গত রাতে স্যার রিকোয়েস্ট করলেন আমি যেন তাকে একটু সঙ্গ দেই। প্রবীণ মানুষ কথা বলতে ভীষণ পছন্দ করেন কিন্তু শোনার মানুষের খুবই অভাব, এই যন্ত্রশহরে।
স্যার সাধারণত বাইরে কিছু খান না।
কিন্তু গাড়ির এতো দেরি যে স্যার নিজেও হাঁপিয়ে উঠলেন অপেক্ষা করতে করতে। গাড়ি লাইনে দাঁড়িয়ে, গ্যাসের লাইন।
বিদ্যুতের কারণে এই জ্যামিং। আমি খিদেয় অস্থির! স্যারকে বললাম.. কিছু খাওয়ার অফার করলাম, স্যার অপারগতা প্রকাশ করলেন, কিন্তু পরে যখন বুঝলেন আমিও তারজন্য অভুক্ত তখন নিয়ম ব্রেক করলেন। ...
বাসায় গেলাম দারুণ এক অনুভূতি নিয়ে। স্যারের সঙ্গে অনেকরকম আলাপ হলো। তিনি অত্যন্ত বিজ্ঞ এবং পরিশীলিত উন্নত মূল্যবোধের মানুষ।
মানুষের অনেক নেগেটিভ সাইডকে তিনি পজিটিভলি দেখতে অভ্যস্ত। এমনকি যে চুরি করে তার এই প্রবণতাকেও তিনি অত্যন্ত দয়ার সঙ্গে দেখেন।
আমি অবশ্য ফোড়ন কাটলাম। বড়চোরদের প্রসঙ্গে। তিনি হেসে আমার আবেগটাকে পিঠ চাপড়ে দিলেন।
বাসায় গিয়ে দেখি আমার রুম দখল। আমাদের আত্মীয়-আত্মীয়া। কাল এমেরিকা চলে যাচ্ছে। পুলিশ ঘাঁটতে পারে, যে কারণে আমাদের বাসায়। পুলিশ ঘাঁটতে যাবে কেন?
না, দোষটা তাদের নয়।
তাদের আঙ্কেলের। দুইজন জেলে। বিশিষ্ট ভদ্রলোক এবং ব্যবসায়ী। একজনতো হাওয়া.... আমি আর বলতে চাই না।
সেই আঙ্কেল, যাকে কোনওদিন পুলিশ ধরতে পারে আমরা কল্পনাও করিনি।
কারাগারে বসে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অজুহাতে মুক্তির জন্য তড়পাচ্ছেন।
আমাদের বাসার সকলের একটাই ক্ষোভ সরকার এইলোকটাকে না ধরলে কী হতো? তিনিতো বহু মানুষের উপকার করেছেন!
সত্যিইতো! তার এতোগুলো ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান, হাজার হাজার কর্মচারী- কর্মকর্তা, এতোগুলো ফ্যামিলি বেঁচে আছে।
কিন্তু একটিবার যদি ভাবি কোথায় পেলো এতগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ার সামর্থ? কেবল রাজার বন্ধুত্ব?
এগুলো আমরা সবাই জানি।
আমি নিজেও চাই সে মুক্তি পাক, কিন্তু সবাই যদি নিজের লোককে নিরপরাধ ভেবে আড়াল করেন তাহলে অপরাধীরা আড়ালেই থেকে যাবে ডযভাবে এতোদিন ছিল। অপরাধী হলে আমার বাবারও শাস্তি হোক আমি তাই চাই।
তবে একটি কথা শাস্তি হোক সকল অপরাধীর। শুধু আমার বাবা শাস্তি পাবে আর বড়বড় অপরাধীরা থাকবে অনতরালে তা যেন না হয়। সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন।
আত্মীয়তার স্বার্থে অনেককিছু গোপন করতে হয়েছে, তবে অনেকেই বুঝতে পেরেছেন এটাও সত্য।
এই কষ্টটা বোধয় পেতে হবে না, যে শুধু আমার বাবার কেন শাস্তি হলো! কারণ ইতোমধ্যে খোকার তল্পিখবরও বের হয়েছে, আশা করছি তোফায়েল চাচার সি-প্লেনে চড়ার(ক্ষমতা যাওয়ার পরও) রহস্যও বের করবে এ সরকার।
যদিও শুনছি ইনি আনোয়ার সাহেবের আজ্ঞাবহ, অতএব বিদেশি শত্রুর সঙ্গে সরকার লড়তে চান না এখনই।
আমি কোনওমতে ছোটভাইয়ার ঘরে রাতটা কাটিয়েছি। যেহেতু অতিথি। না মিলুক মতের সঙ্গে। বাসার অন্যরাতো ভালোবাসে।
কারণ এদের কল্যাণে আজ আমরাও যথেষ্ঠ ধনী। অতএব কৃতজ্ঞতা থাকা উচিৎ।
এটি কেবলই গল্প। শুষ্কমস্তিষ্কের কল্পনা। কেউ সত্য ভেবে কোনও সিদ্ধোন্তে যেন পৌঁছবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।