যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
গতকাল এমনেস্টির সেক্রেটারী জেনারেল আইরিন খান বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
এতে ব্লগের এক রাজাকার বিলাপ করে একটা পোস্ট দিয়েছে। দারুন এই পোস্ট। যতভাবে সম্ভব যুদ্ধাপোরাধের বিচারে দাবীকে পিছনে ফেলা যায় তার একটা হাস্যকর প্রচেষ্টা দেখালো এই রাজাকারের উত্তরসুরী। পূর্বসুরীকে রক্ষার হাস্যকর কিছু যুক্তির নমুনা দেখন:
সে যুদ্ধাপরাধের সাথে আরো কিছু বিষয় যোগ করেছেন এভাবে - View this link
তবে তার উচিত নিচের বিষয়গুলোও দেখা,
১. NewAge পত্রিকায় প্রকাশ, বিএসএফ ২০০৭ সালে ১০ মাসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৯৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।
তিনি কি বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের বিরুদ্ধে এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে সাহায্য করতে পারেন - দয়া করে?
>> বাংলাদেশে পাঁচ বছর রাজাকার সহযোগে জোট সরকার ছিল। তারা কি বিএসএফএর হত্যাকান্ড নিয়ে কোন বিচার দাবী করেছে। আর এমনেস্টি কি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চালায়। এমনেস্টি সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা যা আছে তাদের পক্ষে এই ধরনের নির্বোধ উক্তি সম্ভব নয়। মুলত যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবীতে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কারনেই বিলাপের সুর তুলেছে এই যুদ্ধাপরাধীর উত্তরসূরী।
২. ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ লগি-বৈঠা বাহিনী দিনে দূপুরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার বিচার এখনও রাজনৈতিক কারণে আটকে আছে। জনাবা আইরিন খান, নিয়ে আপনি কোন নিন্দা জানিয়েছেন কিনা বা বিচার তরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বলেছেন কি?
>>> আরেকটা দেখুন। গিট্ট নাসির, আর আহম্মদ্যার বিষয়েও তাইলে এমনেস্টিকে কথা বলতে হবে। বলতে হবে সালেহিনের শিক্ষক হত্যার বিষয়ে।
বলতে হবে জাফর ইকবালের জিহ্বা কেটে ফেলার বিষয়ে হুমকীর কথাও বলতে হবে। সেখানে কি "মরলে শহীদ বাঁচলে গাজীর" ভিডিও পার্টটা দেওয়া হবে। । এই গনশত্রুরা কি কখনই বুঝবে না একটা দেশের ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যা আর এক কোটি মানুষের দেশ ত্যাগের সাথে পল্টনের মারামারি এক কথা নয়।
অবশেষে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের অবতারনা: (টাকা দিয়ে আইরিন খানকে কেনা হয়েছে)
বাংলাদেশে যে গ্রুপটি যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে বরাবরের মতো '৭১ নিয়ে আবারো রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য মাঠে নেমেছে, তারাই টাকার বিনিময়ে আইরিন খানকে এনে শেখানো বুলির মতো তার মুখ দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি বলিয়েছেন।
এটি সংশ্লিষ্ট মহল কতৃক ইস্যুটি নিয়ে সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্য। প্রকৃত পক্ষে ইস্যুটি সমাধান হউক বা না হউক, যেনতেন ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লুটাই এর লক্ষ্য।
>>> জানতে চাই - আইরিন খানকে টাকা দিয়ে এই কথা বলানোর কোন প্রমান কি দেখাতে পারবেন। না হলে ব্লগের নীতিমালার ৪চ ২খ ১ঙ , অনুসারে আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন সন্মানিত মানুষ সম্পর্কে ভিত্তিহীন গুজব ও কুৎসা রটানোর অভিযোগে এই ব্লগারকে কি ব্লগ থেকে বহিষ্কার করা যায় কিনা মডারেটরগন বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।