munirshamim@gmail.com
এর আগের লেখায় বলেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের উচ্চতর মহলের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মুক্তির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতে দু'পক্ষের মাঝে যে আস্থার জন্ম নিয়েছে তা ধরে রাখা খুব জরুরি। আর ধরে রাখার প্রধান উপায়টি হচ্ছে আটককৃত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দ্রুত মুক্তি দেয়া। ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক মুক্তি পেয়েছেন। তাদের মুক্তির সংবাদ পারস্পরিক আস্থার জায়গাটাকে আরও প্রশস্ত করেছিল। আটককৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং সহকর্মীদের মতো আমরাও এ ভেবে আশায় বুক বেঁধে ছিলাম যে, এ বুঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মুক্ত হচ্ছেন।
তাদের প্রিয় প্রাঙ্গন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসছেন। কিন্তু পরবর্তী দু'দিনের ঘটনা প্রবাহ সবার মাঝে নতুন আশংকা তৈরি করেছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে আটককৃত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কী হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং গুঞ্জণের ডালপালা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষকরা মুক্তি পেলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। আবার শিক্ষকরাও কবে মুক্ত হবেন তাও বলা যাচ্ছে না।
দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এবং সরকারের একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে আবারও আহবান জানাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আটককৃত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়া হোক। এবং তা বিজয় দিবসের আগেই। আসুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তির আনন্দ এবং বিজয়ের আনন্দ আমরা এক সাথে উপভোগ করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আটককৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি সরকারের ভাতমূর্তিকেই উজ্জল করবে। প্রতি দিনের বাসে, রাস্তায়, চায়ের দোকানের সাধারণের নিরব আলোচনা তারই স্বাক্ষ্য বহন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।