আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাইকা অঞ্জু ঘোষ ওরফে বিমার কাছে লেখা খোলা চিঠি

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

মামার বাড়িতে একটা কাজের মেয়ে ছিল। আমাদের এখান থেকেই ওকে কাজের জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছিল। ওর বয়স তখন ছিল ১৩/১৪ বছর। ও ছিল বাংলা সিনেমার একনিষ্ঠ ভক্ত ঠিক তোমার মত (বিমা)। ও একবার মামার বাসা থেকে পালালো।

কিন্তু ভাগ্য আমাদের ভালো ছিল যে, মামীর ভাইয়ের একটা বন্ধুর বাসায় গিয়ে ও উঠেছিল। ওখানে যেয়ে সে বলেছিল, একটা ব্যাডা আর তার বউ আমারে বরিশাল থেইক্যা নিয়াইছে। ওরা আমারে একটা ঘরের মইদ্যে আটকায় থুইত। আমারে জম্মের পিডান পিডাইতো। পুস্পমামা (মামীর ভাই) যখন ওকে গরু খোজা খুজছিল তখন কথায় কথায় উনার ঐ বন্ধুর কাছে বলেছিল মেয়েটা হারিয়ে যাবার ব্যাপারটা।

তখন উনি (মামার বন্ধু) বলল, গতকাল থেকে একটা মেয়ে এসে ওনার বাসায় থাকছে এবং ঐ মেয়েটাই সেই মেয়েটা কিনা তা দেখার জন্য তার বাসায় যেতে বলেছিল। পুস্প মামাও তার বাসায় গিয়েও দেখে ওটা নাজমা। পরে বাসায় নিয়ে আসার পর তার ভঙ্গিটা ছিল এমন যেন এটা কোন ব্যাপারই না। আমার মামাত ভাই-বোনদের কাছে গিয়ে গল্প করেছিল, আফনাগো কতা আমার অনেক মনে পড়ছিল, না জানি আফনারা কেমন কইর্যাা আছেন, কি খান, কি করেন, এই সব খুব মনে পড়তেছিল। তার hobby ছিল পচা টমেটো জমিয়ে রাখা।

রাস্তা দিয়ে যখন কোন টাক লোক যেত বারান্দা থেকে সেই পচা টমেটো সে ছুড়ে মারতো টাকে। আর ঝাড়ি খেত আমার মামাত ভাই। পুস্প মামার বন্ধু ছিল এক টিভি অভিনেতা। একদিন মামার বাসায় এল। সে তাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বলল, যান দি, ছোড নানা বাড়িতে নাই।

তারপর মুখের উপর দরজা আটকিয়ে দিল। মামাত বোন বারান্দা গিয়ে দেখলো উনি চলে যাচ্ছে তখন ওকে বললো, জানিস তুই কাকে বের করে দিলি? টিভিতে দেখায়। ‌আগে কইলেন না ক্যান?—বলে সে দরজা খুলে নিচের তলায় দৌড় দিল। এরপর ওর ধারনা হয়েছিল এদের অনেক টিভি সিনেমার লোকজনের সাথে পরিচয় আছে তাই সে একদিন মামাকে ধরল, নানা পিলিস, আমারে এট্টু অঞ্জু ঘোষের লগে দেখা করাই দেন। ও মামাদের অনেক জ্বালিয়ে ছিল।

মামা ওকে বাড়িতে পাঠানোর আগ পর্যন্ত অঞ্জু ঘোষের সাথে দেখা করাবে বলে ভুলিয়ে ভালিয়ে রেখেছিল। নাইকা, তখন আমার তোমার সাথে পরিচয় ছিলো না ইশ্ যদি জানতাম তোমার সাথে আমার ভবিষ্যতে পরিচয় হবে তাহলে আমরা ওই কাজের লোকটা হারাতাম না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।