ছাত্রজীবনে শিবির পিটানোর অভিজ্ঞতা থেকে জানি ওরা সবচাইতে ভয় পায় পাবলিকের মার। যখনই পাবলিকের ফাঁদে পড়ে তখন তালে থাকে কখন ঠোলা আসবে। ঠোলা আসলেই কান্নাকাটি করে একটা পরিস্থিতি বানায়। ঠোলা উপরের নির্দেশ মতো বাস্টার্ডদের প্যাকেট করে নিয়ে নিরাপদে বাড়ি পৌছে দেয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে গত মাসদেড়েক যাবৎ যত কথা হচ্ছে তাতে আমার মনে একটা জিনিসই খচ খচ করছে।
সাধারণ ফৌজদারী মামলা করে নিজামী-মুজাহিদীদের স্বসন্মানে মুক্ত করার তাল করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বর্তমান সরকারে অনেকেই রয়েছেন যারা যুদ্ধাপরাধীদের সবচাইতে সংগঠিত সংগঠণ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নানারকম আন্ডারহ্যান্ড বাটোয়ারায় জড়িত ছিলেন/আছেন। নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় বসতে পারেন তারা সবাই একই দোষে দুষ্ট। এই ক্ষেত্রে একটা কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে উপর্যপরি আক্রমণ করে জামাত-শিবিরকে প্রকাশ্যে নিজেদের সশস্ত্র চেহারা দেখাতে বাধ্য করা। ১৯৯২-১৯৯৫ এ যেমন হয়েছিল।
সেক্ষেত্রে এবার আমাদের করণীয় হচ্ছে শিবিরের সশস্ত্র তৎপরতার আলাদা রেকর্ড রাখা, পুলিশ আসার আগেই ভরা মজলিসে ভালো করে কয়েক দফা বাঁশ ডলা দেওয়া, পরে মামলার সময় রেফারেন্সগুলো ব্যাবহার করা,একই সময়ে তাদের দলের ১৯৭১ সালের ভুমিকার একটা তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা। শিবিরের জল্লাদদের আজকের ভুমিকা পরিস্কার হওয়া খুব জরুরি। রাজশাহীর রিমু, জাহাঙ্গীরনগরের কবীর, চট্টগ্রামের সঞ্জয় শিবিরের হাতে নিহত এরকম আরো অনেক সৈনিকের কথাও প্রচারণায় থাকতে হবে। ১৯৯২ এর গণআদালতের সময় শিবির কিন্তু সত্যিই পাগলা কুকুর হয়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লোভে বিশ্বাসঘাতকতা করে সেদিন ওদের বাঁচিয়েছে।
আমার মনে হয়ে আওয়ামী লীগকে আন্ডার হ্যান্ড কিছু করার সুযোগ না দিয়ে আর "সুশীল সমাজ"কে সামনে না রেখে তারামন বিবিদের মতো অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে নিয়ে এসে একটা সত্যিকারের গণপ্রতিরোধ তৈরী করতে হবে। এখানে স্রোতটা এরকম হতে হবে যাতে নেতৃত্বে বিশ্বাসঘাতকতার কোন সম্ভাবনা দেখা দেবা মাত্র যাতে উত্তেজিত জনতা সরাসরি চিহ্নিত বদর বাহিনির লোকদের খতম করতে পারে।
এই জন্মযুদ্ধের অঙ্গীকারই হোক ২০০৮ এর চেতনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।