জীবন থেকে আমি ক্রমশ খেয় যাচ্ছি.....
আমি আমার জীবন থেকে পাওয়া বিষয় গুলো তুলে ধরিছ-- যাতে করে আমার মত কোন মেয়ে সুন্দর একটা জীবন থেকে ছিটকে না পড়ে।
আমার জীবন থেক নেয়া সত্য গল্পের ভিত্তিতে লেখা-------- এ সমাজ আমাকে যা দিয়েছে পরম আপন ভেবে আমি তাই তুলে দিচ্ছি আপনাদের কাঠগড়ায়----- ভাল মন্দের বিচারক আপনারা।
বেশ আনন্দেই কাটলো তিনটা দিন --------
কক্সবাজার গিয়ে পৌচলাম বিকাল প্রায় চারটার দিকে, আমরা চার জন মেয়ে বাকি দুজন মনির বান্ধবী--- ঐ দিন জানলাম মনি র্পালারে পাট টাইম কাজ করে। হোলেট না ঠিক বাড়ীই বলা চলে, সবার জন্য সিঙ্গ্যল রুম।
সমুদ্রের নেনা হাওয়া গায়ে লাগার সাথে সাথেই মনে হয় ক্লান্তিরা সব উবে গেছে --- সবাই ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সূর্যাস্ত দেখার জন্য, বিচে গিরে আমার আর তর সইলো না , আমি নেমে গেলাম পানিতে ---------
নোনা জলের সাথে আমরা সবাই অনেক ক্ষণ আমাদের আড্ডা চললো ------ সূর্য ডুবে যাওযাতে ফেরা পালা, পানি থেকে উঠতে গিয়ে দেখি ভিজা কাপড় নিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম --------- অনেক কষ্ট করে রাস্তায় উঠে রিক্্রা নিলাম,।
প্রতি দিন সমুদ্রে øান করা --- অনেক ক্ষণ ধরে, ছবি তোলা , হাত ধরা ধরা ধরি করে অনেক দুর পর্যন্ত হেটে যাওয়া আজ এসবই এক দুস্বপ্ন -- কেউ হয়তো তার জীবন দিয়ে কিনতে চাইবনো। অনেক রাত পযন্ত আড্ডা চললো, ( প্রথম দুদিন চলেছে ) দ্বিতীয় দিন রাতে মনি পাটি দিয়েছিল----
হুসকী বিয়ারের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু সেদিন দেখলা স্বচোখে------
দেখেই খ্যান্ত হইনি স্বাদও নিতে হয়েছিল মনির অনুরোধে। কেমন ঝাঝালো যেনো গলা ছিড়ে নিয়ে নেমে যাবে পাকস্তলিতে। বুঝতেই পারিনি বিয়ার বা হুসকি কিছুই খাটি বাংলায় তা ছিল বিদেশী মদ। যা কখনো দেখিনাই তার স্বদ বুঝবো কি করে ? ।
কখন যে মাতাল হয়ে নেতিয়ে পড়ি নিজেই জানিনা, যা হবার তা তখনই হয়েছে তখন----
ভোরে নিজেকে নিজের রুমেই আবিস্কার করি সম্পুন্য বিবস্্র অবস্থায় শুধু গায়ে চাদর দিয়ে ডাকা ছিল, নিজেকে এমন দেখে অবাক হই। পাশ্বেই মিনিআপা শোয়া ছিল তাকে জিজ্ঞাস করি আমার এ অবস্থা হল কি করে? ও কিছুনা তুমি নিজেই পাগলামি করেছিলা তোমর মনে নেই। নিজেকে নিজে শক্ত গালি দিলাম-- কেন যে স্বদ নিতে গেছিলাম। বার বার রাজনের কথা মনে হচ্ছিল।
তৃত্বীয় দিন থেকে সবাই কেমন জানি হয়ে গেল---- ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
রাত ভর আড্ডাও আর চলে না। সূর্য উদয় যেনো ওদের আর কাছে টানেনা। ওদের চোখ জোড়া কেমন জানি ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চায়- বোঝা যায় রাতে ওদের ভাল ঘুম হয়না। আমি অনেক বার জানতে চেয়েছি এর কারণ কি- মনি বলতো সময় হলে জানবি আর ন্যকামি করিস কেন কিছুই বুঝিসনা।
মণি আগে থেকেই আমাকে সব সময় বাজে একটা প্রস্তাব দিত, অনেক সময় বলতো নিজরে এত রূপ তাকতে এত কষ্ট করতে হয় নাকি? এত টিউশনির কি দরকার আমি তোমাকে দেখাবো জীবনরং দিয়ে কি ভাবে অনন্দে ভাসতে হয়।
এক বার নিজেকে মেলে দিয়ে দেখ। আমার সাথে এর আগে এ নিয়ে ভিষন রাগারাগি হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজেই মিট করে।
চতুর্থ দিন রাতে ও আমার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে যায়। খামটা খুলে যা দেখলাম তা দেখার আগেই আমার মরণ কেন হল না ভাবছিলাম, আমার সমস্ত পৃথিবী দুলে উঠলো-----
চারটা ছবি এবং একটা চিঠি পাই তাতে----- চিঠিতে লেখা তুমিই সিদ্বান্ত নাও কি করবে আমাদের সাথে থাকবে নাকি তুমি তোমার নিজের সিদ্বান্তে থাকবে।
যদি তুমি তোমার নিজের সিদ্বান্তে থাক তাহলে তোমাকে এর জন্য আরো চরম মুল্য দিতে হবে। তা তুমি কল্পনাও করতে পারোনা। আসলে ওরা আমাকে মায়াসমারে বিক্রি করে দিতে চাইছিল। মনি বাধা দেয় কি ভেবে তা জানিনা।
আমাকে দু দিন আটকিয়ে রাখা হয় মানসিক অত্যাচার, শারীরিক ভাবেও অত্যাচার করা হয়।
ভয় দেখা হয় ছবি গুলো আমার ভাই এর কাছে পাঠাবে -------
সপ্তম দিন রাতে আমার ঘরে কারো উপস্থিতি টের পেলাম, একটু পরেই বাতি জ্বলে উঠলো দেখলাম মনির এক বান্ধবী সাথে এক যুবা, দেখইে ভয়ে আতকে উঠলাম, রিনি ভাজে ভাষায় বললো বুঝে নেও--- এই বলে চলে গেল রিনি। বুঝতে আর কিছুই বাকি ছিল না কি হতে যাচ্ছে মনে মনে খোদা কে ডাকলাম, না তিনি এই পাপির কথায় কোন সাড়া দিলেন না।
যুবা জানতে চাইলো নানা কথা যা লিখে প্রকাশ করার মত না। কিছুতেই আমাকে কাবু করতে না পেরে চুল ধরে আমাকে তার শরীলের সমস্ত শক্তি দিতে মারতে লাগলো। এক সময় নেতিয়ে গেলাম--------- কখন কি হল জানিনা, জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারলাম আমার সব কিছু শেষ।
শরীলে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম--------- কাঁদতে চাইলাম কিন্তু চোখ দিয়ে জল এলনা। এ ভাবেই আমার এগারোটি দিন রাত কাঠলো। প্রতি দিন রিনি এসে গোসল করাতো ---- বুঝাতো আমার এসব কিছু করি আমাদের এ সমাজে বেচে থাকার জন্য, আমি নিরবাক তাকিয়ে তাকতাম আর ভাবতাম ------- ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।