কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
মঈন উ আহম্মদ জনস্বার্থে তার চাকরীর মেয়াদ বাড়াইছেন...তিনি যদি তার স্বপদে বহাল না থাকেন তাইলে দেশ আবার ভিন্ন পথে চলতে শুরু করতে পারে...জনস্বার্থ বিঘ্নিত হইতে শুরু করবো। এই খবরে আহামরি কোন নতুনত্ব নাই, কিন্তু লক্ষ্যণীয় কিছু বিষয় আছে...২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারী যখন সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়া একদল শিক্ষিত উপদেষ্টার হাতে দেশ সমর্পিত করনের প্রক্রিয়া শুরু করে, তখন তারা নিজেগো এই উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অংশ হিসাবে প্রচারনার কাজটাও হাতে নিছিলো। আমরা জানি দেশের সবচাইতে সুশৃঙ্খল (?) অংশ সেনাবাহিনী...তারা তত্ত্বাবধায়কগো দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামের পথিকৃৎ হইলো...আর তাই আস্থাশীল হইলো দেশের তাবৎ শহুইরা মধ্যবিত্ত মানসিকতার লোকেরা। পথে পথে ছিনতাই নাকি কমলো...ঘুষ-দুর্নীতি নাকি শুণ্যের কোঠায় নাইমা আসলো...ফুটপাতে হাটতে নাকি আমাদের এখন আর হকারগো শরীরের ঘামের গন্ধ আর বেয়াদবী সহ্য করতে হয় না...
এই যে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করলো সেনাবাহিনী তার রূপকার কে ছিলেন? সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত রইয়া গেছে তার আরম্ভকাল থেইকাই...আমরা কখনো শুনছি আমাগো ত্রাতা মে.জে. মাসুদ...কখনো শুনছি সিরাজুল আলম খান...কখনো শুনছি এর বিরোধী ছিলেন মঈন উ আহম্মদ। গুজবের যেহেতু দায়বদ্ধতা নাই, তাই ডালপালা ছড়ানের কোন সীমারেখা থাকে না। কিন্তু প্রায় সোয়া এক বছর পর আমরা জানতে পারি যে মঈন উ আহম্মদ সাহেবই ছিলেন এই পুরা কাহিনীর রূপকার।
ব্যক্তি যখন রূপকার হয়...তার অনুপস্থিতিতে যখন জনস্বার্থ বিঘ্নিত হইতে পারে বইলা আমরা ধারনা পাই, তখন আমার প্রাণে শঙ্কা জাগে! এ কী! তাইলে আরো অনেক গল্প আছে সোজাসাপ্টা সামরিক জান্তার প্রচ্ছদ আড়ালে!? মঈন উ আহম্মদ সাহেব জনগণের লেইগা যা করতে চান, সেনাবাহিনীতেই তার বিরোধ না থাকলে, কেনো তার আরো এক বছর ক্ষমতার লাগাম ধইরা রাখতে হইবো?
আমি শংকিত হই একটা দেশের হিতাকাঙ্খী (!) একজন মানুষ ভয় পাইতেছেন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোন উত্তরসুরী নাই...এই স্বরে আমরা কি কোনরম আশাবাদে যাইতে পারি? এই উচ্চারনে আমি অতীতের অনেক ছদ্মবেশী মুখের ছবি দেখতে পাই...যারা জনস্বার্থের কথা কইয়া আমাগো জীবন নিয়া খেলছে...জীবনের কোন মূল্য নাই এই জনস্বার্থমূলক স্থায়িত্বে।
শ্রদ্ধেয় মঈন উ আহম্মদ, জনগণ মনে হয় তাগো স্বার্থত্যাগ করতে রাজী আছে আপনার মেয়াদ পূর্তিতে...সামরিক নেতাগো মেয়াদের বর্ধিত করন কখনোই ভালো কোন পথ দেখায় নাই অতীতে...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।