আমার বড় আব্বা
রাত দীর্ঘ হলে সোডিয়ামের আলোয়
নিজেকে মনে হয় জন্ডিসের রোগী। আর
চোখ দুটোকে মনে হয় সিগারেটের আগুন।
আমি তখন হাঁটুগেড়ে বসে পড়ি ব্যক্তিগত দরোজায়
পেছনে পড়ে থাকে সাপের খোলস ছড়ানোর মতো
বিষণ্ন কিছু বাওকুড়ালি দুঃখ।
নিজস্ব আয়নায় পিতামহের ছবি দেখি
আব্বা বলতেন,
তার পিতামহেরও প্রপিতামহ নাকি
ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন
আট দশ পুরুষ পর তার মতো অবিকল চেহেরা হবে
তারই উত্তর পুরুষের কোনো একজনের। এবং
তিনি নাকি গড়েছিলেন প্রাচীন বটেশ্বরী
আর ব্যবিলনের কোনো এক লুপ্ত গোলাপের বাগানে
নগ্ন রমণীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন বুকের পাজর।
বড় আব্বা সেদিন কি আপনার সঙ্গে
কোনো স্বভাব কবির দেখা হয়েছিল?
যার কাছে জমা রেখেছিলেন
গুপ্ত সব ঐশ্বর্য কিংবা আমার জন্য আর্শীবাদ।
০৭.০৪.২০০৮
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।