চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
"খালাম্মা আপনি কি দাউদ সাহেবকে নিজ চোখে দেখেছেন হামিদার বাড়িটে ঢুকতে"
"বাবা প্রথমে সে আমার বাড়ির পাশে ঘুরঘুর করছিল, কিছুক্ষন ত আমার পোষা কুকুর টমিকে কাছে টেনে আদর করল। দুর থেকে দেখতে ত দাউদ সাহেবের মতই মনে হয়েছিল। "
ডিডেকটিভ ফরহাদ শাহিদা নামক মধ্যবয়স্ক মহিলার সাথে কথা বলছিলেন তার বাড়ির আংগিনায় বসে।
সাক্ষ্য প্রমান নিতে তার বাসায় আসা।
তারই প্রতিবেশী হামিদার বাড়িতে গতকাল চুরি হয়েছে।
হামিদার দাবী তারই প্রাক্তন স্বামী দাউদ কাজটি করেছে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে। বছরখানেক আগে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
বনিবনা হচ্ছিল না প্রায় সবকিছু নিয়েই।
হামিদার ভাষায়, "আমার সবকিছুতেই তার অপছন্দ ছিল, ছেলেবন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া, রাত করে ঘরে ফেরা। শেষমেষ লাগে আমার পোষা কুকুরটি নিয়।
ওটাকে একেবারের সহ্য করতে পারত না। কুকুরফোবিয়া ছিল ওর। "
হামিদা আরো জানালো গতকাল বাসায় কেউই ছিল না, মালি, বাবুর্চি কেউই না। বছরের কয়টাদিন বেছে ওদেরকে একসাথে ছুটি দেয়া হ্য়। এটা আবার অতি কাছের জন ছাড়া আর কারো জানার কথা নয়।
"খালাম্মা চশমাটা কি সবসময় ব্যবহার করেন। "
টেবিলের উপর রাখা চশমটা হাতে নিয়ে ফরহাদ প্রশ্ন করে।
"না বা শুধু কাছের জিনিষ দেখার জন্য"
ফরহাদ চোখের সামনে চশমাটা ধরতেই সবকিছু আবছা হয়ে এল। ফরহাদের আবার দুরের জিনিষ দেখতে কষ্ট হয়।
হঠাত করেই ফরহাদ দুরের একটা গাছ দেখিয়ে বলে, "খালাম্মা ঐটা বিদেশী ঝাউ গাছ না?"
শাহিদা ভালমত তাকিয়ে দেখে হেসে উঠেন, " না বাবা ওটা একটা দেশি পাতাবাহার গাছ, তোমার কি দুরের জিনিষ দেখতে কষ্ট হয়?"
ফরহাদ হ্য সুচক মাথা নাড়ে।
কিছুক্ষন পড়ে বিদায় নিয়ে উঠে পড়ে ফরহাদ।
রাস্তার দিকে হাটা ধরে। দুর থেকে দেখা গাছটির কাছে এসে হেসে ফেলে সে। খালাম্মার কুকুর একপা তুলে গাছে প্রশাব করছে।
ফরহাদ ভেবে পায় না শাহিদা খালাম্মার মত মধ্যবয়স্ক একজন মহিলা কেন মিথ্যে কথা বললেন।
হয়তবা হামিদার সাথে তার খুব সখ্যতা, আত্মীয় হতে পারেন।
আপাতত দাউদ সাহেবের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবে শুধু শুধু তাকে সন্দেহ করার জন্য, ফরহাদ ভাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।