৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না
প্রকৃতি তার নিষ্ঠুর আঁচর রেখে গেছে উপকূলজুড়ে। লাশের সংখ্যা এখনো বাড়ছে, ধ্বংসলীলার বিবরণ এখনও আসছে। স্বজন হারানোর বেদনা আর সর্বস্ব খোয়ানোর হাহাকার সর্বত্র।
প্রথম আলোতে একটা ছবি ছাপা হয়েছে যে, নদীতে লাশ ভাসছে, মানুষজন লাশ টেনে এনে দেখছে স্বজন কিনা, না হলে আবার ভেসে যেতে দিচ্ছে।
আমরা ঢাকায় বসে বুঝতে পারছি না পরিস্থিতি কত ভয়াবহ।
অথচ আমরা নির্লিপ্ত। আমার মনে আছে এর চেয়েও কম দুর্যোগে ত্রান ততপরতার জোয়ার বয়ে যেতে ঢাকাতেই। টিএসসিতে রুটি আর স্যালাইন বানানোর জন্য জায়গার অভাব ছিল, লোকবলের না। কিছু একটা করার জন্য মুখিয়ে থাকতো সবাই।
সেই সব মানুষ আজ কোথায়?
সামনে নাকি নির্বাচন।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোথায়? কোথায় কেউ নেই। মানুষ ভয়ে আছে। মানুষকে সাহায্য করতেও ভয়। তাতে যদি আবার ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়? এনজিওদের নাকি কাজ করতে হবে জলপাইদের সঙ্গে, সমন্বয় করে। কোন এনজিও যাবে? আজ এক জেনারেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ছড়ি উচিয়ে।
কে প্রার্থী হবেনা এখনো কেউ জানেন না, ততপরতা দেখালে জলপাই রোষে পড়ার আশঙ্কা।
আবারও প্রমানিত মুক্ত না থাকলে ভাল কিছুও হয় না। জরুরী অবস্থার জুজু পেয়ে বসেছে সবাইকে। আয় করতে ভয়, খরচে ভয়, ভাল কিছু করতেও ভয়। এত বড় বিপর্যয় কিন্তু তেমন কেউ নামছেন না।
কিছুদিন আগে আলপিন ইস্যুতে রাজপথ কাঁপিয়ে ফেললো ইসলাম রাকারীরা। তারা আজ কোথায়? মানুষের জন্য তো কাউকে দেখছি না। কোথায় সেই সর্বনাশা শক্তি হিজবুল তাহিরি?
সৈয়দ শামসুল হক তার আÍজীবিনীতে লিখেছেন একটি কথা। ধর্মশালার চেয়ে লঙ্গরখানা ভাল। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ বলেছিলেন, টুপির চেয়ে শস্যের কদর বেশি।
সৈয়দ হকের কথাটি এরই কাছাকাছি।
আমাদের শাসক শ্রেনী যে কবে বুঝবেন যে, ধর্মশালার চেয়ে লঙ্গরখানা ভাল। এখন উপকূল জুড়ে সেই লঙ্গরখানারই বেশি প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।