চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
মেক্সিকোতে এতদিন সাবওয়েতে মেয়েদের জন্য আলাদা কামড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার আলাদা বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারন আর কিছুনা রাশ আওয়ারে সবাই যখন গাদাগাদি করে কর্মস্থলের দিকে ছুটে তখন ছ্যাছোড় জাতীয় পুরুষ মানুষ সুযোগটি কাজে লাগায় মেয়েদের যৌন নির্যাতনের। তাই কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করেছে।
একভদ্রলোক ভুলবসত: এমনি একটি বাসে উঠে পড়লে তাকে মেয়েদের রোষনলে পড়তে হয়।
পরে ভদ্রলোক মেয়েদের প্রতিবাদের মুখে পরের ষ্টপে নেমে পড়তে বাধ্য হন। মেয়েরা তখন জয়ধ্বনি করে উঠে। মেয়েরা বলাবলি করতে থাকে, নির্যাতিত হতে কেমন লাগে বুঝবে এখন।
এতে আসলে মেয়েদের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে পুরষদের প্রতি।
কিছু পুরুষরা এতে নাখোশ, কেননা তাদেরকে কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য।
মেয়েরা কিন্তু দারুন খুশী। সবাই এখন কর্মস্থলে পৌছে যাচ্ছেন নিরাপদে।
একভদ্রমহিলা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এতদিন আমাকে সেলাইয়ের সুই নিয়ে বাসে উঠতে হত, আক্রান্ত হলে সেলাইয়ের এফোর ওফোড়।
এক বুড়ো ভদ্রলোক আবার প্রতিক্রিয়া দেখালেন এই বলে যে, পুরুষদের এটা এনিমেল ইনিস্টিংক্ট মেয়েমানুষ দেখলেই ষ্পর্ষ করতে চাওয়া।
এই ব্যবস্থা কার্যকরী হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেয়েদের কাছ থেকে অনেক ইমেইল আর চিঠি পান ধন্যবাদ পেয়ে।
এবার আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঘটনা বলি।
জাপানের সাবওয়েতে রাশআওয়ারে উঠেছি শিক্ষাস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রচন্ড চাপাচাপিতে আমার প্রান ওষ্ঠাগত হওয়ার যোগাড়। হঠাত করেই একটি মেয়ে চেচিয়ে উঠল বন্ধ কর, বন্ধ কর বলছি। বুঝতে অসুবিধা হলনা কোন একজন বাজে লোক মেয়েটির গায়ে হাত দিয়েছে।
মেয়েটি আমার খুব কাছাকাছি ছিল বলে, ব্যাপারটি ছিল আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। পরের ষ্টেশনে নেমে গিয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম। এরকম ঘটনা আমাকে একাধিকবার প্রত্যক্ষ করতে হুয়েছিল।
মেয়েদের জন্য আলাদা কিছু একটা করাটা আসলেই শেষ পর্যন্ত পুরুষ মেয়েদেরকে আলাদা করে ভাবতে শেখায়। যা একজন আধুনিক মানুষ হিসাবে গেলাটা খুবই কষ্টকর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।