যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী সার্বিয়া থেকে কসোভো স্বাধীন হয়ে যাবার বহু আগেই অবধারিত হয়ে উঠেছিল বিচ্ছেদ। ১৯৯৯ সালের ১০ই জুন জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে "ইউনাইটেড ন্যাশনস ইনটেরিম এডমিনিস্ট্রেশন মিশন ইন কসোভো (ইউএনএমআইকে)" তৈরী করে সার্বিয়ার সমস্ত আইন-সংবিধান কসোভোতে অকার্যকর করে নিজস্ব সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তখনই মূলত ৯২% আলবেনীয় জাতিস্বত্বার কসোভো নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র অভ্যুদয়ে নিশ্চিত হতে থাকে। কসোভো এর আগেও একবার স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিল ১৯৯০এ যা তখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে নি। পরবর্তী যুগোস্লাভ সিভিল ওয়ারের ডামাডোলায় কসোভো লিভারেশন আর্মি (কেএলএ) সংগঠিত হতে থাকে যার পরিনতিতে সংগঠিত হয় ১৯৯৮-১৯৯৯ এর কসোভো ওয়ার - এবং ন্যাটোর মাধ্যমে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ।
কেএলএকে ধরা হয় বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সুসংগঠিত গেরিলা বাহিনী। পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বহুবার লাদেন সম্পৃক্ততার প্রমান দেখিয়েছে। সবচেয়ে বিষ্ময়কর বিষয় হচ্ছে বিল ক্লিনটন কসোভোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে অস্ত্র সরবরাহের একটা বিল পাশ করিয়েছিলেন। রাশিয়ার প্রভাব মুক্ত করার জন্য অপশক্তিকে শক্তিশালী করার এক জঘন্য খেলায় নেমেছিল। কেএলএ এর বিরুদ্ধে এথনিক ক্লিনজিং এর অভিযোগ সহ আরো অনেক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য রাশিয়া কসোভোর স্বাধীনতাকে মেনে নেয় নি, উপরন্তু জাতিসংঘে কসোভোর অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে ভেটো প্রদানের কথা জানিয়ে রেখেছে।
মাত্র বাইশ লাখ মানুষের দেশ কসোভো কেবল মাত্র নিজস্ব জাতিসত্ত্বার পরিচয় অক্ষুন্ন রাখার জন্য স্বাধীন হয়ে গেল। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে পূর্ব ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য - এই দুই স্পর্শকাতর জায়গায় আমেরিকা কি নিজেই নিজের বিরুদ্ধাচারণ করছে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।