আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপপ্রচারেই পাঁচ শহরে আ. লীগের হার: প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল জেলা আউনজীবী সমিতির নব-নির্বাচিত সদস্যরা মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ শুধুমাত্র বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা অপপ্রচার। ”
বিএনপি-জামায়াতের যে অপপ্রচার চালিয়েছিল, দেশের মানুষ এখন তা উপলব্ধি করতে পারছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মিথ্যা অপপ্রচারে বিএনপি-জামায়াত ‘পারদর্শী’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভুল বুঝতে পেরে’ এখন দেশের মানুষের ‘মনোভাবের পরিবর্তন’ হয়েছে।


গত ১৫ জুন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট এবং ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে ভোট হয়, তাতে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হন।
মতিঝিলে হেফাজতবিরোধী পুলিশি অভিযান নিয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ প্রচার করে ওই নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।  
শাপলা চত্বরে গত ৫ মে ওই অভিযানে ‘হাজার হাজার মানুষ হত্যার’ যে অভিযোগ বিএনপি করে আসছে- তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধ ঘণ্টার অভিযানে হাজার হাজার মানুষ মারা গেলে মতিঝিলের ‘দেয়ালে দেয়ালে’ তার চিহ্ন থাকত।
গত রোববার নরসিংদীতে এক জনসভায় বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, শাপলা চত্বরে সেই অভিযানে দেড় লাখ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে।
‘এতো অল্প সময়ে’ ওই পরিমাণ গুলি কীভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।


“মানুষ মারা গেছে, মুয়াজ্জিন মারা গেছে, ইমাম মারা গেছে, কোনো মসজিদে নামাজ হবে না, আযান হবে না, কোনো মুসলমান মারা গেলে জানাজা হবে না- এই অপপ্রচার চালিয়ে সহজ সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। ”
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগেও ধর্মকে ব্যবহার করে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকাল বেলা কোরআন শরীফ তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে তার দিন শুরু হয়। তার কাছে ইসলাম হেফাজতে না থাকলে কার হাতে থাকবে- সে প্রশ্নও করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয়, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা ‘লুটপাট আর মানুষ খুন’ করে।


আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে- সে কথা মনে রেখেই তার সরকার দেশ পরিচালানা করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান সরকারের সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শষ্যভাণ্ডার হিসাবে বরিশালের সুনাম ফিরিয়ে দেয়া হবে।
সাক্ষাতকালে আইনজীবী নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে আবুল কালাম আজাদ জানান।
সংগঠনের সভাপতি আহমেদ কবীর ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবীর বাদলের নেতৃত্বে সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্ হারুনর রশিদ খানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।