"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"
লিখি না, ব্লগে তো না ই। মনে হয়, এখানে সেই আগের কি যেন নেই।
সব হয়তো আছে আগেরই মতো শুধু আমি পাল্টে গেছি এমনটাও হতে পারে।
এবছর আমার ত্রিশ বছর বয়স হয়ে গেলো।
আমাকে কেউ বলতে পারেন আমার দেশে তথাকথিত ইসলামের ধ্বজাধারীরা এ পর্যন্ত কোন ভালো কাজটা করেছে?
বা কোন খারাপ কাজটার প্রতিবাদ জানিয়েছে?
আমার তথ্যে ভুল থাকতে পারে কিন্তু আমার ক্ষুদ্র স্মৃতি স্মরণ করতে পারছে না।
যখনই কোন কিছু ধোপে টিকে না তখন দেখি কোরআন কোরআন বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে।
বিশেষ করে নারী সংশ্লিষ্ট কোন ইস্যু এলে মালকোঁচা মেরে নেমে পড়ে। ওহ্ হো, নারীর কোন দুঃখে তারা সমব্যথী হয় না,
আজ পর্যন্ত একটা ধর্ষণের বিচার চেয়ে মাঠে নামেনি, এসিড নিক্ষেপের বিরুদ্ধে ফতোয় দেয়নি, যৌতুক নেয়া যে গর্হিত অপরাধ সে কথা বলেনি কিন্তু নারীর মসজিদে গিয়ে নামায পড়া হারাম এরকম ফতোয়া দিতে বাঁধেনি।
জানি না কোন মায়ের সন্তান এরা।
আমি শুধু জানি যে জাতি, যে ধর্ম (তা যাই হোক) যত বেশি নারীকে অবজ্ঞা করেছে, করেছে অত্যাচারে জর্জরিত, তাদের পতন হয়েছে ত্বরাণ্বিত।
যে ই জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিতে সম-অধিকার এবার নারী দিবসে যোগ হবার কথা সামনে এসেছে নর্তন কুর্দন শুরু হয়ে গিয়েছে -
শায়খুল (এর নামের পেছনে 'হাদীস' শব্দটি ব্যবহারে আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা আছে), ফজলুল হক আমিনী (মাওলানা উপাধির উপযুক্ত নয়) ইত্যাকার ব্যক্তিদের আস্ফালন।
আমার দুঃখিনী বঙ্গনারী : স্বামী মারা যাবার ৩দিনের মাথায়, দেবররা সম্পত্তিতে ভাগ আছে এমন চিঠি নিয়ে এসেছে আদালত থেকে তেমন ঘটনাও তো আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি। কি অসহায় সেই মহিলা! তিনটা নাবালিকা মেয়ে নিয়ে নিজের স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এই তো আমাদের আইন।
আমি নগন্য মানুষ। কতজন আমার এমন কথা শুনলে আমাকে পিটাতে আসবে ইসলাম মানি না বলে। সত্য কথা হচ্ছে নারী বাবার সম্পদ ও পায় না, স্বামীরটাতো না ই। সারাজীবন শুধু অন্যের জন্যে বেঁচে থাকে। নিজের জন্যে কিছু নেই।
নারীর শেষে থাকে শায়খুল, আমিনীদের মতো সন্তানেরা; যারা জন্মের জন্যে মায়ের গর্ভকে স্বীকার করে, কিন্তু মানুষ হিসেবে মা কে একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ, ধর্মের কাঁদুনি গেয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।