আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বইনরে ঠকাইয়া আর কতো খাবি ?

.এই ব্লগে যে কয়টি পোস্ট আছে, সেগুলোর মন্তব্য সরাসরি প্রকাশিত হবে না। এই অক্ষমতার জন্য অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।

এক. প্রস্তাবিত নারী নীতিমালায় নাকি শরীয়তের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে । এই চিন্তায় আমাদের তালিবানী মোল্লা দলের মাথা গরম । গরম তো গরম , এমন গরম যে তারা জাতীয় মসজিদের জায়নামাজ পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ।

( নাউজুবিল্লাহ । আল্লাহ তাদের উপযুক্ত বিচার করুন । ) সম্পত্তির বন্ঠন নিয়ে এই দুপেয়ে মূর্খদের যে পরিমান উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে , তার একটা ক্ষুদ্র অংশ যদি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের আর অন্যান্য কারনে প্রান অষ্টাগত মানুষদের জন্য থাকত , তাহলে আমি খুব আনন্দিত হতাম । চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কয়েকহাত বদল হয়ে একদিনের মাঝেই যখন তেলের দাম ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা লিটার হয়ে যায় , তখন যদি হজরতে আলা আমিনী সেখানে গিয়ে লোকজন নিয়ে কিছু চালের খালি বস্তাতে আগুন লাগাতেন , তাহলে আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা করতাম । তারা যদি বিদ্যুতের দাবীতে মিছিল করতেন , সার আর সেচের পানির জন্য মিছিল করতেন , ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক দেয়ার দাবীতে মিছিল করতেন , তাহলে বুঝতে পারতাম যে আল্লাহর বান্দারা খুব ভালো একটা কাজের কাজ করছেন ।

তারা সেসব করেন না । কারন তাদের এসবের দরকার নেই । তারা সেচ দেন না , সার দেন না , উৎপাদনশীল খাতে তাদের অবদান শূন্য ; এই বিশাল জনগোষ্ঠী লিল্লাহ সদকা জাতীয় দানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পাজেরো গাড়ি চড়ে দাপটের সাথে চলতে পারেন । তাদের মূল উদ্দেশ্য বেহেশতে যাওয়া , দুনিয়াদারী নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই । মজার ব্যাপার হল, সম্পদের সমবন্ঠন একটা দুনিয়াদারী প্রসেস , কিন্তু সেটাতে উনাদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ।

বাংলাদেশে কোরআন সুন্নাহর আইন প্রচলিত নয় । এখানে চুরি করলে হাত কাটা হয় না , ধর্ষন করলে পাথর ছুড়ে মারা হয় না , এখানে বৈধ অবৈধ শত শত ব্রথেল এ কেউ জেনার অপরাধে গর্ত খুলে মানুষকে হত্যা করবে এমন আইন নেই । বরং ডাক্তার আঈজুদ্দিন দেখিয়েছেন যে আমাদের অনেক আইনই কোরআন সুন্নাহর বিরোধী । যুগ যুগ ধরে এই আইনগুলো প্রচলিত আছে , সেগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন করতে কাউকে দেখিনি । অথচ সম্পদের সমবন্ঠনের কথাটিতে তারা আপত্তি জানালেন ।

এমন জঘন্য পদ্ধতিতে আপত্তি জানালেন যেটি কোন অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয় । দুই . নারীনীতির প্রস্তাবে অবশ্য এরকম কোন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে আমার চোখে পড়ে নি । আসলে এইসব করার মতো মেরুদন্ড অলা শাষক এখন আমাদের দেশে জন্মায় না , এসব বলার মতো বুদ্ধিজীবি আমাদের দেশের মায়েদের গর্ভে তৈরী হয় না । শত শত সরিশৃপ এখন আমাদের নেতা , আমাদের বুদ্ধিজীবি , আমাদের সুশীল সমাজ , আমাদের সৈনিক । এরা ভোটের জন্য উন্মাদের সাথে জোট বাধে , এরা খতিবের কাছে দল বেধে গিয়ে নাখে খত দেয় , এরা নিজের জান বাচিঁয়ে স্বার্থমতো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ।

বর্তমান আন্দোলনের পুরো বিষয়টির সাথে ইসলাম প্রেমের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না । পুরো বিষয়টিই পুরুষতান্ত্রিক ইতরামির একটা নমুনা । বিয়ের মোহরানা পরিশোধ করেছে এমন মানুষ আমি প্রতি একশজনেও একজন দেখি না । কিন্তু তখন ইসলাম বিপন্ন হয় বলে শোর উঠে না । সেটা নিয়ে মোল্লাদের কোন হল্লা হতে শুনিনি ।

অর্থাৎ , পাওয়ার সময় মোল্লারা সব আমোদে আহ্লাদিত , দেবার সময় তাদের আতেঁ ঘা লাগে । সেই ঘা এমনই তীব্র যে জাতীয় মসজিদের জায়নামাজ পুড়িয়ে সেটাতে মলম লাগাতে হয় । ইসলাম এখানে গৌন , ইসলাম প্রেম এখানে কাজে লাগছে ব্যক্তি স্বার্থের প্রয়োজনে । আর আমাদের শাষক গোষ্ঠী , আমাদের রাজনীতিবিদেরা , আমাদের সুশীল আর বুদ্ধিজীবিরা নিজস্ব মেরুদন্ডহীনতার কারনে এর বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলছে না । এতে করে এই স্বার্থবাদী মহল আরো উগ্র ,আরো ইতর হয়ে উঠছে দিনে দিনে ।

এই জাতিকে এগুতে হলে এই সব ইতরামির বিরুদ্ধে সবারই সাধ্যমতো রুখে দাড়ানো দরকার । এখন সময় এসেছে , ব্লগার মাথামোটার মতো সবাই মিলে এই সব মোল্লাদেরকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া- বইনরে ঠকাইয়া আর কতো খাবি ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।