আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসো তবে ভালবাসি...(উৎসর্গ: মিরাজ ভাই, বিহংগ'দা, রাশেদ ভাই, নরাধম ভাই, মানুষ ভাই, ফারহান ভাই, সাজি আপু, নিবেদীতা আপু, বিবর্তনবাদী ভাই,দেবদারু ভাই, বিষাক্ত মানুষ ভাই সহ আরো অনেকে...)

জ্বলে উঠার অপেক্ষায় নিভু নিভু প্রদীপ।

আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী.... 'ভালবাসা দিবস্‌'.... সবার জন্যই আলাদা কিংবা স্পেশাল দিন... শাহরিয়ার' এর জন্যও খুবই স্পেশাল একটি দিন... কিন্তু.... তার কাছে অন্য কোন কারনে আজকের দিনটি 'স্পেশাল' .... সেটা তাহলে কি....? নিচের গল্পটি পড়ুন..... শাহরিয়ার হোসেন ইমন...একজন ব্যস্ত যুবক .... সবেমাত্র বত্রিশে পা দিয়েছে...আর্লি ফোরটিস্‌ যাকে বলে..... সবকিছুতেই সফল....আটাশ বছর বয়সে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে জয়েন করেছে শহরের নামকরা একাউন্টিং কোম্পানী 'রহমান রহমানে'..... তারপর আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি..... এখন নিজে কিছু ব্যবসা ও পরিচালনা করে.... একজন সফল যুবকের এই বয়সে যা কিছু পাওয়ার সবই পাওয়া হয়েছে শাহরিয়ারের। কিন্তু..... মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়.... কেন? অতিরিক্ত ব্যস্ততাই হয়তো তার কারন.... ছাত্রজীবনে থাকতে ভাবতো ইস্‌...পড়ালেখাটা শেষ হলে কতো মজা.... কিন্তু এখন ভাবে সেই দিনগুলোই ভালো ছিলো..... ইউনিভার্সটিতে যাওয়া....বন্ধুদের সাথে মধুর কেন্টিনে সিঙ্গারা সমুচা খাওয়া....একটা কোক কিনে তিন-চার জনে ভাগ বসানো ইত্যাদি..... যাইহোক....স্পেশাল দিনে সকাল সকাল এসব ভেবে মন খারাপ করার মানে হয়না... হঠাৎ ঘড়িতে সময় দেখে চমকে উঠে....হায় হায়..! এখন অল্‌রেডি সোয়া আটটা....নয়টা বিশের বাস ধরতে যেতে হবে স্টেশনে.....তাড়াতাড়ি করে কিছু কাপড় চোপড় ব্যাগের মধ্যে চেপে টেবিলের উপরে রাখা বাসের টিকেটটা নিয়ে দৌড়... অনেকটা ম্যারাথন দৌড়... উফ্‌ লেট হয়ে গেছে....আজকে সিড়ির ধাপগুলো মনে হচ্ছে বেড়ে গেলো.... দোতলা থেকে নিচে নামতে গেলো তিন মিনিট.... ড্রাইভার .....বলতেই ভাবল গাড়ি তো থাকার কথা না.... ধ্যাৎ....আরো দেরী হবে... রাস্তায় বের হয়ে ঘড়ির দিকে চোখ....৮:৪২ একটা ইয়েলো ক্যাব দেখে ইশারা করলো.... জি স্যার কই যাবেন...? হুমম্‌....মালিবাগ সোহাগের কাউন্টারে নিয়ে চলো.... আচ্চা যাইতে কতক্ষন লাগবে? বেশীক্ষন লাগবো না স্যার....বিশ মিনিটে পৌছে যাবো...রাস্তায় যদি জ্যাম না থাকে.... শাহরিয়ার ভাবে আরেকটু আগে বের হলেই পারতাম....এই বাস চলে গেলে আরেকটাতে যাওয়া যাবে....কিন্তু ঐ দিকে তো.... এসব ভাবতে ভাবতে ক্যাব এসে থামলো সোহাগের কাউন্টারে.... ক্যাবের ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে দৌড়ে 'সোহাগ এক্সক্লসিভে' উঠে পড়ল.... আগে বুকিং দেয়া অনুযায়ী তিন নাম্বার সিটে বসে পড়ল... বাই দ্যা ওয়ে, এই বাসে আবার 'বিজনেস ক্লাস' আছে... সামনের ছয়'টি সিটকে 'বিজনেস ক্লাস' বলে...অবশ্য এই সিটগুলো সাইজে একটু বড়...সিটের সাথে মিনি ডিভিডি প্লেয়ার আছে...চ্যানেল আছে চারটি....আরো আছে বিশেষ সার্ভিস...বিনামূল্যে কোক কিংবা মিনারেল ওয়াটার....সবকিছু মিলিয়ে ভালোই.... গাড়ি চলতে শুরু করেছে....আস্তে আস্তে করে...ব্যস্ত শহরকে অতিক্রম করে চট্টগ্রাম হয়ে চলে যাবে.... সোজা 'কক্সবাজার'.....পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে.... শাহরিয়ারের অনেক ভালো লাগছে.... এই একটা দিন তার কোন ব্যস্ততা থাকেনা.... গত বছর থেকে একটু ভিন্ন কিছু করে বিশেষ কিংবা স্পেশাল দিনটি উদযাপন করে আসছে.... মৃদু সুরে তার ipod এ গান বাজতে থাকে...'একদিন তোর কথা শুনবে নদী, নিজের বলে চিনবি সব গান, সূর্য ভাঙ্গা মেঘ ফোটাবে ফুল, তারারা জড়ো করবে ঘুমম্‌.....' অর্ণবের গান... গানের কথাগুলো চমৎকার সাথে কম্পোজিশনটা ও.... শাহরিয়ার...লন্ডনে থাকাকালীন সময়গুলোর কথা ভাবে... বন্ধুরা যখন ফ্রাইডে নাইট ক্লাবিং এ কিংবা সিনেমা দেখতে যায় সে তখন মিউজিক নিয়ে ব্যস্ত....গান ডাউনলোড করা, রিমিক্স করা এসব....সব বন্ধুরা বলতো 'মিউজিশিয়ান ইমন'.....বন্ধুদের কথায় কখনো রাগ হতো না....বরং শুনতে তার ভালই লাগত..। সে অর্ণবের এই আ্যলবাম'টার প্রশংসা করে 'নিউ এজ' পত্রিকায় একটা লেখা ও দিয়েছিলো....তখন মাঝে মাঝে 'ডেইলী স্টার' পরে 'নিউ এজ' এ টুকটাক লিখতো। স্বপ্ন ছিলো মিউজিক নিয়ে পড়ার....কিন্তু বাবার অনিচ্ছাতে সেটা হয়ে উঠেনি....একটা গিটার ছিল...বাবার ভয়ে গিটার'টা ও পুরোপুরি শেখা হয়নি ....পরে একদিন সে এই গিটারটি তার প্রিয় মানুষ মিথুন'কে দিয়ে আসে........ বাবার কথামত সে আজ 'চার্টাড একাউনট্যান্ট'.....কিন্তু একটি স্বপ্নভঙ্গের পিছুটান তাকে সবসময় ভাবায়...তারপর ও সে ভাবে আমি পারিনি তাতে কি আমার ছেলে মেয়েরা ঠিকই একদিন পারবে....তারাই পূরন করবে আমার স্বপ্ন...তাদের মাঝে বেঁচে থাকবে আমার স্বপ্ন।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাসের জানালার বাইরের অপূর্ব দৃশ্যগুলো দেখা-ই হয় না...... দূর কেন যে এসব ভাবি...আজকে এসব বাদ...আজ বিশেষ দিন, ভাল লাগার দিন...মন খারাপের দিন বাদ...। বাস চলে যাচ্ছে দ্রুত গতীতে....ব্যস্ত মানুষের শহর ঢাকা'কে পেছনে ফেলে চলেছে চট্টগ্রামের দিকে....এই রোডটা বিশাল বড়...দু'পাশে সারি সারি গাছ....দূরে বাংলার গ্রাম চোখে পড়ে....কি সুন্দর অপূর্ব দৃশ্য..... অনেক ভাল লাগছে....মাতাল হয়ে ভাল লাগছে...ইস্‌ এই দিনটি যদি এখানে থামিয়ে দেয়া যেত.... চট্টগ্রাম চলে এসেছে.... অনেক সুন্দর শহর....যেন বিধাতা নিজ হাতে আপন মহিমায় সাজিয়েছে এই চাঁটগা'কে...প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য শুধু চট্টগ্রামেই আছে....পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট....ট্র্যফিক জ্যাম ও তেমন চোখে পড়েনা.....বসবাসের জন্য অসাধারন... হয়ত এ কারনে World Health Organisation (WHO) ২০০২ সালে এই শহরকে Healthiest city in South East Asia আখ্যা দিয়েছিলো....। অবশ্য এখন এ শহরে অনেক মানুষ বেড়েছে, বাড়ছে দূষণ....রাজধানীর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শপিং মল, আবাসিক এলাকা...রাস্তার পাশে অনেক দালান উঠেছে....বিশাল 'বিলবোর্ড'গুলো কেড়ে নিচ্ছে নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য....। শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে বাস চলে যাচ্ছে কক্সবাজারের দিকে....এর আগে ও সে অনেকবার চট্টগ্রামে এসেছে....অফিসের কাজ কিংবা ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই আসতে হয়....কিন্তু আজকের দিনটি অন্যরকম ভাললাগার দিন। কক্সবাজার যাওয়ার পথে রাস্তার দু দিকে মনোরম দৃশ্য....পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে বলে অনেক জায়গা ঢালু... এখন বাস চলছে একটু থেমে থেমে...এটাই মনে হয় শেষ স্টপ।

হুমম...তাই তো... বিকেল হয়ে আসল...প্রথমে যেতে হবে...হোটেলের দিকে.... একটা রিক্সা'কে হাতের ইশারা দিতেই হাজির.... স্যার, হোটেল লাগবো....? ভাল হোটেলে নিয়ে যামু... এটা হলো ওদের প্রথম কথা....( হোটেলে নিয়ে যেতে পারলে ওরা ছোট অংশের একটা কমিশন পায়....) না...হোটেল লাগবে না...আপনি আমাকে শৈবালে নিয়া চলেন...(মোটেল 'শৈবাল' এ আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিলো....) জি আচ্ছা স্যার.... আসতে পাঁচ সাত মিনিটের মত লাগল.... এই নেন... স্যার, দুইডা টাকা বাড়ায় দেন... নেন...পাঁচ টাকা বাড়তি দিলাম... ধন্যবাদের একটা হাসি দিয়ে রিক্সাওয়ালা চলে যায়.... কাউন্টারে গিয়ে....ভাইয়া আমার বুকিং দেয়া ছিলো... দেখছি... এই নেন চাবি...দোতলার চার নাম্বার রুম.... থ্যাংকু... অনেক দেরী হয়ে গেলো ভাবতে ভাবতে দোতলায় উঠে.... এক মধ্যবয়সী অপররিচিত ভদ্রলোককে সিড়ির দিকে আসতে দেখে সে ভাবে হয়তো ফ্যামিলি নিয়ে সমুদ্র দর্শনে এসেছেন.... রুমে ঢোকার আগমুহুর্তে ভদ্রলোকের হাসি মুখ দেখে তার কথা বলতে ইচ্ছে হলো... স্লামালাইকুম আংকেল... ওয়ালাইকুম..... কেমন আছেন.... এইতো ভালো....তুমি কি একা এসেছ? জি আংকেল... কি বলো...এখানে তো বন্ধু-বান্ধব ছাড়া কেউ একা আসে না...আমি তোমার চাচীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি.... তবে চলো আমাদের সাথে....বীচে ঘুরে আসি.... আংকেল আপনারা যান.....আমি একটু পরে আসছি...। আচ্ছা.... একটু পরেই ভদ্রলোক অন্য কারও সাথে কথা বলে...কি ব্যাপার তুমি এখনো এখানে বসে আছ....সেই কবে থেকে একা একা বসে আছ...আমাদের সাথে চলো....ভাল লাগবে... শাহরিয়ার মেয়েলী কন্ঠ শুনে ওদিকে থাকায়....কেউ একজন রেলিংয়ে বসে আছে.... আংকেল আমি আসব...আপনারা যান। ভদ্রলোক তার স্ত্রী কে সাথে নিয়ে চলে যায় সৈকতে.... শাহরিয়ার চটজলদি কাপড় বদলে রুমের দরজা বন্ধ করে সিড়ির দিকে পা বাড়ায়.... রেলিংয়ে বসে থাকা যুবতীর সাথে 'হাই' সুলভ হাসি দিয়ে নিচে নেমে গেলো.... যুবতী ও তাকে ফলো করে সৈকতে চলে যায়... ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে সৈকতের একটা টেবিলে বসে আছেন .... কাছে থেকে উপভোগ করছেন সমদ্রের ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ... হঠাৎ দুরে খেয়াল করে একটু অবাক হলেন..... এক জোড়া দম্পতি খুব হাসাহাসি করছে... সেটাতে ভদ্রলোক অবাক হলেন না এই বয়সের যুগলরা হাসাহাসি করবে সেটাই স্বাভাবিক.... তাহলে....? ভদ্রলোকের কাছে দু'জনকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে.... তারপর স্ত্রীকে বলেই ফেলেন...আচ্ছা, ঐ দুরের দুজন কি আমরা যে দুজনকে হোটেলের লবীতে বসে থাকতে দেখেছি তারাই....? ভদ্রলোকের স্ত্রী কিছু বলতে পারেন না....এত দুরে দেখো কিভাবে...? ধীরে ধীরে কাপল'টি অনেক কাছাকাছি আসে... তারপর ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে বলেন....আরে দেখো সে দুজনই তো হুমম্‌...বলে স্ত্রী ও এবার হ্যা সূচক উত্তর দিলেন। দেখেছো.... দুজনকে যখন হোটেলে দেখেছি মনে হয়েছিলো ভদ্রের বাপ... এখন দেখো... দুজন দুজনকে চিনেনা জানেনা অথচ এক ঘন্টার মধ্যে সৈকতের পানিতে দৌড়ঝাপ দিচ্ছে....ছিঃ ছিঃ কোন দুনিয়ায় চলে আসলাম.... তারপর ভদ্রলোক দুজনকে তাদের সামনে দিয়ে চলে যেতে দেখলেন.... তারা দুজনের কারো দিকে থাকাবার এতটুকু সময় নেই....এই সময় ভালবাসার... সমুদ্র সৈকতে দুজনে মিলে একজন হবার। সন্ধ্যা হয়ে গেছে...চারিদিকের বাতিগুলো একটা একটা করে জ্বলে উঠছে... ভদ্রলোক স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে চলে গেলেন...লবীতে বসে গরম চা খাচ্ছেন এমন সময় সন্ধ্যাপাখিদের খুব অন্তরঙ্গ মহুর্তে আসতে দেখলেন....তারা নিজের কথা বলে হাসাহাসি করছে....ভদ্রলোককে দেখে একজন আরেকজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে তারা সোজা একটি রুমে ঢুকে পড়ল....(শাহরিয়ারের রুমে) ভদ্রলোক ভাবেন...কি ব্যপার তারা দুজন আসছে একা...ছিলো একা রুমে এখন এসব কি হচ্ছে... ভদ্রলোক কিছু বুঝে উঠতে পারেন না.... তারপর ভাবেন তাদের সাথে গিয়ে কথা বলি.... রুমের দরজা খানিকটা খোলা ছিলো...তারপর ভদ্রলোক দেখলেন তারা দুজন একে অপরকে জড়িয়ে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে চুমু খাচ্ছে..... শাহরিয়ার বলে.... happy wedding anniversary and happy valentines day....... আর আমার আসতে দেরী হয়েছে বলে আই এ্যম রিয়েলি স্যরি... তুমি অনেকক্ষন ওয়েট করছিলে..? হুমম্‌ আমি অনেক সকালে রওয়ানা দিয়েছি....তুমিই তো আমাকে আগে চলে আসতে বলেছ....আর তাছাড়া ড্রাইভারের সবকিছু চেনা জানা...সো আসতে দেরী হয়নি...।

ঠিক আছে ....কথা দিলাম নেক্সট টাইম আমি আগে আসব... ওকে....আই লাভ ইউ... আই লাভ ইউ টু.... আজকের এই দিনে তিন বছর আগে তারা ভালবেসে বিয়ে করেছে.... চলো বাইরে গিয়ে বসি.... এবার চাচাকে খুব ইতস্তত দেখাচ্ছে.... তারা দুজন চাচার কাছে যায়....শাহরিয়ার সুমি'কে দেখিয়ে বলে.. চাচা আমার 'ওয়াইফ'....আজ আমাদের ওয়েডিং এনাভারসারি ছিলো...প্রতিবছর আমরা কোথাও গিয়ে সেলিব্রেট করি...। ওহ....হ্যাপি এনাভারসারি.... বসো তোমরা... গল্প করি... (এটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটা গল্প....একটা বিদেশী গল্পের কিছু আইডিয়া এবং আমার নিজের বানানো গল্পকে এক করেছি.....আমি মূলত পাঠক...এখানে এসে মিরাজ ভাই, বিহংগ'দা, রাশেদ ভাই, নরাধম ভাই, মানুষ ভাই, ফারহান ভাই, সাজি আপু, নিবেদীতা আপু,ফারজানা আপু, বিবর্তনবাদী ভাই,দেবদারু ভাই, বিষাক্ত মানুষ ভাই সহ আরো অনেকের চমৎকার সব লেখা পড়ে মাঝে মাঝে দু একটা লিখি... আপনাদের উৎসাহ পেয়ে গল্পটি লিখেছি তাই উৎসর্গ করেছি আপনাদের....আশা করি গল্পের ভুল ত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ....দেরীতে হলে ও ভালবাসা দিবস ও ফাগুনের শুভেচ্ছা রইল)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।