আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়ীওয়ালাদের নীরব প্রহসণ: শর্তের কারাগারে বন্দী ভাড়াটিয়ার জীবন (শর্তের যত গভীরে যাবেন মজা তত ঘনীভূত হবে !! )

এই দিয়ে ঢাকা শহরে আমরা চার নম্বর বাড়ী ভাড়া নিতে যাচ্ছি, প্রথম বারের মত কোন বাড়ীওয়ালা হাতে চুক্তিপত্র ধরিয়ে দিলেন। শর্তাবলি পড়ার পর আমার মুখে আর রা নেই। মনে পড়ে গেল ক্রিস্টোফার মারলো'র ড: ফসটাস্‌‌ নাটকের ট্রজিক্যাল হিসট্রিটা । ড: ফসটাস্‌ নিজের আত্বাকে শয়তানের কাছে বিক্রি করেছিলেন ক্ষমতা ও জ্ঞান লাভের আশায় আর আমি বিক্রি করছি বাড়ীওয়ালার কাছে একটি ভাল বাসা লাভের আশায়...... লুসিফারের দেওয়া শার্তের তালিকা মনে নেই তবে আমার বাড়ীওয়লার দেয়া শর্তের তালিকার যেন কোন শেষ নেই। এতো কোন চুক্তিপত্র নয় যেন শর্তপত্র !! চার পাতার চুক্তিপত্র নিজেকে কম্পোজ করে ১৫০ টাকা মুল্যের স্টাম্প পেপারে প্রিন্ট নিয়ে উনাকে দিতে হবে.. এ যেন নিজের মৃত্যু পরো্ওয়ানা নিজেই রচনা করলাম......... শর্তাবলীগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

আপনারা অনেকেই হয়তো এই শর্তাবলীর সাথে আগেই পরিচিত কিন্তু নীচের শর্তগুলোতে আরও অনেক অনেক মজার মজার উপাদান পাবেন বলেই শেয়ার করলাম। তবে বড়ীওয়ালাকেও ধন্যবাদ জানাই তার দুরদর্শিতার জন্য..... নিচের শর্তগুলো পড়ার পর সম্ভব হলে জানাবেন এখানে কি আদৌ কোন ভোক্তা অধিকার সংরকক্ষিত হয়েছে ! নাকি ভোক্তা অধিকার নামক কোন জিনিস এই দ্যাশত নাই ?? ১০০% রিয়েল-লাইভ ফান: শর্তের যত গভীরে যাবেন মজা তত ঘনীভূত হবে !! ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তিপত্র শর্তাবলীঃ ১। অত্র চুক্তিপত্র ০১/০২/২০১৩ইং হইতে ৩১/০১/২০১৪ইং তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ১ (এক) বৎসর বলবৎ থাকিবে। ২। তফসিল বর্ণিত ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া ১২২০০/- (বার হাজার দুই শত) টাকা যাহা চলতি মাসের অর্থাৎ যে মাসের ভাড়া সেই মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মাধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন।

৩। এক বৎসর মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পর এই চুক্তিপত্র স্বাভাবিকভাবে বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। তবে উভয় পক্ষ সম্মত হইলে চুক্তির মেয়াদ এক বৎসর করিয়া নবায়ন করা যাইতে পারে এবং সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রতি বৎসর শর্তাবলী পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হইতে পারে এবং মাসিক ভাড়া প্রতি বৎসর ১০% বৃদ্ধি করা হইবে। ৪। উল্লেখিত ফ্ল্যাট ব্যবহৃত মাসিক বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল দ্বিতীয় পক্ষ বহন করিবেন এবং প্রতি মাসে যথা সময়ে বিল পরিশোধ করিয়া পরিশোধিত বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলের মূল কপি প্রথম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবেন এবং ব্যবহৃত পানির বিলের টাকা জন প্রতি হারে প্রথম পক্ষের হাতে দিবেন ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য।

৫। ফ্ল্যাট বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কে বা অন্য কোন অভিযোগ থাকিলে তাহা দ্বিতীয় পক্ষ সরাসরি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উত্থাপন করিয়া সমাধান করিবেন। এ ব্যাপারে প্রথম পক্ষের কোন দায়-দায়িত্ব থাকিবে না। কারণ প্রতি ফ্ল্যাটের আলাদা মিটার আছে। উল্লেখ্য কোন বিল সময়মত পরিশোধ না করার কারণে যদি জরিমানা করা হয় বা লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয় তাহা হইলে উহার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে দ্বিতীয় পক্ষকে বহন করিতে হইবে।

৬। ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ, গ্যাস, সূয়ারেজ এবং ওয়েষ্ট ওয়াটার পাইপে বা অন্য কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে তাহা সমাধান করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব দ্বিতীয় পক্ষের। ৭। ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটের একাধিক ফ্যামিলি থাকিতে পারিবে না। সাব-লেট করিতে পারিবেন না এবং আবাসিক ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য ব্যবহার করা যাইবে না।

৮। ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কোন প্রকার রাষ্ট্রবিরোধী বা অসামাজিক কোন কার্যকলাপ করিতে বা কোন প্রকার আত্তিজনক/বিপদজনক মালামাল রাখিতে পরিবেন না। ৯। প্রথম পক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় পক্ষ ফ্ল্যাটের কোন প্রকার পরিবর্তন/পরিবর্ধন করিতে পারিবেন না। ২য় পক্ষ তাহার প্রয়োজনে যদি কোন পরিবর্তন/পরিবর্ধন করিতে চান তাহা হইলে ১ম পক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়া করিতে হইবে এবং ১ম পক্ষ লিখিত অনুমতি দিলেও উহার খরচ ২য় পক্ষ বহন করিবেন।

১০। ছোট খাটো রিপেয়ারিং/রিপ্লেসমেন্টের কাজ যথাঃ দরজা, তালা, কমোড, প্যানেল ফ্ল্যাশ, কনসিল শাওয়ার কক, বিব-কক, পিলারকক, ডোর-ডিউয়ার, স্টপার-বাফার, ইলেক্টিক ফিটিংস-কিক্সার্স, পুশ-শাওয়ার ইত্যাদি দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে করিবেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় পক্ষের অবহেলা/অসাবধানতা/খামখেয়ালীর ফলে যদি বড় ধরণের রিপেয়ার বা রিপ্লেসমেন্ট করিতে হয় তাহাও দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে করিতে বাধ্য থাকিবেন। ১১। বৈদুতিক বাল্ব, চুলা, পাখা, কলিংবেল ইত্যাদি দ্বিতীয় পক্ষ তাহার পছন্দমত স্থাপন করিতে পারিবেন।

কলিং বেল আবশ্যই লাগাতে হইবে। ১২। ফ্ল্যাটের ফিটিং/ফিক্সার্স ও অন্যান্য মালামাল যাহা প্রথম পক্ষ সরবরাহ করিয়াছেন তাহা দ্বিতীয় পক্ষ যতœ সহকারে ব্যবহার এবং সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করিবেন। ১৩। কমন ইউজের বিদ্যুৎ বিল ও নিরাপত্তা প্রহরীর খরচ দ্বিতীয় পক্ষ হারাহারীভাবে বহন করিবেন।

১৪। ফ্যামিলী/পরিবার বলিতে দ্বিতীয় পক্ষ নিজে, তাহার স্ত্রী, নিজ সন্তান এবং বুয়াকে বুঝাইবে। এদের ছাড়া অন্য কেহ ৩ দিনের বেশি ফ্ল্যাটে থাকিলে অথবা একজন গেল আর একজ আসিল এমনি করিয়া মাসে ৬ (ছয়) দিনের বেশি অতিক্রম করিলে পুরা মাসের পানির বিল দিতে হইবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দ্বিতীয় পক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩ জন। পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কেহ অতিথি হিসাবে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অবস্থান করিলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে তাহা যথাসময়ে অবহিত করিবেন এবং পরিবারের কোন সদস্য কোন কার্য উপলক্ষে অন্যত্র থাকিলেও পুরা মাসের পানির বিল দিতে হবে।

১৫। শান্তি পূর্ণ পরিবেশের স্বার্থে দ্বিতীয় পক্ষ তাহার প্রতিবেশীদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখিতে সচেষ্ট থাকিবেন। ১৬। ফ্ল্যাটে বর্তমানে যাহা আছে তাহার অতিরিক্ত কোন ফিটিংস/ফিক্সার্স, ফ্যাসিলিটি যুক্ত করিতে প্রথম পক্ষ কোন অবস্থাতেই বাধ্য নহে। ১৭।

দ্বিতীয় পক্ষ তাহার ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে কোন অবাঞ্চিত ব্যাক্তি বর্গের প্রবেশ/অবস্থান করিতে দিবেন না। ১৮। দ্বিতীয় পক্ষ বা তাহার পক্ষে অন্য কেহ কোন অবস্থায় দেয়ালে তারকাটা বা অন্য কোন জিনিস ডুকাইবেন না। ১৯। বাথরুম, কিচেন এবং ঘরের মেঝে পরিস্কার করার জন্য প্লাষ্টিকের মগ, বদনা এবং বালতি ইত্যাদি ব্যতীত অন্য কোন ধাতব পত্র ব্যবহার করা যাইবে না।

দেয়ালে বা দরজায় কোন প্রকার দাগ দেওয়া লেখা-লেখি করা বা পোষ্টার/কাগজ লাগানো যাইবে না। ২০। দ্বিতীয় পক্ষকে যে তালচাবি দেওয়া হইবে তাহা যদি তিনি হারাইয়া/ভাংগিয়া ফেলেন তাহা হইলে তালা ও চাবির ব্যবস্থা তাহার নিজ খরচে করিতে হইবে। ২১। প্রথম পক্ষ কোন কারণ না দর্শাইয়া দুই মাসের নোটিশ দিয়া দ্বিতীয় পক্ষকে উচ্ছেদ করিতে পারিবেন।

এবং দ্বিতীয় পক্ষও কোন কারণ না দর্শাইয়া দুই মাসের নোটিশ দিয়া ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে পারিবেন। দুই মাসের নোটিশ না দিয়া দ্বিতীয় পক্ষ যদি ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে চাহেন তাহা হইলে দুই মাসের ভাড়া সমপরিমাণ টাকা প্রথম পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে। তদরূপ প্রথম পক্ষ যদি নোটিশ ছাড়া দ্বিতীয় পক্ষকে ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে বলেন সেক্ষেত্রেও দুই মাসের ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে দিতে প্রথম পক্ষ বাধ্য থাকিবেন। উল্লেখ্য, চুক্তির মেয়াদ শুরুর তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের মধ্যে কোন পক্ষই এইরূপ করিতে পারিবেন না। ২২।

প্রথম পক্ষ বা তাহার আইনানুগ ওয়ারিশ বা প্রতিনিধি যে কোন যুক্তিসংগত সময় পরির্দনের প্রয়োজনে ফ্ল্যাটের কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করা হইয়াছে অথবা অন্যান্য মালামাল যথাঃ কিচেন, ব্যলকনি, বেসিন, সিংক, কমোড/টয়লেট, বৈদ্যুৎতিক সুইচ ইত্যাদি সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হয় নাই বা ভাঙ্গিয়া/নষ্ট করিয়া ফেলা হইয়াছে তাহা হইলে দ্বিতীয় পক্ষ অবশ্যই তৎক্ষনিক উহা মেরামত/পরিবর্তন করিয়া দিবেন। অন্যথায়, যথাযথ ক্ষতি পূরণ দিয়া ১(এক) মাসের মধ্যে দ্বিতীয় শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রথম পক্ষকে ফ্ল্যাট বুঝিয়া দিবেন। ২৩। চুক্তিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে যদি কোন কারণে চুক্তিপত্র বাতিল করা হয় অথবা দ্বিতীয় পক্ষ ফ্ল্যাট ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইতে চাহেন সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের পজিশন নেওয়ার সময় ফ্ল্যাট যে অবস্থায় ছিল এবং ফ্ল্যাটের মালামাল যেটা যেখানে যে অবস্থায় ছিল ঠিক সেই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভাবে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে ফ্ল্যাট বুঝাইয়া দিবেন। অন্যাথায় দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে যথাযথ ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য থাকিবেন।

২৪। দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের নিকট ৩৫,০০০/-(পয়ত্রিশ হাজার) টাকা জামানত (সিকিউরিটি) হিসাবে জমা রাখিলেন। চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণান্তে অথবা মেয়াদ বলবৎ থাকাকালীন সময়ে কোন কারণে যদি তিনি চলিয়া যাইতে চাহেন অথবা চুক্তিপত্রের মেয়াদের মধ্যে কোন কারণে যদি চুক্তিপত্র বাতিল করা হয়, তখন যদি তাহার (২য় পক্ষ) নিকট কোন বাবদ টাকা পাওনা থাকে তাহা কর্তন করিযা জামানতের বাকী (যদি থাকে) টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরৎ দেওয়া হইবে। জামানতের টাকা হইতে কখনো মাসিক ভাড়া কাটা হইবে না। ২৫।

ফ্ল্যাট ত্যাগ করিয়া যাওয়ার সময় দ্বিতীয় পক্ষের নিকট যদি এমন পরিমাণ টাকা প্রথম পক্ষের পাওনা থাকে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি বিল বকেয়া থাকে যাহা জামানতের টাকায় সংকুলান হয় না তাহা হইলে যে পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ সমস্ত পাওনা টাকা এবং বকেয়া বিল পরিশোধ না করেন সে পর্যন্ত তিনি তাহার ফ্ল্যাটের মালামাল সরাইতে পারিবেন না। যদি ১(এক) মাসের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ সম্পূর্ণ টাকা এবং বকেয়া বিল পরিশোধ না করেন সেক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের মালামাল বিক্রি করিয়া লইতে পারিবেন। ২৬। চুক্তি পত্রের যে কোন একটি শর্ত ভঙ্গ করিলে এই চুক্তি পত্রের কোন কার্যকারিতা থাকিবে না। ইহা কোন প্রকার নোটিশ ব্যতিরেকে স্বাভাবিকভাবে বাতিল হইয়া যাইবে এবং শর্ত ভঙ্গের একমাসের মধ্যে দেনা (যদি থাকে) পরিশোধ করিয়া দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষ বা তাহার ওয়ারিশ বা তাহার নিয়োজিত এজেন্টের নিকট শান্তিপূর্ণভাবে ফ্ল্যাট ও সমস্ত মালামাল বুঝাইয়া দিয়া ফ্ল্যাট ত্যাগ করিতে বাধ্য থাকিবেন।

২৭। ফ্ল্যাটের বর্জ/আবর্জনা ভবনের বাহিরে যথাস্থানে সড়াইয়া ফেলার দায় দায়িত্ব দ্বিতীয় পক্ষের। জানালা, ব্যলকনি বা অন্য কোথাও দিয়া আবর্জনা, ঠোঙ্গা, কাগজপত্র এবং অন্য কোন জিনিস, বিড়ি সিগারেটের গোড়া ইত্যাদি ফেলিতে পারিবেন না। বিড়ি সিগারেটের জ্বলন্ত গোড়া সিঁড়িতে ফেলিলে সিঁড়ির ক্ষতি হওয়া ছাড়াও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। বাজার করিয়া আসার সময় মাংসের রক্ত বা মাছের পানি যাহাতে সিঁড়িতে না পড়ে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখিতে হইবে।

রক্ত, নোংড়া পানি বা অন্য কোন কারণে সিঁড়ি নোংড়া করা হলে উহা অবশ্যই তৎক্ষনাত পরিস্কার করিয়া ফেলিতে হইবে যাহাতে ভবনের অন্য সদস্যদের অসুবিধা না হয়। কাজের বুয়াকে অবশ্যই এই মর্মে সতর্ক করিয়া দিতে হইবে যে, পানের পিক ও থুথু মেঝেতে, ওয়ালে বা সিঁড়িতে না ফেলে। ধানপান এবং পান কাওয়ার পর রাখা টলি বা প্যান ও কমোড়ের মধ্যে কাগজ, পলিথিন, স্যানিটারী ন্যাপকিন ইত্যাদি কিছই ফেলা যাবে না। মোট কথা আশপাশ এবং সিঁড়ি ইত্যাদি পরিস্কার পরিচ্ছনআন রাখার দায়িত্ব ভবনে বসবাসকারী সকল সদস্যদের। ২৮।

কোন অবস্থায় কোন হকারকে ভবনে ঢুুকানো যাইবে না। ২৯। কেঁচিগেট দিন-রাত বন্ধ থাকিবে, তালা খুলিয়া যাওয়া আসা করিতে হইবে। মেইন গেইট রাত ১০.০০ (দশ) ঘটিকায় অবশ্যই বন্ধ হইয়া যাইবে। ৩০।

সিঁিড় খিরকি (ছোট জানালা) কখনই খোলা রাখা যাইবে না। ৩১। সম্পাদনের পর এই দলিলের একটি ফটোকপি করা হইবে। উভয় কপি মূল দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং আইনের ক্ষেত্রে সমভাব বিবেচিত হইবে। মূল কপি থাকিবে দ্বিতীয় পক্ষের নিকট এবং ফটোকপি থাকিবে প্রথম পক্ষের নিকট।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র দলিল পাঠ করিয়া উহার মর্মার্থ সম্পূর্ণ অবগত হইয়া আমরা উভয় পক্ষ অত্র দলিল অদ্য রোজ............................ বার ........................ইং তারিখে সহি সম্পাদন করিলাম।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।