সিংহের মতো আধ-বোজা চোখে আমি কেবলি দেখছিঃ মিথ্যার ভিতে কল্পনার মশলায় গড়া তোমাদের শহর
ব্লগার এন্ড অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক। সংক্ষেপে BOAN.
গণজাগরন মঞ্চের উদ্যোক্তা। যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের দাবীতে সোচ্চার এবং সক্রিয় সংগঠন।
মাথায় হলুদ ব্যান্ডানা পরে শাহবাগ প্রতিবাদের পুরাটা সময় তারা মাতিয়ে রাখলেন, জমিয়ে রাখলেন। টিভিতে টক শোতে নিয়মিত তাদের আনাগোনা করতে দেখা গেল।
মঞ্চ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়া হল, হলুদ ব্যান্ডানা ছাড়া কেউ যদি কোথাও গণজাগরন মঞ্চ সম্পর্কে কিছু বলে তাহলে সেটা ধর্তব্য হবে না। আমরা আশ্বস্ত হলাম। '৯০ এর পরের সবচে বড় গণআন্দোলনটা কিছু যোগ্য মানুষের হাতে পড়েছে তাহলে! বাহ!
সমস্যা হলো শাহবাগ প্রতিবাদের পরে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জাগরন মঞ্চ একটা নির্দিষ্ট উদ্যেশ্যে গড়ে উঠেছিল। তারা শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা বলবে না, পদ্মা সেতু, সাগর-রুনি, টিপাই মুখ, তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত হত্যা নিয়ে মাথা ঘামানো তাদের কাজ নয়।
তারা ভূগোল পরীক্ষার দিন ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে আসে না। খুবই স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক কথা।
কিন্তু বোয়ান?
বোয়ানের কি আর কোন কাজ নাই?
তাদেরও কি যুদ্ধাপরাধ আর জামায়াত নিষিদ্ধ ছাড়া অন্য ইস্যুতে কথা বলা নাজায়েজ?
.....নাহ্, বাড়ি ভাড়া কমানো বা পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদেরকে রাস্তায় নামতে বলতেছি না।
নিদেন পক্ষে রামপাল ইস্যুতে তো তারা মুখ খুলতে পারতেন।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে তো তাদের কথা বলার কথা।
............সব বাদ দিলাম।
অন্তত চার ব্লগারের বিরুদ্ধে সরকারের খড়্গ হস্তের প্রতিবাদে তো তাদের কথা বলা উচিৎ।
সংশোধিত তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০১৩- এর ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে তো তাদের অবশ্যই অবশ্যই কথা বলার কথা।
বোয়ানের অফিসিয়াল পেইজের about-এ লেখা আছে যে এটি "প্রগতিশীল ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিষ্টদের একটি জাতীয় সংগঠন। "
তা অনলাইনে বাক স্বাধীনতার উপর চাপিয়ে দেওয়া এই কালো আইনের বিরুদ্ধে দুইটা কথা বলার যাদের মুরোদ নেই, তারা কিসের 'প্রগতিশীল' ব্লগার?
কিয়ের হিন্দি চুলের এক্টিভিস্ট ?? হ্যাহ্?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।