যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ফোন করেই বলে, ডার্লিং কি খবর? প্রথম প্রথম অপ্রস্তুত হয়ে পড়তাম। কোন এক অজানা কারণে সে দারূন অন্তরঙ্গ সন্বোধন করে। তার একটা সন্তানও রয়েছে; উপরন্তু অফিসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কলিগের এমন প্রেমময় সন্বোধনে আমিও অভ্যস্ত হয়ে উঠি। উল্টো ফোন করে বলি, ডার্লিং কি খবর, তুমি তো ভিসা ফর্মটা আনলা না! বা কই আমার গাড়ী, একটা কার দিলে ভাল হয়, নট জিপ!
ডার্লিং তুমি আমাকে ছাড়া আর কার সাথে ডেট মারতে যাবা অফিস ফাকি দিয়ে? সে হাসতে হাসতে উত্তর দেয়।
বলে, আমাকে কি তোমার আর পছন্দ হচ্ছে না!
আমি বলি, তুমি তো আছোই ঘরকা! একটু শেয়ারের সাথে প্রেম করে আসি! কখনও কাজ থাকে ট্যাক্স অফিসে, তখন বলি, প্রেমের রাজস্ব খরচ দেখে আসি!
ফাল্গুনে বাসন্তী পোষাক পড়ে এসেছে।
এসেই দেখালো ক্যাটওয়াক করে; কেমন হয়েছে!
আমি ফিদা। উমম!
কালকে চলো দুজনই লাল পড়ে আসি! সে প্রস্তাব দেয়।
আমার পাশে একজন নারী কলিগ বসে। সারাক্ষণই সে আমাকে ফোনে ডার্লিং, সুইটি, হানি'র তুবড়ী ছুটাতে দেখে আড়চোখে চেয়ে।
নিশ্চয়ই পরকীয়া!
আমিও শুনিয়ে শুনিয়ে আরো একধাপ আগে বাড়ি।
বুঝেছো, তোমাকে ছাড়া আর কিছুই ভাল লাগে না।
পাশ্ববর্তীনি মাঝে মাঝে এসে ঘুরে যায়। এটা সেটায় জানার বাহানা খোঁজে অফিসের এই রোমাঞ্চের প্রতিপক্ষকে।
ডার্লিং এর মন গতকাল থেকেই খারাপ। বাসন্তী খুবলে খেয়েছে অফিস, রঙ ব্লার হয়ে গেছে কাজের চাপে।
আজকেও তার নিস্তার নেই। সকালে এসেই তার লাল পরিধেয় দেখিয়েছে। গোস্যা করেছে আমার ক্যাজুয়ালিটি দেখে। বললাম, মন প্রচন্ড খারাপ। ডার্লিং তটস্থ হয়, কি হয়েছে? আমার চোখে নিজের শোচনীয় অবস্থা দেখে, তার চোখে দেখি আমারটাও।
তারপরেও বেশ রোমান্টিক স্বরে বললো, ডিয়ার, উড ইউ মাইন্ড টু বি মাই ভ্যালেন্টাইন! আজকে তুমি আর আমি ঘুরবো অফিস শেষে, মদ খাবো, মেয়েদের গুস্টি কিলাই! নতুন প্রাডোটা নিয়ে নেব।
উপস, আমি রাজী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।