আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের অডিও বাজারঃ হাবিব বালামের চমক।

আদর্শটাকে আপাতত তালাবদ্ধ করে রেখেছি...

বাংলাদেশের মিউজিক মার্কেটে বোধহয় একটা বিপ্লব টাইপ কিছু হয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে হাবিব, বালাম এরা বিশাল অংকের টাকা পাচ্ছেন তাদের করা এ্যলবামের জন্য। বালাম তার বালাম শিরোনামের এ্যলবামের বিশাল সফলতার পর তার পরবর্তী এ্যলবামের প্রযোযকদের কাছে বিশাল টাকা অংকের টাকা দাবী করেছেন এবং তা পেয়েও গেছেন। বাজারে বালামের নাম এখন তিরিশ লাখী। হাবিবও তার এ্যলবাম উচুমূল্য হাকিয়ে বিশাল টাকা নিচ্ছেন।

ইদানিং শোনা গেল আসিফও নাকি তার নতুন এ্যালবামের জন্য রেকর্ড পরিমান টাকা দাবী করে পেয়েছেন। কথা হচ্ছে এ প্রথা দেশের মিউজিক ইন্ড্রাষ্ট্রির জন্য ভাল না খারাপ? এ বিষয়ে প্রায় সবাই বলছেন খারাপ। টাকা নাকি শিল্পের মান কমাবে। আজকের পত্রিকায় দেখা গেল বেবী নাজনীনকে প্রশ্ন করা হল তিনি তার নতুন এ্যলবামের জন্য কোন মূল্য হাকছেন কিনা। জবাবে তিনি এ রকম মূল্য হাকার বিরোদ্ধে কথা বললেন।

তার কথা, সঙ্গীত চর্চা করা কোন ব্যবসা নয় যে কোরবানীর গরুর মত দাম হাকা হবে। কেন জানি মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মিউজিক জগৎ প্রফেশনালিজমের দিকে এগুচ্ছে। এদেশের মিউজিকের বাজারটি কিন্তু ছোট নয়। কিন্তু কোন কালেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এমন শোনা যায় না যে তারা লাভ করছেন। তারা শিল্পীদের নামমাত্র রয়ালিটি দেন।

শিল্পীদের আয়ের মূল খাত এখনও কনসার্ট। বালাম হাবিব, আসিফদের সৌজন্যে মনে হচ্ছে এ দেশের মিউজিক ইন্ড্রাষ্টি পেশাদারিত্বের পথে আগাচ্ছে। কিন্তু কেন যে শিণ্পীদের কেউ কেউ একে ভাল চোখে দেখছেন না কে জানে। গান গাবে শিল্পীরা, তাদের সিডি বিক্রি হবে, তারা টাকা পাবে না তো কে পাবে? তারা যদি উচ্চমূল্য হাকিয়ে প্রতি এ্যলবামের জন্য মোটা টাকা পায়, তাতে কিভাবে শিল্পের ক্ষতি হয় তা বুঝতে পারছি না। বরং মোটা টাকা পেলে শিল্পীরা এত বেশী এ্যলবাম করবে না।

বছরে একটা দুটা করে ক্ষান্ত দিবে। কবছর আগে মিক্সড এ্যলবামের জোয়ার আমাদের দেশের ব্যান্ড ক্রেজের প্রায় ১২ টা বাজিয়ে দিয়ে গেছে, তার মুলেও ছিল টাকা। ব্যান্ডরা যদি গ্রুপ এ্যলবাম থেকে মোটা অর্থ পেত তবে তাদের মিক্সড এ খুচরা গান গেয়ে সারাক্ষন বাজারে থেকে আবেদন নষ্ট করতে হত না। একসময় জেমস, বাচ্ছুর এ্যলবামের জন্য সবাই কি আগ্রহে অপেক্ষা করত। এরপর তারা অবিরত মিক্সডএ গান গেয়ে আবেদন হারালেন।

তাই আজ জেমসের রেকর্ড ওই ১৪ লাখেই রইল আর বালাম ৩০। হয়ত এখন জেমসও বেশী পাবেন। গানও হবে মুডী, তাতে স্যকরিফাইস থাকবে না। আমাদের দেশে এখনও এ্যলবাম প্রতি রয়ালিটির ব্যবস্খা চালু হলনা। এটা হলে শিল্পীদের আয় আরও বাড়ত।

আর অডিও প্রযোজকদের মারোয়ারী ব্যবসা বন্ধ হয়ে একটি সুস্থ ব্যবসায় পরিনত হতে পারত। যে যাই বলুন না কেন, ভেতরে ভেতরে সবাই চান ভাল রয়ালিটি আর তা পেলে যে গান করার প্রতি আগ্রহও বাড়ে সেটাও জানেন। এখন শুধু হাবিব বালামরা পাচ্ছে বলেই হয়ত এই সাময়িক বিরোধীতা। ভবিষ্যৎে তারাও চাইবেন আর প্রযোজকরা ন্যায্য রয়ালিটি না দিয়ে পার পাবেন না, যেমনটা ইতিমধ্যেই আসিফ করে ফেলেছেন, যদিও ইনিও বেশী অর্থ নেবার বিপক্ষে ছিলেন সেদিনও। সবমিলিয়ে আশার লক্ষন দেখা যাচ্ছে।

হয়ত খুব শীঘ্রই আরও বড় হয়ে যাবে আমাদের অডিও শিল্প হবে আরও আধুনিক।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.