ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
বার্মিংহামে আমি যে বাড়িতে উঠেছি তার কয়েকটি বাড়ি পরেই আছে অ্যাসটন পার্ক। ৯৩৪ একর আয়তনের বিশাল এ পার্কটির একপাশে অ্যাসটন এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যপাশে অ্যাসটন ভিলা ফুটবল ক্লাব নামে ৪২ হাজার সিটের বিশাল এক স্টেডিয়াম আছে। অবশ্য ম্যাচ না থাকলে এখানে জনপ্রাণীও দেখা যায় না। পার্কটির দেখাশোনা করে বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল।
বিকালে আমরা গেলাম পার্কে ভ্রমণ করতে।
পার্কটিতে ঢোকার পথে দেখলাম কোনো গার্ড নাই কিন্তু রাস্তায় কয়েকটা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। সম্পূর্ণ বার্মিংহামের রাস্তায় এ ধরনের প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। কোনো এলাকায় অপরাধ হলেই এগুলোর রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পার্কে ঢুকতেই বামপাশে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা ঘেরা জায়গা। সেখানে বেশ কিছু বাচ্চা দৌড়াদৌড়ি করছে।
কয়েকজন ফুটবল খেলছে। খেলার জন্য কিছু দোলনা এবং লোহার উচু যন্ত্রপাতিও সাজানো আছে। বাচ্চাদের খেলার পুরো এলাকাটিই প্লাস্টিকের ট্র্যাক দিয়ে তৈরি। এগুলোতে পড়ে গেলেও ব্যথা লাগে না। একপাশে দুটো টিনেজ মেয়ে দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে।
এখানে ১৮ বছরের নিচের কারো কাছে সিগারেট বিক্রি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তবু প্রচুর বাচ্চাদের সিগারেট খেতে দেখা যায়।
বাচ্চাদের খেলার পার্কের ডান পাশে বড়দের জন্য খেলার ব্যবস্থা। সিনথেটিক ট্র্যাকের বিশাল তিনটা ফুটবল মাঠ বানানো হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই মানুষ থাকুক আর না থাকুক সেখানে ফ্ল্যাড লাইটের উজ্জ্বল আলো জ্বলে উঠে।
একটি মাঠে কয়েকজনকে খেলতে দেখা গেল। মাঠের গেটে লেখা আছে, এখানে খেলতে হলে আপনাকে সিটি কাউন্সিরের অনুমতি নিতে হবে।
পার্কের ভেতরে পথের দুপাশে শতাব্দী প্রাচীন অনেকগুলো গাছ দেখলাম। এখানকার গাছগুলোর কাণ্ডের রং ঘন শ্যাওলার মতো সবুজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গাছের কান্ডের কালো, বাদামী ইত্যাদি বিভিন্ন রং দেখা গেলেও এখানে তা দেখলাম না।
কয়েকটা বড় কাঠবিড়ালী দেখলাম। কয়েকটা কবুতরও দেখলাম আমাদের দেশের সাধারণ কবুতরের চেয়ে কিছুটা বড়।
পার্কের মাঝখানের এলাকাটা অনেকটা পাহাড়ি এলাকার মতো কিছুটা উচু। পিচ ঢালা পথ দিয়ে সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার পর পার্কের মাঝে গাছপালা ঘেরা বেশ বড় পুরনো আমলের একটি বাড়ি চোখে পড়লো। এটি এলাকার সাবেক জমিদারের বাড়ি।
সম্পূর্ণ এলাকাটি আগে এদের ছিল। পরে তা পার্কে রুপান্তর করা হয়েছে। নোটিশ দেখে বুঝলাম, এ বাড়িটিকে মিউজিয়ামে রুপান্তর করা হচ্ছে। পার্কের ভেতরে বেশ কিছুক্ষণ হাটার পরও বাংলাদেশের মতো কোনো প্রেমিক প্রেমিকা জুটি চোখে পড়লো না। (ছবি : অ্যাসটন পার্কের মাঝখানে, ৬ সেপ্টেম্বর)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।