ভারতের রাজধানীতে গত বছর চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রী গণধর্ষণের আলোচিত মামলায় গতকাল মঙ্গলবার চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আজ বুধবার দণ্ডাদেশের বিষয়ে শুনানির কথা।
দোষী সাব্যস্ত চারজন হলেন, মুকেশ (২৬), বিনয় শর্মা (২০), পবন গুপ্ত (১৯) ও অক্ষয় সিং তালুকদার (২৮।
বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খান্না। রায় শোনার পর আসামি পবন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিনয়কে দেখে মনে হয় যেন তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। মুকেশ চিৎকার করে বলতে থাকেন, পাপের শাস্তি পেতে হবে। তবে অক্ষয় ছিলেন ভাবলেশহীন।
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শত শত মানুষ ‘ওদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দাও’ বলে স্লোগান দেন।
২৩০ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেন, চার আসামিই নির্ভয়াকে গণধর্ষণ ও হত্যা এবং তাঁর পুরুষসঙ্গীকে হত্যার চেষ্টাসহ নানা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
মুকেশের আইনজীবী আপিল করার কথা জানিয়ে বলেন, তাঁর মক্কেল বাস চালাচ্ছিলেন। তিনি ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত নন।
এ মামলার এক আসামি রাম কুমার গত মার্চে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তরুণ এক আসামিকে কিশোর আদালত গত মাসে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে নয়াদিল্লিতে চলন্ত একটি বাসে গণধর্ষণের পর ২৩ বছরের মেডিকেলছাত্রী নির্ভয়াকে (আসল নাম নয়) পিটিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর পুরুষসঙ্গী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকেও পিটিয়ে রাস্তায় ছুড়ে মারা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলেও সেখানে ২৮ ডিসেম্বর নির্ভয়ার মৃত্যু হয়। নির্ভয়ার করুণ মৃত্যুর প্রতিবাদে ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে সারা ভারত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আন্দোলনের মুখে সরকার প্রচলিত আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে। বিবিসি ও পিটিআই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।