আসুন আমরা ভন্ডমুক্ত সমাজ গড়ি। ভন্ডরা বন্ধু হলেও পরিত্যাজ্য। এরা সমাজের বিষাক্ত কীট্!
বহুদিন ধরেই শুনে আসছি ,প্রধান উপদেষ্টাসহ ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশই চান নিজেদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে। কই, আমরা তো এখনও সে হিসাব পেলাম না? কেন এত গড়িমসি? তাহলে আমরা কি ধরে নেব ,উপদেষ্টাদের মধ্যেও দূর্নিতীবাজ আছেন?তাদেরও কেউ কেউ অতীতে দূর্নিতীর সাথে জড়িত ছিলো?তবে কি এই ফিসফিসানি আমরা সত্য বলে ধরে নেব?
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে সেনাপ্রধান বলেছেন, "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর আমিই প্রথম প্রস্তাব দেই আসুন আমরা আমাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করি। যেন জনগণের কাছে আমাদের স্বচ্ছতা থাকে।
আপনারা রাজি হলে আমিই প্রথম দিতে চাইছি। আমি এখনও একই অবস্থানে আছি। "
আমার প্রশ্ন হলো আপনি নিজে দিয়ে এক্সাম্পল তৈরি করেন না কেন? আপনারা সবাইকে নিয়ে টানটানির আগে নিজের টা ঠিক করুন দয়া করে। এতে বাংলার মানুষ আপনাদের উপর খুশি হবে । ভাববে আপনারা টিপিকাল নন, একটু আলাদা।
আপনারা আসলেই আন্তরিক। মানুষ অলরেডি আপনার ব্যাংক লোন নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। আমার তো মনে হ্য় আপনি এই সিচুয়েশন এড়াতে পারতেন যদি আগেই সম্পদের হিসাব দিতেন। তবে এই সময় এখনই ফুরিয়ে যায়নি বলেই আমার মনে হয়। অতীতে ভূল করেছি বলে এখন সঠিক কাজ করতে পারবনা এমনতো কোন কথা নেই।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি আপনার কাজ-কর্মের খুবই ভক্ত। আমি নিজে আইটির লোক বলে কিনা জানিনা ,আপনার আইটির জ্ঞান আছে বলে আপনাকে আমার মনে হয় খুব আধুনিক একজন মানুষ,কারন আমাদের দেশে অনেক বড় মাপের লোকেরাও এ নিয়ে তেমন জানেন না। আইটি ছাড়া দূনিয়া এখন অচল।
সম্পদের হিসাব তাহলে দিচ্ছেন না কেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে নাকি উপদেষ্টাদের একজন বলেছেন", আমি যদি সহকর্মী সবাইকে হিসাব দেয়ার প্রস্তাব করি তাহলে তারা বিষয়টি মাতব্বরি মনে করবে। আর একা দিয়ে সহকর্মীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।
তবে যে-কোনও মুহূর্তে হিসাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। একই অভিমত আরও দুজন উপদেষ্টার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নাকি বলেছেন, সকল উপদেষ্টা হিসাব না দিলে পরিষদে বিভক্তি হবে, জনমনে নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে। "
আরও জানা গেছে, ৫ জনের বেশি উপদেষ্টা সম্পদের হিসাব দিতে চাইলেও কয়েকজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার হিসাব দিতে অনীহা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
যারা হিসাব দিতে চান না, তাদের অভিমত হচ্ছে তাদের সম্পদের হিসাব দিতে চিঠি দেয়া হলেই কেবল তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। অন্যথায় তারা নিজে থেকে হিসাব দিলে নানারকম বিতর্কের সৃষ্টি হবে। অপরদিকে যারা হিসাব দিতে চান তারা মনে করেন, দুই প্রধানমন্ত্রীসহ সাবেক একাধিক মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব এরইমধ্যে চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রমকে স্বচ্ছ রাখতে উপদেষ্টারা নিজে থেকেই হিসাব দিলে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
দুদকের চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধূরী সাংবাদিকদের বলেছেন, উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া ধৃষ্টতা হবে।
এই প্রশ্নে সাংবাদিকরা তাকে বারবার বিব্রত করার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, যাদের বিষয়ে বলছেন তাদের জিজ্ঞেস করুন। যার যার নীতি তার তার কাছে। সারা দেশের এবং জনগণের নীতির ব্যাপারে আমি তো পুরো দায়িত্ব নেইনি। দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তখন থেকেই লজ্জাবোধ করছি। সবাই একমত না হওয়ায় কিছু করতে পারছি না।
আমার কথা হলো ,ব্যাপার টা কি একটা লুপের ভিতর আটকে থেকে থেকে একসময় ডেড লক হয়ে যাবে না তো বা যাচ্ছে নাতো? ওনাদের একজন আরেকজনকে বলতে লজ্জা পাচ্ছেন মান হানি হবে বলে। তো কুকুরে গলায় ঘন্টাটি কে পড়াবেন?কাউকে তো না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সেই মহান উপদেষ্টাকে দেখতে চাই যিনি কাজটি প্রথম করে দেখাবেন। না হয় আমরা কিন্তু ধরে নেব -
লন্কা যে-ই যায়
রাবন সে-ই হয়।
তবে আপনাদের খুব বেশি দূরে যেতে হবে না ।
আপনারা জাস্ট আপনাদের ইমিডিয়েট আগের উপদেষ্টাদের অনুসরন করতে রেন। তাদের মধ্যে , ড.আকবর আলি খান,সফি সামি, হাসান মশহুদ চৌধূরীর নাম বলা যায়। তারা পদত্যাগ না করলে আপনারা আজ এই অবস্থানে থাকতেন বলে তো মনে হয়না। তারা তো মসনদে বসে থাকতে চায়নি, তারা জাতির কথা ভেবেছে, আপনারাও ভাবুন। না হয় জংন ভাববে-
যেই লাউ
সেই কদু।
বাংলার সহজ-সরল মানুষগুলোকে আর অন্ধকারে রাখবেন না প্লিজ! তথাকথিত রাজনিতীবিদরা( ভন্ড,চোর,দূর্নিতীবাজ) পাবলিকদের নিয়ে অনেক খেলছে,তাই এ খেলা আর আপনাদের কাছ থেকে দেখতে চাই না। আমার মতো অধম কুলাংগার যদি একথা বুঝে তো আপনারা কেন বুঝবেন না? এই দূর প্রবাসে বসে, আপনাদের সমর্থনে কথা বলতে গিয়ে ,কত লোকের যে কটু কথা শুনেছি সেটা আর নাই বললাম। মাননীয় উপদেষ্টাগন ও সেনা প্রধান আপনারা কি তার মূল্যায়ন এ ভাবে দিলেন?আমার এ প্রশ্ন আপনাদের বিবেকের কাছে!! হে বিবেক ,জাগ্রত হও!
তথ্যসূত্র: দৈনিক আমাদের সময়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।