখন স্বপ্ন দ্যাখতাম, ইচ্ছা জাগতো তাদের মতো হতে। সচেতন জীবনে অবিচ্ছিন্নভাবে-মনোগত অগোচরে একটু লোখার বাসনা পেতাম।
সক্রিয় ছিলো না, তবে।
>> চলমান . . . >>
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।