আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাইরে ছবিতে চুল দেখা গেলেও চুল পইরা যাইতেছে...

মোঃ আতিকুজ্জামান লিমন

... মনে আপনাদেরও অনেককের সমস্যা আছে..... ছেলেদের চুলের যতœআত্তি শীতের সময় তৈলাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরের ঘামের মতো মাথার তালু থেকে ঘাত বের হয় এবং এগুলো জমে ময়লা আটকে যায়। আবার চারপাশের ধুলো, ধোঁয়া আর নানা রকম ময়লা মাথার চুলে আটকে চুল নোংরা হয়। সাধারণ, র"ক্ষ আর তৈলাক্ত চুলের যতেœর ধরন যেমন ভিন্ন, তেমনি এই চুলগুলো ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। কাজেই আপনার চুলের ধরন বুঝতে হবে আগে।

যদি সমস্যা হয়, তবে চুলের ধরন বুঝে যতœ নিতে হবে। চুল কাটার স্টাইল : তর"ণ প্রজন্মের অনেকেই আছে যারা বড়ো চুল রাখতে পারেন না। চুল একেবারেই ছোট করে ফেলেন। মাথার তালু পর্যন্ত দেখা যায়। কিš' খেয়াল রাখা উচিত চুলের ছাট আপনার চেহারার সাথে মানান সই কিনা।

তাই চুল কাটতে হবে মুখের ধরন বুঝে। মুখ যদি গোলাকার হয় তবে ইচ্ছে করলেই চুল কিছুটা লম্বা রাখা যাবে। আবার মুখ যুদি লম্বাটে ধরনের হয়ে থাকে, তবে লম্বা চুল মানাবে না। সে ক্ষেত্রে চুল মাঝারি বা ছোট করে কাটলেই ভালো মানাবে। ধরন বুঝে চুলের ‘কাট’ ঠিক কর"ন।

বড়ো চুলের যতœ : বড়ো বা লম্বা চুলের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি যতেœর প্রয়োজন। প্রতিদিনই বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই চুল পরিষ্কার করতে হবে শ্যাম্পু দিয়ে। চুলের ধরন বুঝে ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পু করার আগে চুল ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর পুরো চলে ফেনা তুলে ঘষতে হবে।

পরে ১ মিনিট এ রকম অবস্থায় রেখে দিতে হবে। একটা পরিষ্কার চির"নি দিয়ে ফেনা তোলা অবস্থায় আঁচড়াতে হবে। ১০-১৫ বার আঁচড়ানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শুষ্ক বা র"ক্ষ চুলের ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। আর চুল ধোয়ার পর ভেজা চুলে অবশ্যই হেয়ার সফটনার ব্যবহার করা উচিত।

চুলের যতেœ রকমারি : নারকেল তেলকে অয়েল ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা যায়। নারকেল তেলের সঙ্গে দুই ফোঁটা লেবুর রস, পেঁয়াজের রস এক ফোঁটা দিয়ে কিছুটা গরম করতে হবে। তেল হালকা গরম হয়ে এলে পুরো মাথার চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করতে হবে। আবার শুধু সরিষার তেলের সঙ্গে দুই ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে সারা মাথায় ম্যাসেজ করা যেতে পারে। ম্যাসেজের এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করা উচিত।

মেহেদি ট্রিটমেন্টে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়া কমে যায়। কাঁচা মেহেদি পাতা বাটা, আধা চামচ টকদই কেটা ডিমের কুসুম এবং যদি চুলের রং ব্রাউন করতে চান তো কফি রঙের পেস্ট বানিয়ে পুরো মাথায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এ দিন শ্যাম্পু করা যাবে না।

পরের দিন করতে হবে। ক্রিম ট্রিটমেন্টে বাজারে যেসব হেয়ার ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর ব্যবহারবিধি অনুযায়ী ক্রিম চুলে লাগাতে হবে। সময়ানুযায়ী এগুলো লাগিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ্য কর"ণ : শীতে খুশকির প্রকোপ বেড়ে যায় তাই সবসময় চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ভিনেগারের সাথে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে চুল ধুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে।

আমলকী, হরিতকী, বহেরা, সুন্দা, মেথি প্রভৃতি বাটা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগানো যায়। মাসে একবার হলেও চুলের ধরন বুঝে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা উচিত। মধুর সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে চুলের উপকার হবে। ১০০ গ্রাম রিঠা, ৫০ গ্রাম আমলা ও শিকা কাই মিশিয়ে রাতে ভিজিয়ে রেখে ভোরে গোসলের সময় চুলে ব্যবহার করলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের কাজে দিবে। ভোরের কাগজ থেকে নেয়া.....


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।