তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
আমার দাদা ভাবতেন গেরস্থের সন্তানের বেশি লেখাপড়ার দরকার নেই। বেশি লেখাপড়া মানেই ক্ষেতিবাড়ির কাজে গাফলতি।
বাবা দাদার সাথে একমত হননি। নিজের বিবেচনায় দেখেছেন লেখাপড়ার দরকার আছে। দাদার নীতিগত সমর্থন না থাকা তিনি সত্ত্বেও উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে গেছেন।
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের একজন সম্ভ্রান্ত শিল্পপতি হিসেবে। আমার প্রয়াত দাদা যদ্দিন বেঁচে ছিলেন গর্বিত ছিলেন নিজের ভুল স্বীকার করে। আমি সেটা দেখেছি নিজের চোখেই।
নিজের মানসিক দৃঢ়তা থাকলে গুরুজনের নীতি কিংবা বিবেচনার বাইরে যাওয়া যায়। গিয়ে দেখানো যায় আমিই ঠিক অবস্থানে ভুল ছিল তোমাদেরই।
এটা সম্ভব। খুব কঠিন কোনো ব্যাপার নয়।
গুরুজনকে শেখানোর এই সুযোগটা যারা হারায়, যাদেই সেই মানসিক দৃঢ়তাই নেই, তাদেরকে আমি বেছে নেয়া পথের জন্য তাদের গুরুজনের দোষ দেব না। বরং সব দায়ভার তুলে দেব সেই কুপমুন্ডুকের ঘাড়েই।
রাজাকার কামারুজ্জামান।
যার নাম লিখতে গিয়েই আমার মুখে থুতু জমছে, তাকে এই না হয় পোস্ট থেকে সরিয়েই রাখলাম।
ওয়ামি আমি সরাসরি তোমাকেই বলছি।
আমাদের দেশের মানুষেরা এখনো দেশকে ভালোবাসে।
স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধারা এই সোনার দেশের স্বর্ণসন্তান, শ্রেষ্ঠ সন্তান।
তাঁদেরকে অসম্মান করে যে কথা তুমি বলেছ, বলার সাহস করেছ, সে কথার জবার এ দেশের মানুষ এখনো দিতে জানে।
আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি তোমার ধৃষ্টতা দেখে মাথায় আগুন ধরে গেছে সবার। ঠিক যেমন এখন আমার মাথা দপ দপ করেছে। মুঠো হয়ে আসছে হাত। ইচ্ছে করছে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলি তোমার কুষ্ঠমানসিকতার ধারক দেহটিকে।
যদি কখনো দেখা হয়।
যদি ভাগ্যবিধাতা সে সুযোগ করে দেয়।
তবে আমি, কিংবা অন্য আমার হয়ে অন্য কেউ, এক দলা থিকথিকে ঘৃনা ছিটিয়ে দেবে তোমার মুখে।
দেবেই!
বিশ্বাস হয় না তো?
হবেই!
(এইসব নিও রাজাকারের ব্যাপারে সামহোয়্যার ইন-এর ঠান্ডা নীতি দেখে আসছি অনেকদিন থেকেই। একদিন দু’দিন করে ব্লগে সময় তো কম গেল না। ব্যাপারটা রহস্যজনক, এবং একই সাথে হতাশাজনক।
তাই সেই সামহোয়্যারের কাছে ওয়ামির ব্যান চেয়ে খামাখা নিজেকে ছোট করার মানে হয় না। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।