আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ' র‍্যাগিং এর বিষয়টি

আমি অবশেষে প্রমান হয়েছে কাল রাত থেকে শেয়ার হওয়া 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আই.টি. - ১ম বর্ষের একজন ছাত্রীকে জাহানারা ইমাম হলের সিনিয়র আপুরা র‍্যাগ (rag) দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা” শীর্ষক র‍্যাগিং গুজব পুরোপুরি মিথ্যা, স্রেফ প্রোপাগান্ডা। ঐ পোস্টের লেখক মাহবুব হাসান ইতোমধ্যে তার পোস্ট সরিয়ে ফেলেছেন এবং ক্ষমা চেয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। আমিও গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এধরনের কিছু ঘটেনি। সারাদিন ক্যাম্পাসে ঘুরে সম্ভাব্য সকল উপায়ে জানার চেষ্টা করেছি বাট এধরনের কোন ঘটনার কথা জাহানারা ইমাম হলের কেউ জানেনা। আইটি বিভাগের ফ্রেন্ড, হলের আপু, বিভাগের শিক্ষক দের সাথে কথা বলে এর কোন সত্যতা পাইনি।

মেয়েটিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে, এমনকি সে হলেই ওঠেনি!! অভিযুক্ত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অপপ্রচারকারী ব্লগার আর ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনদের বিচার না হাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে যাবে না বলে জানিয়েছে আইটি ইন্সটিটিউটের ফাইনাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটু আগে। এ বিষয়ে শশী হিমু ভাই এর বিস্তারিত পোস্ট- Click This Link বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিবাদ- Click This Link প্রথম আলো তে প্রকাশিতো--- Click This Link গুজব ছড়ান সেই পোস্টের লেখক মাহবুব হাসানের ভুল স্বীকার করা পোস্ট- Click This Link যদিও মেয়েটার পারিবারিক সূত্রে "মেয়ের ফ্যামিলি এখন আর তাকে জাবি’তে পড়াতে চাইছেনা'' কথাটি স্বীকার করা হয়নি। কাল রাত থেকে কয়েকশো মানুষের গালি শুনেছি, বিভিন্ন পেইজে ব্যান খেয়েছি, কেবল আমার ক্যাম্পাস নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট কথার প্রতিবাদ করায়। কীবোর্ডে আঙুল চালাতে চালাতে হাত ব্যাথা করছে। তবুও স্বস্তি যে সত্য উন্মোচিত হয়েছে! এই গুজবের ভিত্তিতে কিছু মানুষ জাহাঙ্গীরনগর কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন, ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।

আমার ক্যাম্পাসের এই নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি আমি ফেরত চাই। বাংলানিউজে এখনো এই প্রোপাগান্ডা ঝুলছে তার অপসারন চাই। আমার একটা না ঘুমানো রাত ফেরত চাই। আর চাই আমার ক্যাম্পাস নিয়ে ভয়ানক নোংরা মিথ্যা কথা বলা চটিবাজ যৌনবিকারগ্রস্ত দের উপযুক্ত চিকিত্‍সা। আমরা বাংলাদেশীরা তিল কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তাল বানাতে ওস্তাদ।

এই ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে!! কিছু মানুষ গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে প্রশাসন কে ব্লেম দিয়েছে। অথচ প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। প্রশাসন গত তিন বছরে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্যাম্পাসের সবখানে র‍্যাগিং বিরোধী পোষ্টার ঝুলছে, প্রশাসন এর নম্বর টানানো হলে হলে, ক্যাম্পাসের সকল পয়েন্টে, সব প্রোগ্রামে র‍্যগিং এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা চলছে, গত তিনবছরে সুনির্দিষ্ট অভিযুক্তরা সবগুলো বহিষ্কার হয়েছে। র‍্যাগিং ৯০ভাগ কমে গেছে।

আর মেয়েদের র‍্যাগিং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নরমালি মেয়েদের হলে র‍্যাগিং খুবই রেয়ার। ছেলেরাও মেয়েদের র‍্যাগ দেয়না। প্রশাসন চেষ্টা করছে। আসুন আমরাও চেষ্টা করি।

গুজবে কান দিবেন না। র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলুন। র‍্যাগিং প্রতিরোধ করতে জাবি যেমন বদ্ধ পরিকর তেমনি ভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যেন ব্যাবস্থা নেয়া হয় সেই আশা করছি। "র‍্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চাই। " ইব্রাহীম খলিল, এম এইচ হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

সংগ্রহীত Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।