আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
হুমমম... বই মেলা নিয়া লেখতে বসলাম। কুটিকালের অভিজ্ঞতা থিকা ঈমানে কইতাছি ভ্রমনকাহিনী মেলা পদের হয়। যেমন নৌকা দিয়া পুস্কনি ভ্রমন, রেল দিয়া লাইন ভ্রমন, রিক্সা দিয়া এলাকা ভ্রমন। এইসব সরেস ভ্রমন কাহিনী নিরেট ভাবে লিখিয়া মেলা মানুষ কামেল হইয়াছেন, এসএসসি, এইচএসসি,বিএসসি, মিছামিছিতে ছক্কা মারিয়া মক্কা পাঠাইয়া জ্ঞানী মানুষেরা স্ট্যান্ড নামক বস্তুতে পাইয়া পত্রিকায় ফটুকও তুলিয়াছেন।
তাই ভাবিলাম আমিও একজোড়া পাউ দিয়া বই মেলা ভ্রমন লিখি, দেখি কপালে কিছু জুটে কি না!
ভোর ৯:৩৭ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে হঠাত পায়ের মধ্যে কিন্ঞ্চিত মিস্টি যাতনা অনুভব করিলাম। আমি তখন ডীপ ঘুমে সাতার কাটিতেছিলাম, তবে কাহার সাথে কাটিতেছিলাম বলিলাম না। ভালগার বাসনা না শুনাই ভালো। অর্ধঘুম ভাঙ্গিয়া (ইহা আমার এক ঘুম কাতুড়ে বন্ধুর আবিস্কার, যাহাদের ঘুম খুব গাঢ় তাহারাই কেবল এই ঘুম দিতে পারে। এক চোখ অর্ধ খোলা রাখিয়া আরেক চোখ পুরা বন্ধ করিয়া উবুদ হইয়া যে ঘুম দেয়া হয়, ইহাকেই অর্ধঘুম অথবা কানাই ঘুম বলে)চিপা দিয়া তাকাইয়া দেখি একখান পিপীলিকা আমার ঠ্যাং এ বইসা বইসা আরাম করিয়া কামড়াইতেছে।
বড্ড জ্বালাতন করে এরা ইদানিং, ডায়াবেটিস মাপাইলে রক্তে কেউ সুগার পায়না, মাগার পিপড়ারা আইসা সমানে কামড়া কামড়ি। এমন সময় ঐ কিন্ঞ্চিত যন্ত্রনার সহিত সামান্য নিম্নচাপ অনুভাব করিলাম। অগত্যা কি আর, ঘুম ভাঙ্গিয়া খাট হইতে আমার মহান পদযুগল ফ্লোরে পদার্পন করাইয়া শুভ দিনের মোরগ (মোড়কের আপডেটেড ভিসতা ভার্সন) নেংটা (উন্মোচন মানে উন্মুক্তকরন) করিলাম। খাওন পর্ব শেষ করিয়া আমাদের পরানের ধুরোমনি কাল্টুক ওরফে কামাইল্যাকে ফোন দিলাম। উনার সম্বন্ধে দুইটা কথা না বললেই নয়।
উনি সর্বদা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করেন এবং যেইটা উনি করেন সেইটা পাবলিক যদি জানতে পারে এই সেই পোলা তাহইলে তাহাকে সবাই ছোলার সহিত রন্ধন করিয়া গরুকে গিলাইবে। আমার জানের কাল্টুক চাকরী করেন ডেসকোতে। আমাদের মিরপুর, উত্তরা, যত জোন ডেসকোর আন্ডারে তাদের লোডশেডিং ম্যানেজম্যান্ট, সুইচগীয়ার অন অফ এন্ড ডিস্ট্রিবিশনের কাজটা এর দ্বারাই হয় আর এই মদনটা ঐখানকার ম্যানেজার। এই হলো তাহার পরিচিতি। কথিত আছে তাহার কাছ থেকে কেহ দুই টাকা মারিয়া শান্তিতে কোনোদইন ঘুমাইতে পারিবে না।
ও নাকি তাহার স্বপ্নে আসিয়াও গালাগালি করিতে ছাড়ে না। যাই হোউক বিশেষ কারনে তাহার সাথে ফোনের বাক্যালাপ আমি সৎভাবে তুলিয়া ধরিলাম:
-কিরে ধনেশ ঘুম ভাঙছে?
-হ, এই ভোরে ফোন দিলি ক্যান?
-কেন জানস না, কালকা গাজীপুর যাইতে হইবো, আইইবি থিকা পিকনিক!
-যেই না পিকনিক, তার আবার ঝিকঝিক! কয়টায় যামু আইইবি?
-সকাল ৭:৩০টায় গাড়ী, আইইবি আসবি ৭ টার মধ্যে।
-তোরা মানুষ না হনুমান, হনুমানরাও তো এত নিঠুর হয়না, তোরা এত নিঠুর ক্যান, আমার সকালের দিকে তোদের এত কু নজর ক্যান? আমার বৌএর দিকে কুনজর দিলেও আমি দিলে এত চোট পাইতাম না!
-শখ কত? বান্দরের কপালে বৌ জোটেনা জানস না? যাই হোউক ১১টার মধ্যে আইসা পর, ক্যান্টনম্যান্ট যামু।
আবার শুরু হইলো ছুটির দিনে আকাম। মালের নাই খবর খালি আজাইড়া দৌড়।
যাই হোউক, শুরু হইলো বেতাইলা দৌড়াদৌড়ি আর হইলো হাজারো কাহিনী। রাস্তায় বড়ই কিনলাম, হিসাব কইরা দেখলাম একেকখান বড়ই এর দাম ২ টাকা। কামাইল্যারে দেয়া আমার মূল্যবান ডায়লগ:
-আগে বড়ই চাটান দিবি তারপর একটু একটু কইরা যতনে কামড় দিবি!
-তোর টাকায় খাইলে তো ঐটা দুইদিন সাজাইয়া রাইখা খাইতেও আমি রাজী!
এমুন সময় আমাদের বোলগের মোঘল কপালী থুক্কী এরশাদীয় ভাগ্যের অধিকারী শরৎবাবু ফুন দিলো। জানাইলো আইজকা নাকি অপার বাস্তব নামক একখানা পুস্তিকার মলাট খোলা নিয়া একখান মোরগ কাটার আয়োজন করা হইয়াছে। আমি তো শুইনাই পাংখা তবে আবার এইটা কইতেও ভুললাম না, আসার আগে সংকলক হিসেবে মাইর খাওনের প্রোটেকশন নিতে হইবো কি না?শরৎবাবু কিছু বলেনি!
হঠাত টিভিতে চোখ পড়িলো, দেখি বাংলাদেশের উইকেট বড়ই গাছের পাকা বড়ইয় ঝড়ের ন্যায় ঝড়িয়া পড়িতেছে আর রান ওয়াসার পানির ন্যায় চুইয়া চুইয়া বাড়িতেছে।
যাই হোউক কার্য শেষ অবধি আমি কাল্টুকে জানাইলাম আমার লেখা ২১শে বইমেলায় ছাপানো হইতেছে। ইহা শুনিয়া সে মহাবিস্ময়ে তাকাইলো আমার দিকে মনে হইলো সে বিশাল এ্যালিয়েন দেখিতেছে। কহিলো,"তুই চান্দে গেলেও বুঝতাম ঐখানে একটা টয়লেট তৈরী হইবো নিদেনপক্ষে,কিন্তুক তোর লেখা বইমেলায় ছাপানো হইবে ইহা আমার কাছ মনে হইতেছে আমার পকেটে গোটাল সূর্য!আগে আমারে দেখা তারপর ভাবুম কিনুম কি কিনুম না!"
আমি নামাজ পড়িতে গেলাম মনে হয় ২ সপ্তাহ পর। হিসাবে দেখলাম ফতোয়া অনুযায়ী আমি এখনও কাফের হইনাই। বাল্যাকালে শুনিয়া ছিলাম একবার কাফের হইয়া গেলে তাহাকে মুসলমান হইতে গেলে একবার খতনা, একবার আকিকা, আর বার বার কলেমা! আমি সব কাজই করতে পারুম মাগার খতনার ব্যাপারে আমার একটু সমস্যা আছে, কারন ঐটার জন্য আর স্টল বরাদ্দ দেওন যাইবো না।
তবুও ডরে থাকি! তবে নামাজে গিয়া খাইলাম ধরা, শালার ভন্ড হুজুর মনে হয় সকাল বেলা বেশী খাইয়া ফেলাইছে, বাংলা খুতবা শেষ করলো ১:৩০মিনিটে, নামাজ শুরু করিলো ১:৪৫ মিনিটে, নামাজ শেষ করিলো ২:০১ মিনিটে। তাড়ী খাওয়া হুজুর আমার সিডিউলের হাতে হারিকেন ধরাইয়া দিলো। আমি হন্তদন্ত হইয়া ছুটিলাম বাড়ীর পানে কারন পেটে কিছু যোগান দিবার দরকার। রিক্সাআলাকে বলিলাম উড়াল পঙ্খী ঘোড়ার মতো ছুটিয়া চলো, কিন্তু রিক্সার ভেলোসিটি কাছিমের ভেলোসিটিকে হার মানাইলো। মনে হইলো রিক্সা থিকা নামিয়া এক পায়ে কুতকুত খেলিতে খেলিতে গমন করিলে উহার আগেই পৌছাইতে পারিব বলিয়া আশা করা যায়।
বাসা অব্দি আসিয়া দুইটাকা বেশী ভাড়া দিয়া ঢুকিয়াই দেখি সবাই বিবাহের দাওয়াত খাইতে চলিয়া গেছে আমাকে রাখিয়া। আমি বাসায় পড়িয়া থাকা যাহা পাইলাম তাহাই খাইলাম। উহা শেষ করিয়া ছুটিলাম বোরাক পানে। বোরাক ভাই শামুকের গতিতে আমাকে নামাইয়া দিলো শাহবাগের মোড়ে।
আমার মনে তখন গান বাজে:
কি যাতনা বিষে
বুঝিবে সে কিসে
যার বৌ পলায়
সেই বুঝে দুধের সাধ কি ঘোলে মিটে?
-রচয়িতা জনৈক জোচ্চর পোলাপান
বইমেলায় পৌছাইতে গিয়া হাফডজন বোলগারকে ফোন করিলাম।
তাহারা সবাই পৌছাইয়া নাকি বইমেলার গাছের পাতা গুনিতেছে। আমি হাফাইতে হাফাইতে দৌড়াইতে হাজারো ললনার মুখচন্দন পর্যবেক্ষণ ব্যাতিরেকে বইমেলায় ঢুকিলাম। আহ কিসুন্দর লোকারন্য, সবকিছুই যেনো সুন্দরীদের জন্য। আমি ডাইনে বায়ে উপর নীচে যাহাকেই পাই তাহাকেই দেখি আর উপহার দেই বন্ড মার্কা হাসি। নিজেকে মনে হইতেছিলো ডেনিয়েল ক্রেগ-নয়া বাংলার বন্ড।
আমি একটা সুন্দরীকে বাছিয়া জিজ্ঞেস করিলাম,"আচ্ছা রেডিও ফূর্তি কই?" সে আমাকে এক পলক দেখিয়া ভ্রু কুচকাইয়া কহিলো,"সোজা যান। "
হঠাত পিছন থিকা ঐ মাইয়া একটা পোলারে কইতাছে," এই কালাফতুয়ার পোলাডারে পুরা এরশাদ সিকদারের মতো মনে হইতাছে, মনে হয় কেবল জেল থিকা ছাড়া পাইছে। কই থিকা যে আসে এই সব!" আমি মনে মনে ধরিয়া লইলাম উহা আমাকে বলে নাই কারন আমি পড়িয়া ছিলাম এ্যাশ কালারের ফতুয়া! হে হে হে হে!
কিন্তু এত লোক দেখিয়া আমার মাথা চড়কির মতোন তিনশত ষাইট ডিগ্রীর মতো ঘুইরা গেলো, এ আমি কই আইলাম? দিলাম ফুন আমাগো শরতদারে, মাগার লাইন গেলো না। ঘুরতে ঘুরতে রেডিও ফূরতিতে আইসা জুটলাম এমুন সময় দিলো এক বোলগার ফোন। আল্লাহর কি কুদরত, তার উছিলায় বুঝবার পারছে আমি পথ হারাইয়া ফেলাইছি।
সে ফোনে কইলো পিছনে তাকাইতে, পিছনে তাকাইয়া আমার চোখ আটকাইয়া গেলো রেডিও টুডের সামনে খাড়াইয়া থাকা একটা হলুদ শাড়ী পড়া মাইয়া। আহ কি সোন্দর! আবার কইলো ঐ পিছনে না আবার পিছনে, তাকাইলাম যেই পজিশনে আছিলাম তার ঠিক ১৮০ ডিগ্রী উল্টা। এইবার চোখ গেলো বিশাল মছুয়া এক বেটার চেহারার দিকে। বেতাল চেহারা দেইখা আমি ভরকাইয়া গেলাম। কি তমষা, যেইখানেই চোখ দেই দেখা যায় জটিল অমানিশা!এমুন সময় পিঠে পড়লো রাম থাপ্পর, আরে এ দেখি কাল্লু দা! সেলামালকি দেওনের টাইম পাইলাম না, কারন আমি টের পাইলাম খাড়াইয়া আছে অদূরে একগুচ্ছ বোলগার।
প্রথমেই চোখ গেলো গনকটুলির দাবড় খাওয়া কৌশিক দার দিকে। তার কেলায়িত চকচকে সুরত দেইখা মনে হইলো কাহিনী ভালা না। তারে প্রথম ডায়লগ,"বস বই কৈ?"উনি এইবার চানবদন হাসি দিয়া দেখাই দিলো পিছনে। আমি হন্তদন্ত কইরা কিনিয়া ফেলাইলাম ৬০টাকা খরচ কইরা একখানা অপারবাস্তব। আরে এতো দেখি কুটিকালে পড়া এক্সক্লুসিভ ৩০টাকার চটি সাইজ বই তাও আবার অফসেট মূদ্রণ।
তবুও লেখনের মলাট ফাটাফাটি হইছে। আমি ডাইনে বায়ে তাকাইয়া দেখি এলিট (!) বোলগার জামাল ভাস্করদা। তারে দেইখা মনে হইলো হেয় মেলা বিরক্ত, পাম মারনের লিগা গল্প ফাদলাম, তারপর বইখান আগাইয়া কইলাম,"বস একটা অটোগ্রাফ!" মাগার দেখি হের ভ্রূ কুচকাইয়া গেলো, কইলো,"কিসের অটোগ্রাফ, আমি অটোগ্রাফ দেই না!"
-কি কন বস? আপনি হইলেন অচলায়তনের এলিট বোলগার, একাধারে সামহোয়্যারে আপনারে নিয়া তো তুলকালাম,আপনারে ছাড়ুম না!
এমুন সময় কৌশিক দা তার কলম আমারে আগাইয়া দিলো, মাগার ভাস্করদা আক্ষেপ কইরা কইলো,"কিসের অচলায়তন, ঐখান থিকা আমারে খেদাইয়া দিছে মাস তিনি হইলো!"
এইবার বুঝলাম হের মাথায় টর্নেডো কেন? আর ঘাটাইলাম না। দিলাম বন্ধু বান্ধবগো ফোন। পাশে দেখি আমাগো মহান মহিলা কবি ইলিশমাছ ওরফে মাছরাঙ্গা।
তার ড্রেস দেইখা একটা কমেন্ট করবার গিয়াও করি নাই, পেটে গিল্লা ফেলাইছি। সেই কমেন্ট এইখানেই করি!
মিস রাঙ্গামাটি ২০০৮!
যাই হোউক শরত দা ওরফে মোঘলে নৃপতি ওরফে এরশাদ ভাই(হেরে কি চাচা কওন যায়?) ঘোষনা দিলেন একটু পরে অনুষ্ঠান কিন্তু তার আগে আসছে যীশুদার স্পেশাল রাজাকার বিরোধী টিশার্ট! যীশুদার চানসুরত দেইখাই মনে হইলো সেই গান-"তুমি এলে মনে হয় অনেক দিন পর বৃস্টি এলো" যেইটার প্যারোডী হইলো "তুমি এলে অনেক দিন পর মুরগী ডিম পাড়লো"(যাই হোউক এইটা ফান বস)। আরো অন্যান্য বোলগার যারা আইলো তারা হইলো মুজিব ভাই যিনি চিত্তে ঠাডামারা মোছের জন্য বিখ্যাত, কাল্লুদা যিনি মূলত একজন রোমান্টিক কবি (ভাবীরে দেখি নাই আইজকা), চুলটানা সাইরেন, আমাদের সদা হাস্যময় যিনি দুনিয়াতে আসিয়াই একটা কাজ করেছিলেন প্রথমে সেইটা হলো ফোকলা দাতে হাসি, সেই সদাহাস্যজ্জ্বল প্রত্যুদা। চত্বরের নাম জানি না তবে সেইখানে গিয়া বইয়ের মোরগ নেংটাকরনের জন্য সবাই যখন রওনা দিতে যাবে এমুন সময় আমি কিছু কুশ্চেন করি যাহা নিম্মে বর্ণিত হইলো:
১)যেই বইএর জন্য মোরগ উত্তোলন হইবো সেই মোরগ কৈ? আর ঐটা কোথায় কিভাবে জবেহ করিয়া বই এর উদ্বোধন করা হইবে আর উহা কি ফ্রাই হইবে না কসাইবে?
২) যেই বইতে আমার মূল্যবান লেখনি খানা ছাপা হইলো সেই বাবদ রয়্যালিটি কত পামু আর লয়্যালিটি কেমনে পামু? (এইখানে সম্পূরক কুশ্চেন ছিলো টাকা কোনটায় আসে রয়্যালিটিতে না লয়্যালিটিতে আর আরেকটা হইলো কোনটা কি: রয়্যালিটি এবং লয়্যালিটি)!
৩) যাহাদের নামে ব্যাপক ভুল আছে বইতে তাহাদের ব্যাপারে আমাদের মহাসম্পাদক (আসলে এই খানে সম্পাদক কেটা সেইটাই বুঝ পাওন গেলো না!) কি উদ্যেগ গ্রহন করিবেন?
৪) যাহাদের অনুমতি ছাড়া এইখানে পোস্ট ছাপানো হইয়াছে তাহাদেরকে কবে ঘুষ সংযুক্ত দাওয়াত দেয়া হইবে এবং সেইখানে আমাকে কেন ডাকা হইবে না?
উত্তর পাই নাই,কিছু কইও নাই! যেইখানে বঙ্গবন্ধুই গোলাম হোসেনরে জিগাইয়া হের কম্বলের হিসাব মিলাইবার পারে নাই, সেইখানে উদাসী তো পান্তাভাত!
উদাসী পান্তাভাত হইয়া গড়াইতে গড়াইতে বই উদ্বোধনে আমি আমার মহামূল্যবান ভাষনখানা প্রদান করিলাম আর আন্দাজে বুঝিতে পারিলাম এখন একটা খানাপিনা হবে। আমি তো মনে মনে মেলা খুশী।
এবং আশ্চর্য হইলেও সত্যি খাওন দাওনও হইলো, প্রত্যুদার সাথে কিছু চয়েজ কিছু ফিটিং সিটিং নিয়াও আলাপ হইলো! হঠাত এই মিলনিতে যারা সারপ্রাইজ হিসেবে আবির্ভূত হইলো তাহারা হইলো:
১) উন্মাদরাজ নাঈমভাই!
২) কিউট পুলা আবু সালেহ!
৩) রেডিও ফূর্তি না টুডে, কোনডার জানি আমাগো কিউট শামীম ভাই।
৪) ডিম পুচের ভান্ড আমাগো কাছিম সাইফুর ভাই(সাবেক অর্থমন্ত্রী না কিন্তু)!
৫) বিশিস্ট আইয়ুবিয়ান এবং ভদ্র ছেলে সৌরভ যাহার হাতে ছিলো বেশ মটুক মটুক বই!
৬) আমাগো গারজীয়ান প্রতিবাদী কন্ঠের মামাহুজুর জুতা মাইনে জতি ওরফে জয়িতা!
বাকী ভাই তো সারাক্ষণ ঘুর ঘুর আর ফুচকার প্লেট বাটাবাটি!
তারপর সবাই যখন বিদায় নিলো আমরা যেইটা করলাম সেইটা হইলো কিছু বই কিনাকিনি,অটোগ্রাফ চালাচালি, হাটাহাটি, মোয়া খানাখানি, আর কি কি জানি তাংফাং! তার পর বাসায় ফেরা।
মাগার বাসায় আইসাই গোল বাধলো যখন আমার ফাউল লেখার ১৮+ বাপের চোখে পড়িয়া ভ্রুখান কুচকাই দিলো আর তাহার সহিত কাল্টুর আবারো ফোন। কাল্টুকের অবশ্য ফোন করার একটা কারন আছে সেইটা হইলো ও আমার কাছে ৪০০ টাকা পায় এবং আমি শিওর রাইতের বেলা ঘুমের মধ্যে ও আমারে আজকা জ্বালাইবোই। আল্লাহর এক অনন্য সৃস্টি এই কাল্টুক!
আর এইভাবেই শেষ হইলো আমার পাউ দিয়া বইমেলা ভ্রমন! অপ্রকাশিত গল্প গুলান পরে প্রকাশ করুম নে এখন আমি আমার অটোগ্রাফ প্রাকটিস করতে মনোযোগ দিলাম!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।