অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
কোথায় দাঁড়াবো যখন একে একে দখল হয়ে যাচ্ছে সব মাঠ হাট ঘাস
ভাবনার চিলতে আকাশ, কোথায় দাঁড়াবো গিয়ে যদি অস্তিত্বে লাগে টান
যদি চেনা পরিচয় অস্বীকার করে কেউ বলে অনেক তো হলো বক্তিমে
বাবু এবার বাসা যান, পশ্চিমের রাস্তা ধরে আর দরজাটাও লাগিয়ে যাবেন।
আহা পশ্চিম বড় মনোহর মায়ার ফাঁদ আমাদের ভাবতে শেখায়
আমাদের ক্ষীণ করে, নতজানু করে, বলে দেয় দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন মানুয়ের ইতিহাস নেই
পদানত স্তাবক হতো পারো বড়জোর তাতেই গৌরব তোমার ।
আমরা পাঠ নিতে নিতে আরও বেশী কুণ্ঠিত হই অবশেষে,
আমাদের অতীত নেই শুধুই বর্তমান।
আমাদের প্রাচ্যতা আমাদের শ্লাঘা আমাদের নানাবিধ সমাজবিধান সব পশ্চাতপদতা
যেনো তারা সব হাঁটছে সম্মুখে।
আমারা ইর্ষান্বিত হয়ে অনুকরণ করে যাই অনায়াসে পশ্চিমা বুলি।
আমাদের ভাবনার ব্যকরণ প্রকাশিত হয় পশ্চিমের ছাপাখানায়
নানা রংএর মলাটে
নানা রংএর প্যাকেটে
নানা রকম ভঙ্গিমায়
আমাদের সামনে উপস্থিত হপঠ আমরা আমাদের সবিশেষ অবস্থা আর সাম্প্রতিকতা বুঝতে পারি।
সমালোচনার ব্যকরণ রচি আহা উত্তরাধুনিকতা, ইহা ঘোরতর চিরায়ত ধারা
ইহা তো কিছুই দাঁড়াইলো না অবশেষে? বিজ্ঞতর আমাদের জ্ঞান দিতে চান? পশ্চিমা বাবারা বলেছে
এতে সার নেই, সাড়া নেই, মনকে টানে না,
ইহা তবে কিরুপে শিল্প হবে ?
যদি শিল্প বেনাবেচা হয় তবে কে কার চাহিদা মেটায় আজকাল?
কেনো আর্টগ্যালারিতে গেলে আত্মহত্যার সাধ জাগে?
চারপাশে বিপন্ন আত্মনিমগ্নতা।
শিল্পীদের ভেতরে কেনো প্রতিষ্ঠার লোভ?
কেনো ইউনুসের নোবেল আর জয়নুলের কাশবন?
কেনো কালজয়ী কোনো শিল্পই বর্তমানে স্বীকৃতি পায় না?
কেনো ভ্যানগঘ উপেক্ষিত তার জীবিত কালে ?
স্বীকৃতি আদৌ প্রয়োজনীয় না কি সবটাই রাজনীতি, বেনিয়ার নয়া ষড়যন্ত্র?
শিল্প শরীর ঘেঁটে অবশেষে আলোচনার মূল সুর
আমাদের স্বকীয়তা, আমাদের ঐতিহ্য আর আমাদের সোনালী অতীত।
সাড়ে সাতশো পাতার সংজ্ঞা গিলে বসে আছি, পশ্চিমা তদ্রুপ দেখে তাই আমাদেরও দেখিতে হইবে তদ্রুপ
কুয়োকে পৃথীবি ভ্রমে বসে আছি কিম্ভুত কচ্ছপ
শুধু মধ্যে মধ্যে মাথার ভেতরে ঘাই মারে জানি না কে সেই উদ্ভট উল্লুক?
--------------------------------------------------------
আমাদের প্রথাগত প্রথা বিরোধিতা সাঙ্গ হলে বুঝি আদতে এত গলাবাজির কোনো প্রয়োজনই ছিলো না
আসলে এটাও কিছুটা সুশীল বিনোদন- আমারা তত্ত্বালোচনা করি, বিভিন্ন বাঁক ঘুরে অবশেষে তা শরীরে স্থাপিত হয় এবং আমরা শরীর থেকে পিছলে পড়ি সম্পর্কের নানাবিধ জটিলতায়।
আমাদের ভেতরেও সম্পর্ক দানা বাধে
আমি শৈল্মিলি, পড়াই, আর যত না পড়াই তার চেয়ে বেশী শিখি
আর বলবেন না আজকাল এত দ্রুত বদলায় সব কিছু তাল মিলিয়ে চলাই মুশকিল।
তবে আমি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সব পালা বদল গেঁথে রাখবার চেষ্টা করি। ক্রামাগত বদলে যাচ্ছে পোশাকের ধাঁচ, গানের কান তৈরির আগেই স্টার হয়ে যাচ্ছে সবাই আর বিখ্যাত হয়ে সবাই কেমন যেনো শিকড়বিমুখ। এমন কেনো হয় আমাদের ক্রমাগত মনে হয় অতীত সোনালী রঙে ছাওয়া আর বর্তমান বিষন্ন ধুসর।
আমদের ভালো লাগে এই আলাপন, আর ক্রমাগত সরে যেতে থাকি, এ বৃত্ত থেকে সে বৃত্তে আর সেখান থেকে অন্য কোথাও তবে কোথাও স্থাপিত হয় না বরং সম্পর্কগুলো জটিল হতে থাকে সময়ের সাথে। আজকাল সম্পর্কগুলো ভীষণ ঠুনকো , আর জানেন আমি না ভীষণ আবেগী, খুব অভিমানি,গান শুনলেই কেমন লোম দাঁড়িয়ে যায়।
এই দেখেন সত্যি সত্যি লোমগুলো দাড়িঁয়ে আছে।
আমাদের জড়তা কাটে না। আমরা জানি আমরা একটু পড়েই চলে যাবো যে যার ঠিকানায়, সেথানে আমি কিংবা সে কিংবা উপস্থিত সবাই ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্কের জটিলতায় ঘুরপাক খাচ্ছি
আর এর ভেতরেই একটু সময় জিরোবার জন্য আর একটু ভুস করে ভেসে উঠে শ্বাস নেওয়ার জন্য বরাদ্দ।
ঘড়িতে ৮টা বাজে প্রায়, যাই আমার স্বামী অপেক্ষায় আছে।
আর আপনি খুন এগ্রেসিভ,
আমি লজ্জায় অধোবদন হতে পারি না, বুঝতেই পারি না আদতে এটা কমপ্লিমেন্ট নাকি মৃদু ভৎর্সনা।
তখন এতটা শক্তভাবে না বললেও হতো, মনে মনে অনুতপ্ত হই। এর পরও আরও কিছু সময় গড়ায়
কোথাও কোনো পরিণতিতে পৌঁছানো তাড়া নেই জানি
আজ কিংবা কাল কিংবা পরশু আবারও আমরা একই আলোচনা করবো একই সমাধানে পৌঁছাবো,
তাড়া নেই মোটেও আদতে
পশ্চিম এখনও ভাবে নি আমাদের মতো করে এখনও
আমাদের তাই কোনো সংজ্ঞা নেই হাতে, এ আলোচনা নি¯প্রয়োজন।
আমাদের পরিসংখ্যান যতই বলুক ফুকো কিংবা সার্তে এখানে নিশ্চুপ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।