যুক্তরাষ্ট্রের বিবর্তনবাদী কবি ইউসেফ কমুনিয়াকা যখন 'টকিং ডার্টি টু দ্যা গডস' লিখলেন তখন মনে হয়েছিল বইটি ধর্মান্ধদের তোপের মুখে পড়তে পারে। না তা হয়নি । কবি তার অন্ত:দৃষ্টি দিয়ে ঈশ্বরদের সাথে নষ্টামি করেছেন কাব্যিক বুননে। তিনি বলেছেন আমি আমার মাঝেই ঈশ্বরকে খুঁজেছি। মানুষ আত্মান্বেষন বিভিন্ন ভাবেই করতে পারে।
শামসুর রাহমান সাপ্তাহিক 'খবরের কাগজে' একটি ধারাবাহিক
কলাম লিখতেন , ''পাখির চোখে দেখা''। ৯০-৯১ সাল। আমিও
তখন ঐ কাগজে নিয়মিত লিখি। রাহমান ভাই নিউইয়র্কে এলে
তাকে জিগ্গেস করি , পাখি ও কি এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়? তিনি হাসেন। বলেন, চাইবে না কেন? ''তুমি কি জানো
ইলিয়াস, একাত্তরে পাক বাহিনী ও রাজাকাররা আমাদের মানুষই
শুধু নয় , কতো পশু-পক্ষী ,পরিবেশ ধ্বংশ করেছে ?''
এই ছিলেন রাহমান ভাই।
তার সময়ের অনেক কবি যখন সাহস করে কথা না বলে স্বৈরাচারের সেবাদাস হয়েছেন ,তখন তিনি লিখেছেন ''বুক তার বাংলাদেশের হৃদয় ''।
একজন লেখকের দায়িত্ব কি? মীনমীনে কথা বলা ?
না তা হয়তো নয়। আমি কি করেছি , আমার কর্ম আমার মানুষের
জন্য কি ফল রেখে যাচ্ছে - তা বিচার্য বিষয়।
চে-গুয়ে ভারা ,বলেছিলেন আমার কর্মকে ভালোবাসো। আমাকে
না বাসলেও চলবে।
আদর্শ বদল করে ভোগ বিলাস কারা যায়। কিন্তু মানুষের ঘৃণা
পাওয়া থেকে বাদ পড়া যায়না।
-----------------------------------------------------
খ .
ড.হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন 'আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে'। তাঁকে জিগ্গেস করেছিলাম , আমাদের দুই প্রধান দলের
নেত্রীরাও কি অন্যদের সময়ে বসবাস করছেন? না হয় দেশে
পরাজিত অপশক্তির এতো দাপট কেনো? ড. আজাদ জবাব
দিয়েছিলেন 'কাল তাদের বিচার করবেই। '
আজ কবি হুমায়ুন আজাদ নেই ।
আমরা ঐ শীর্ষদের পরিণতি
দেখছি। কবি মহাকালের নবসূর্য দেখেন। দেখতেই হয়। কাউকে
না কাউকে।
মার্কিনী 'বীট জেনারেশনে'র কবি , বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে ''সেপ্টেম্বর টু যশোর রোড'' -এর কবি অ্যালেন গীনসবার্গ
বলেছিলেন - অলওয়েজ বী এ ট্রুথফুল স্ট্রেনথ্ ।
সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই, কখনোই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।