আজকের দৈনিক সমকালে একটি রিপোর্ট দেখলাম ঈদের পর নাকি তেল, গ্যাস বিদুতের দাম বাড়তে পারে। এসব খাতে প্রচুর টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। তাই বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের পরামর্শ এসবের দাম বাড়াতে হবে। দাম না বাড়ালে নাকি তাদের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া যায় না।
সমকালের রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের দেশের গ্যাস বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে সরকারি সংস্থা পেট্রোবাংলা প্রতি এক হাজার ঘনফুট গ্যাস ১৯২ টাকায় কিনে পেট্রোবাংলা তা বিক্রি করে ৯৪ টাকায়।
ফলে পেট্রোবাংলার প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা পিডিবি উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে বিদু্ত বিক্রি করে ফলে তাদেরও লোকসান হচ্ছে। সরকারি সংস্থা বিপিসি বেশি দামে জ্বালানি তেল আমদানি করে কম দামে বিক্রি করে।
তিনটি সরকারি সংস্থাকে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এ কথা সত্যি। আবার এই গ্যাস, বিদুত, তেলের দাম বাড়লে সেটার ক্ষতি কতো তা সরকারকে গভীরভাবে ভাবতে হবে।
এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া তার ওপর আবারো যদি ঈদের পর এসবের দাম বাড়ে তবে দ্রব্যমূল্যের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সরকারকে ভাবতে হবে।
গ্যাস, বিদুত, গ্যাসে সরকারের বছরে ভর্তুকির পরিমাণ কতো আর দাম বাড়ালে জনগণের, অর্থনীতির ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি কতো তা সরকারকে জানাতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে সরকার জিনিসপত্রের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি ও সুবিধার ব্যবস্থা করে। এর ফলে সরকারের কী পরিমাণ ক্ষতি হয় তা সরকারকে হিসাব করে জনগণকে জানাতে হবে।
সরকার দাতা সংস্থার ঋণের দোহাই দিয়ে তেল, গ্যাস ও বিদুতের দাম বাড়ায়।
এসব ঋণ না হলে কী হয় না। দাতা সংস্থার ঋণের চেয়ে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠায় তাদেরতো কোনো কথা সরকার শুনে না। তাছাড়া ঋণগুলোর শর্ত কী থাকে তাও আমরা জানি না। সরকারকে এসব শর্ত জানাতে হবে।
আরেকটা কথা আমাদের পেট্রোবাংলা থাকতে আমরা কেন বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে গ্যাস কিনবো? আমরা কি কম খরচে বিদুত উৎপাদন করতে পারি না?
সে আর যাই হোক তেল, গ্যাস, বিদুতের দাম বাড়ানো যাবে না।
কেননা এই তিনটার সঙ্গে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়া জড়িত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।