কশ্চিৎকান্তা বিরহগুরুণা শাপেনাস্তংগমিতমহিমা...
...সকল ব্যাপারেই চরম বিপরীত প্রান্ত-দুইটি দেখিতে একই প্রকার। চুড়ান্ত অস্তি ও চুড়ান্ত নাস্তি সকল সময়েই সদৃশ। আলোক কম্পন যখন অতি মৃদু তখন উহা আমাদের দৃষ্টিরগোচর হয়না, অতি দ্রুত কম্পনও আমরা দেখিতে পাই না। শব্দ সম্বন্ধেও তদ্রুপ, অতি নিম্ন অথবা অতি উচ্চগ্রামের শব্দ শ্রবনীয় হয়না।
প্রতিকার ও অপ্রতিকারের প্রভেদও এইরূপ। একজন কোন অন্যায়ের প্রতিকার করেনা, কারণ সে দূর্ব্বল, অলস এবং প্রতিকারের অক্ষম। প্রতিকারের ইচ্ছা নাই বলিয়া প্রতিবাদ করেনা, তাহা নহে। আর একজন জানে, ইচ্ছা করিলে সে দুর্ণিবার আঘাত হানিতে পারে, তথাপি সে শুধূ যে আঘাত নাকরিয়া বসিয়া থাকে- তাহা নহে, বরং শত্রুকে আশীর্ব্বাদ করে।
... এজন্য ভগবান কপট বলিতেছেন - ‘পন্ডিতের মতো কথা কথা বলিতেছ, অথচ কাপুরুষের মতো কাজ করিতেছ; ওঠ দাঁড়াও যুদ্ধ কর !’
[গীতা ২/১১, ৩৭ অবলম্বনে রচিত]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।