(১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার) : ৩৫ বছর বয়সী এক মার্কিন মহিলা দীর্ঘ দু'বছর প্রেমিকের বাথরুমে কাটান। পরে তাকে কমোডে আটকে পড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে বাথরুম থেকে বের করতে প্রেমিক যুবক শেষ পর্যন্ত পুলিশের আশ্রয় নেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নেস কাউন্টির নেস শহরে। যা সারা মার্কিন জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রেমিক জানায় সে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাথরুমে থাকত। সে যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্কা তাই সে তার ইচ্ছামত যা কিছু করার অধিকার রাখে। প্রেমিক কোরি এমসিফারেন বলেন আমি তাকে যা ইচ্ছা তাই করতে দিয়েছি এটি আমার দোষ আমি তা স্বীকার করছি। সে বাথরুমটিতে প্রার্থনা কক্ষ বানিয়ে ফেলেছিল। তার কমোর পর্যন্ত কমোডের মধ্যে আটকে গেলে সে অবস্থাতেই তাকে হাসপাতালে যেতে হয়।
পাম বাবকোসেক নাম ওই যুবতীর বাথরুম ফোরিয়া রয়েছে।
ছোট বেলায় পাম তার মায়ের হাতে মার খেলে বাথরুমে লুকাতো বলেও সে জানায়। পাম দিনের কতটা সময় বাথরুমে কাটাত এ প্রশ্নের জবাবে কোরি বলে, তার বাথরুমে কাটানোর সময় ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল। তবে পুক্মখানুপুক্মখভাবে সে বলতে পারবে না, তবে হঠাৎই তিনি একদিন লক্ষ করেন যে পাম দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে থাকছেন। তার পর সে পামের কাছে বাথরুমে থাকার কারণ জানতে চাইলে পামের উত্তর সে বাথরুমেকে নিরাপদ স্থান মনে করে।
সে বাথরুমের মাঝেই ঘোরাঘুরি করতো, পামের জন্য কোরি নতুন কোন পোশাক আনলে সে সেটা নিত, পরত, পাম বাথরুমে বসে খাবার খেত। কোরি পামের মাঝে স্বাভাবিক সব সম্পর্কই ছিল। তারা সব সময় বাথরুমেই দেখা সাক্ষাৎ করতেন বলে কোরি জানান। পামকে খাবার ও পানি এগিয়ে দিত কোরিই। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোরি তার প্রেমিকার অবস্থা জানিয়ে পুলিশকে ফোন করে।
সে বুঝতে পারছিল না পাম ভেতরে কি করছে। তার আচরণে মনে হচ্ছিল সে মাতাল। এমনকি সে জেগে আছে কিনা কোরি তাও বুঝতে পারছিল না।
পুলিশ যখন তাকে উদ্ধার করে তখন পামের ভালো কাপড় পড়া ছিল তবে তার প্যান্টটি উরুর বরাবর নামান ছিল। তার চেহারা ফ্যাকাশে পা দু'টি এমনভাবে ঝুলছিল যেন মনে হচ্ছিল দড়ি।
সে ইচ্ছাকৃত তার দেহ ওই কমোডের মাঝে ঢুকিয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান। সে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে যেতে অস্বীকৃতি জানালেও পড়ে রাজি হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সেটি এমন এক দৃশ্যছিল যা কল্পনা করা যায় না। পাম জানায় তার কোন সাহায্যের প্রয়োজন নেই এমনকি সে ওই স্থান ত্যাগ করতেও চায় না। তবে কাউন্টি ন্যাটার্নি কোরির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করতে যাচ্ছেন।
কোরি এবং পাম ১৬ বছর একত্রে বসবাস করছে। কোরি একটি এ্যান্টিক মলে কাজ করে। কোরি জানায় সে প্রতিদিন তাকে বাথরুম থেকে বের হবার জন্য বলেছে। প্রতিদিনই সে উত্তর দিয়েছে 'আগামীকাল'। পাম বর্তমানে ইউসিটা হাসপাতালে রয়েছে।
তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো তবে সে চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাদের কোন রকম সহায়তা করছে না। পুলিশ যখন তাকে উদ্ধার করে তখন পামের দু'পায়ে কোন অনুভূতি ছিল না। চিকিৎসকরা বলছে সে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন কমোডের মাঝে থাকায় তার পায়ের শিরায় মারাত্দক ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পামের কোন দুঃশ্চিন্তা আছে বলে মনে হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।