আধিপত্যদীর্ণ ও বৈষম্যের বাংলাদেশে সামপ্রতিক সময়ে কৃষক, শ্রমিক ও সাধারন মানুষের লড়াই
নাদিমূল হক মন্ডল নাদিম*
চাষী বলিতেছে জমিতে তাহার অভাব মেটেনা......চাষীর অভাব অনেক বাড়িয়া গিয়াছে....তাহার ফসল জাহাজ বোঝাই হইয়া সমুদ্রপারে চলিয়া যাইতেছে। তাই দেশে চাষের জমি পড়িয়্া থাকা অসম্ভব হইয়াছে, অথচ সমস্ত জমি চষিয়াও সমস্ত প্রয়োজন মিটিতেছেনা’।
.... ঔপনিবেশিক পর্বে কৃষি ও কৃষকের দুরবস্থা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ
‘গনি মিয়া একজন কৃষক। নিজের জমি নাই, অন্যের জমি চাষ করে। তাহাতে ধান হয়, পাট হয়।
সে তাহার অর্ধেক ভাগ পায়। ছেলের বিবাহে সে অনেক ধুমধাম করিল। ইহাতে অনেক টাকা কর্জ হইল। সে কর্জ আর শোধ হইলোনা। এখন তাহার দু:খের সীমা নাই।
’
.... উত্তরঔপনিবেশিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্কুল টেক্্রট থেকে পাওয়া কৃষকের প্রান্তিকতা
‘আমার বলার ক্ষমতা নেই, কাজ করি অথচ আমাদের পেটে ভাত থাকেনা। মান সম্পন্ন বীজ পাইনা, যখন বীজ দেয় তখন আর সময় থাকেনা, গত বছরের ১৮০ টাকার সার এবার আমরা কিনেছি ৩৫০ টাকায়। গরু নেই, সমস্যা কিটনাশকেও, ট্রাক্টর নেই, ট্রাক্টর দিয়ে ৬০০ টাকা প্রতি বিঘা চাষের ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা নিজেরাই গরু হয়ে চাষ করি’
...কৃষকের অবস্থা প্রসঙ্গে উত্তরাঞ্চলের এক কৃষানী
আধিপত্যদীর্ণ ও বৈষম্যের বাংলাদেশে কৃষক, শ্রমিক তথা সাধারন মানুষেরা কেমন আছে? কিভাবে দিন পার করছে প্রান্তিক মানুষেরা? উত্তরটা আমরা সবাই জানি। ‘তারা খারাপ সময় অতিক্রম করছে’ বললে নি:সন্দেহে কম বলা হবে।
বাস্তবে, এক ভয়ঙ্কর সময়ের পুলসিরাত কিংবা টানেলের ভেতর দিয়ে এগুচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। বেসরকারীকরণ, কথিত উদারীকরণ, অসম বাজার ব্যবস্থার দাপটে অসম প্রতিযোগিতা, কর্পোরেট ক্ষমতার বিস্তার, মোড়ল সেজে বসা চুক্তি ও সংস্থাগুলোর মাতুব্বরি এবং বৈশ্বিক - জাতীয়-আঞ্চলিক-তৃনমূল পর্যন্ত বিসতৃত ¯^v_©v‡š^lx‡`i শক্তিশালী নেটওয়ার্কে এই সাধারণ মানুষেরা আজ প্রান্তিক, বিপর্যস্ত এবং প্রান্তিকতার ব্যাপকতা এতদুর অবদি পৌছেছে Ô¯^wbf©iÕ, Ô¯^‡cvlxÕ মানুষ কিংবা গ্রামের যে প্রত্যয়ন একসময় দাড় করানো হতো, কোথাও আজ তার অস্তিত্ব নেই। কৃষক বলতে ‘গোলা ভরা ধান’, ‘গোয়াল ভরা গরু’, ‘পুকুর ভরা মাছ’ এর যে সমৃদ্ধ চেহারা ¯^‡cœ ভাসে বাস্তবে তারা হারিয়ে গেছে, যে ক্ষুদ্র ও মধ্য কৃষকেরা এবং দিন মজুরেরা এখনো কৃষিকে আকরে ধরে কোনভাবে বেচে আছে তাদের ছুটতে হচ্ছে প্রতিকুল স্রোতের বিপরীতে, জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি তাদের অস্তিত্বের দাবীর সাথে বৈপরীত্বপূর্ণ ও ভীষন বৈরী। আর শ্রমিকদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ সেটা আমরা টের পেয়েছি দেশের জন্য ¯^Y©mg বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান সরবরাহক খাত গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য ন্যুনতম বরাদ্দ সম্পর্কিত বিতর্ক থেকে বেড়িয়ে আসা তথ্যে এবং বার বার আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া শ্রমিক পরিবারগুলোর আহাজারিতে।
একশত আটাশ মিলিয়ন মানুষের উর্বর ব-দ্বীপ বাংলাদেশ মুখ্যত কৃষক, শ্রমিক জনতার মুক্তি সংগ্রামের ফলোদ্ভুত হলেও মুক্তির ফসল জনতার ঘরে উঠেনি।
কঠোর পরিশ্রমী সাধারন মানুষগুলোকে প্রাপ্তির দৌড়ে অন্যায়, অন্যায্য প্রক্রিয়ায় আয়াসী মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তেরা সবসময় বঞ্চিত করেছে। বাংলার জনতার সিংহভাগ কৃষক, অথচ এই কৃষক বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার শুধু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে নয় বৈষম্যের বড়সর জায়গা বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত। আধুনিকীকরণ প্যারাডাইম, দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞের পরামর্শে, পরিকল্পনায় প্রথমে কৃষির Ô¯^vfvweKÕ, ‘প্রাকৃতিক’, জীবনঘনিষ্ঠ, সহজাত প্রক্রিয়ার ধ্বংসকরণ; রাসায়নিক সার, কিটনাশক, হাইব্রিড ভিত্তিক কৃষির গোড়াপত্তন ও পরে অনিবার্য্যকরণ তথা আবশ্যকীয়করণ এবং তারও পরে ‘অত্যাবশ্যক’ সার, কিটনাশক ও হাইব্রিড বীজের কৃত্রিম সংকট তৈরী করা যেমন শোষন বঞ্চনার অর্থনৈতিক দিকটি স্পষ্ট করে তেমনি রাষ্ট্যের লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীর নৃশংসতা, হত্যা শোষনে খোলাসা হয় জোরজবরদস্তিমূলক সামরিক দিকটি। এসবকিছুই একই সাথে, রাজনৈতিক। আবার, যেভাবে কৃষককে ‘অশিক্ষিত’, ‘মুর্খ’, ‘নির্জীব’ সাব্যস্ত করে অগ্রাহ্য করা হয় ভাগ্যনির্ধারক নীতি নির্ধারণে তাতে প্রমাণিত হয় কৃষকের উপর চাপানো অন্যায্যতার ওতপ্রোত বিষয় যেমন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক, মতাদর্শগত, কৃষকের প্রান্তিকীকরণ নিছক অর্থ, বিত্ত, সম্পদের বন্টনেই ঘটেনা বঞ্চনা নিহিত কৃষকের জ্ঞানভান্ডার (কৃষকের জ্ঞান যৌক্তিক নয়, অবৈজ্ঞানিক), মানসিক জগত (কৃষকের মনমানসিকতা নীচু প্রকৃতির’), সাংস্কৃতিক পরিসর (মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের পরিসরে স্মার্ট নয় এমন কাউকে ‘ক্ষেত’ বলা একটা দাপুটে প্রবনতা, আর এই ‘ক্ষেত’ যুক্ত কৃিষর সাথে) নিয়ে সুশীল শহুরে মানুষজনের ফ্যান্টাসিতে।
প্রায় বছর ৮৬ আগে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘চাষী বলিতেছে জমিতে তাহার অভাব মেটেনা......চাষীর অভাব অনেক বাড়িয়া গিয়াছে....তাহার ফসল জাহাজ বোঝাই হইয়া সমুদ্রপারে চলিয়া যাইতেছে। তাই দেশে চাষের জমি পড়িয়্া থাকা অসম্ভব হইয়াছে, অথচ সমস্ত জমি চষিয়াও সমস্ত প্রয়োজন মিটিতেছেনা’। ঔপনিবেশিক অনুপ্রবেশ এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছিল এবং রবীন্দ্রনাথ চমৎকারভাবে কৃষকের দুরবস্থাটি ফুটিয়ে তুলেছেন। রবীন্দ্রনাথের লেখার পর কেটে গেছে বহুযুগ। এসেছে ¯^vaxbZvi ¯^cœ, মুক্তিযুদ্ধ, অংশগ্রহণকারী কৃষক জনতা আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছিল শুধু রাজনৈতিক কারণে নয়, অর্থনৈতিক যে বৈষম্য প্রবল ছিল দুপারের মধ্যে সেকারনেও, কোন না কোনভাবে দানা বেধেছিল এই ¯^cœ যে হয়তো ¯^ivR মিললে অর্থনৈতিক মুক্তিও ঘটবে।
কিন্তু উত্তরঔপনিবেশিক সময়েও কৃষককে আমরা পেয়েছি সেই দুর্দশাতেই: ‘গনি মিয়া একজন কৃষক। নিজের জমি নাই, অন্যের জমি চাষ করে। তাহাতে ধান হয়, পাট হয়। সে তাহার অর্ধেক ভাগ পায়। ছেলের বিবাহে সে অনেক ধুমধাম করিল।
ইহাতে অনেক টাকা কর্জ হইল। সে কর্জ আর শোধ হইলোনা। এখন তাহার দু:খের সীমা নাই। ’ কৃষি আজ মোটেও লাভজনক নয়’, ‘কৃষি শ্রমঘন দশা থেকে ক্রমশ পুজিঘন অবস্থায় চলে যাচ্ছে’ এবং অর্থকরী ফসলের আবাদ বাড়ছে অথচ পুজি না থাকায় কোনভাবেই ছোট কৃষকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা এবং ছোট কৃষক জমি ভাড়া দিয়ে ক্রমশ আরো মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে।
কৃষকেরা আজ হতাশার মহাসাগরে ভাসছে।
`y:¯^‡cœi নিকষ কালো অন্ধকারের মতই আজ তাদের জীবন, ঘটছে ভয়ংকর সব দূর্ঘটনা । সাভারের পলাশবাড়ী ট্রাজেডীতে নিহত শ্রমিকেরা মৃত্যুর পরপারে বসে দেখা পেলেন তাদেরই মত দূর্ভাগা চট্রগ্রামের কেটিএস টেক্্রটাইলের আগুনে মরা কর্মীদের। আবার, একদিন পরেই মৃত্যুনগরীতে শামিল হতে বাধ্য হলেন তেজগার ফিনিক্্র কারখানার কংক্র্রিটের তলে চাপা পড়া নিরীহ মানুষেরা। মিলের জায়গা: তারা সবাই ’লাশ’, জীবন নয় মৃত্যুর হিমশীতলতায় চলে যেতে বাধ্য হোন গার্মেন্টস শ্রমিকরা ¯^R‡bi খোজে ক্রন্দসী গরীব মানুষেরা, কিন্তু হৃদয় উৎসরিত হাহাকার কোনভাবেই ভবিষ্যতে ঘটমান আরো অনেকগুলো তথাকথিত ’দূর্ঘটনা’ ও মৃত্যুকে ঠেকাতে পারেনা। কারনটা খুবই সাধারন, রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবির এলিট আতাতের গার্মেন্টস কমীর মত প্রান্তিক, নিপীড়িত গনমানুষের ¯^v‡_© ভূমিকা রাখবার কোন সম্ভাবনা অদুর ভবিষ্যতে নেই।
মৃত্যু আসে, পূনপৌনিক ভবন ধ্বসে পড়ে দরিদ্র নারী পুরুষ মরে লাশ হয়ে শুয়ে থাকে, গার্মেন্টস গুলোতে শ্রমিক সুবিধা বা শ্রমিক অধিকারের চরিত্রগত বদল ঘটেনি, ঘটছেনা এবং ঘটবেওনা কেননা প্রান্তিক মানুষের আকাঙ্খা, চাহিদা, দাবী, অধিকার, ¯^gZv সর্বোপরি এজেন্সির প্রতি যথার্থ সম্মানবোধই নেই।
পলাশবাড়ী থেকে চট্রগ্রামের কেটিএস ট্রজেডী অথবা লঞ্চের গায়ে ঝুলতে থাকা লাশের মূল্যহীন মানুষগুলোই যেন কিভাবে কিভাবে ভোটের বাজার, সরকারের জিডিপি জিএনপি ও বিজিএমইএ’র ্লাভ ক্ষতির হিসাবে জরুরী হয়ে উঠে। কিন্তু কি পায় তারা রাষ্ট্র, সমাজ বা সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে??? গার্মেন্টসে আগুন ও ভবন ধ্বসে মৃত্যু, লঞ্চে ডুবে মরা, কৃষিতে সার আদায় করতে যেয়ে মরনের দেখা পাওয়া, বস্তিতে উচ্ছেদ ইত্যাদি হতাশার গাথা ব্যতিরেকে অন্য কোন বাস্তবতা কি আছে ন্বিবিত্তের এই প্রান্তিক মানুষজনদের?? মর্াসিডিজ তো তাদের আরাধ্য নয়, তবু, দুমুঠো ভাতের জন্য কাজ করতে যেয়ে কেন নিপীড়িত মানুষদের বারবার জীবন দিতে হবে?? কাদের দোষে তাদের এই বঞ্চনার কাব্য? কারা দায়ী? ক্ষুধার বিরুদ্ধে নির্ভীক প্রান্তিক মানুষজনদের দুর্দশার মুখে ঠেলে দেয়ার দায় রাষ্ট্র, সমাজ, সকলের।
দরিদ্র এই মানুষের জীবন ক্রমশ আরো বিবর্ণ হচ্ছে, আরো নি:স্ব হচেছ এবং মরছে সে প্রতি কদমে। ধীর অথচ অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর হাত থেকে কে বাচাবে তাদের? জীবনটা তাদের, ভয়াবহ বাস্তবতার সামনাসামনি হতে হয় তাদেরকেই, যেকারনে তাদেরই খুজে নিতে হয় মুক্তির পথ, কেননা লড়াইটা প্রথমত, শোষিতের নিজের।
অগ্নুৎপাতগুলো নি:সন্দেহে আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর গৎবাধা ধ্যানধারনার ব্যতিক্রম, ভাবনা চিন্তা ও অনুশীলনের বৈপ্লবিকতায়। কেননা, এই কৃষকেরা যে ভাবতে পারে, চিন্ত্া করতে পারে, নিজেদের সমস্যা নিজেরাই বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সমাধানের রাস্তাও খুজে নিতে পারে নিজেদের মত করেই - এ বিশ্বাসটাই তো কেউ করেনা। বিরাজমান ধারনাই হলো: ‘কৃষকরা মূর্খ’, ‘ মূর্খ মানুষেরা নিজেরা কিছু করতে পারেনা’, ‘তাদের বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে হবে’ ইত্যাদি। তাইতো সাধারন মানুষ ‘নির্জীব’ ‘অবজেক্ট’ নয় বরং সক্রিয় সত্তার ‘সাবজেক্ট’ - এ গভীরতর উপলব্ধি থেকেই সাধারন মানুষেরা নিজেরাই গতবছর সংগঠিত করেছিল কানসাট, শনির আখরা অথবা ইপিজেডের পরিস্থিতি, শতভাগ অংশীদারিত্ব যেখানে ছিল কৃষকের, শ্রমিকের, সাধারন মানুষের; আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীরা বিশেষজ্ঞ, পন্ডিত, অ্যাকাডেমিশিয়ান বা অধিপতি দলগুলোর উচু গলার রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিলনা, বরং এরা ছিল একেবারেই সাধারন মানুষ। পথপ্রদর্শক ‘ভ্যানগাডর্’ হিসেবে নিজেদের দাবী করে যেসব রাজনৈতিক দল তাদের নির্দেশের অপেক্ষায়ও বসে থাকেনি বাংলার এই নিপীড়িত জনতা, বরং নিজেদের জীবন্ত প্রচেষ্টাতেই তারা গড়ে তুলেছিল নিজেদের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক একটি জ্বলন্ত মঞ্চ।
লড়াই, সংগ্রাম, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, দ্রোহ, বিদ্রোহের এক অনন্য ইতিহাস স্থাপন করেছিল কানসাটের সংগ্রামী জনতা। তাদের অন্তর থেকে সালাম, নমস্কার, আদাব। স্থানিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে মানুষকে ঘিরে যে অন্যয্যতা ও বৈষম্যের বৃত্ত গড়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ঐতিহাসিক সত্য এবং আগামীতেও সম্ভবত কোন শক্তি এই সকল তৎপরতার গতি রুদ্ধ করতে কামিয়াব হবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।